০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
পোল্যান্ডের বনে বিরল কালো নেকড়ের ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য, সংরক্ষণ ও সহাবস্থানের বিতর্ক নতুন করে শিশিতে বন্দি সৌন্দর্যের মোহ: পরীক্ষাহীন পেপটাইড ইনজেকশনের বিপজ্জনক উত্থান তুরস্কের দাবি: আক্কুয়ু পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার নতুন ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৬) শাওমির ১৭ আল্ট্রা ‘লাইকা এডিশন’: স্মার্টফোনে ফিরছে ম্যানুয়াল জুম রিং একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 80

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘কু-উ-উ-উ!’ ডিসট্যান্ট সিগন্যালের বাড়িয়ে দেয়া হাতটাকে বন্ধুর মতো যেন ধরতে আসছে, এমনিভাবে আনন্দে আবার বাঁশি বাজিয়ে দিল এঞ্জিনটা।
‘আচ্ছা, আমি যদি…’
আস্তে-আস্তে উঠে বসে আবার ভাবতে শুরু করলুম আমি।
আর যতই ভাবতে লাগলুম রেলস্টেশনটা ততই সজোরে টানতে লাগল আমাকে।
এঞ্জিনের বাঁশি বাজিয়ে, সিগন্যাল গুমটিঘরের টুংটাং আওয়াজ তুলে, প্রায়-ধরা-ছোঁয়া- যায় এমন জ্বলন্ত পেট্রোলের গন্ধ ছড়িয়ে আর অচেনা দিকসীমায় হারিয়ে-যাওয়া চকচকে লাইনগুলোর লোভানি দিয়ে কেবলই হাতছানি দিতে লাগল।

ভাবলুম, ‘নিজনি নভগরোদে যাই। ওখানে দাঁড়কাককে পাওয়া যাবে। উনি তো সরমোভোয় আছেন। আমায় দেখে উনি খুশিই হবেন। নিশ্চয় আমায় ওঁর কাছে থাকতে দেবেন কিছুদিন। তারপর এদিকে সব ঠান্ডা হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে আসব। কিংবা, কে জানে… মনে হল কে যেন আমার ভেতর থেকে কথা বলে উঠল, ‘কে জানে হয়তো আর ফিরবই না।’

‘হ্যাঁ, সেই ভালো,’ হঠাৎ শক্ত হয়ে মনস্থির করে ফেললুম। আর নিজের এই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব ক্রমশ একটু-একটু করে বুঝতে পেরে, যখন আমি দাঁড়িয়ে উঠলুম তখন নিজেকে বেশ বড়সড়, শক্তসমর্থ আর দৃঢ়চিত্ত মনে হল।

জনপ্রিয় সংবাদ

পোল্যান্ডের বনে বিরল কালো নেকড়ের ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য, সংরক্ষণ ও সহাবস্থানের বিতর্ক নতুন করে

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩৯)

০৮:০০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘কু-উ-উ-উ!’ ডিসট্যান্ট সিগন্যালের বাড়িয়ে দেয়া হাতটাকে বন্ধুর মতো যেন ধরতে আসছে, এমনিভাবে আনন্দে আবার বাঁশি বাজিয়ে দিল এঞ্জিনটা।
‘আচ্ছা, আমি যদি…’
আস্তে-আস্তে উঠে বসে আবার ভাবতে শুরু করলুম আমি।
আর যতই ভাবতে লাগলুম রেলস্টেশনটা ততই সজোরে টানতে লাগল আমাকে।
এঞ্জিনের বাঁশি বাজিয়ে, সিগন্যাল গুমটিঘরের টুংটাং আওয়াজ তুলে, প্রায়-ধরা-ছোঁয়া- যায় এমন জ্বলন্ত পেট্রোলের গন্ধ ছড়িয়ে আর অচেনা দিকসীমায় হারিয়ে-যাওয়া চকচকে লাইনগুলোর লোভানি দিয়ে কেবলই হাতছানি দিতে লাগল।

ভাবলুম, ‘নিজনি নভগরোদে যাই। ওখানে দাঁড়কাককে পাওয়া যাবে। উনি তো সরমোভোয় আছেন। আমায় দেখে উনি খুশিই হবেন। নিশ্চয় আমায় ওঁর কাছে থাকতে দেবেন কিছুদিন। তারপর এদিকে সব ঠান্ডা হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে আসব। কিংবা, কে জানে… মনে হল কে যেন আমার ভেতর থেকে কথা বলে উঠল, ‘কে জানে হয়তো আর ফিরবই না।’

‘হ্যাঁ, সেই ভালো,’ হঠাৎ শক্ত হয়ে মনস্থির করে ফেললুম। আর নিজের এই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব ক্রমশ একটু-একটু করে বুঝতে পেরে, যখন আমি দাঁড়িয়ে উঠলুম তখন নিজেকে বেশ বড়সড়, শক্তসমর্থ আর দৃঢ়চিত্ত মনে হল।