০৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টারের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরওয়ার ঢাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ জুলাই চার্টার বাস্তবায়ন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 61

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘কু-উ-উ-উ!’ ডিসট্যান্ট সিগন্যালের বাড়িয়ে দেয়া হাতটাকে বন্ধুর মতো যেন ধরতে আসছে, এমনিভাবে আনন্দে আবার বাঁশি বাজিয়ে দিল এঞ্জিনটা।
‘আচ্ছা, আমি যদি…’
আস্তে-আস্তে উঠে বসে আবার ভাবতে শুরু করলুম আমি।
আর যতই ভাবতে লাগলুম রেলস্টেশনটা ততই সজোরে টানতে লাগল আমাকে।
এঞ্জিনের বাঁশি বাজিয়ে, সিগন্যাল গুমটিঘরের টুংটাং আওয়াজ তুলে, প্রায়-ধরা-ছোঁয়া- যায় এমন জ্বলন্ত পেট্রোলের গন্ধ ছড়িয়ে আর অচেনা দিকসীমায় হারিয়ে-যাওয়া চকচকে লাইনগুলোর লোভানি দিয়ে কেবলই হাতছানি দিতে লাগল।

ভাবলুম, ‘নিজনি নভগরোদে যাই। ওখানে দাঁড়কাককে পাওয়া যাবে। উনি তো সরমোভোয় আছেন। আমায় দেখে উনি খুশিই হবেন। নিশ্চয় আমায় ওঁর কাছে থাকতে দেবেন কিছুদিন। তারপর এদিকে সব ঠান্ডা হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে আসব। কিংবা, কে জানে… মনে হল কে যেন আমার ভেতর থেকে কথা বলে উঠল, ‘কে জানে হয়তো আর ফিরবই না।’

‘হ্যাঁ, সেই ভালো,’ হঠাৎ শক্ত হয়ে মনস্থির করে ফেললুম। আর নিজের এই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব ক্রমশ একটু-একটু করে বুঝতে পেরে, যখন আমি দাঁড়িয়ে উঠলুম তখন নিজেকে বেশ বড়সড়, শক্তসমর্থ আর দৃঢ়চিত্ত মনে হল।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩৯)

০৮:০০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘কু-উ-উ-উ!’ ডিসট্যান্ট সিগন্যালের বাড়িয়ে দেয়া হাতটাকে বন্ধুর মতো যেন ধরতে আসছে, এমনিভাবে আনন্দে আবার বাঁশি বাজিয়ে দিল এঞ্জিনটা।
‘আচ্ছা, আমি যদি…’
আস্তে-আস্তে উঠে বসে আবার ভাবতে শুরু করলুম আমি।
আর যতই ভাবতে লাগলুম রেলস্টেশনটা ততই সজোরে টানতে লাগল আমাকে।
এঞ্জিনের বাঁশি বাজিয়ে, সিগন্যাল গুমটিঘরের টুংটাং আওয়াজ তুলে, প্রায়-ধরা-ছোঁয়া- যায় এমন জ্বলন্ত পেট্রোলের গন্ধ ছড়িয়ে আর অচেনা দিকসীমায় হারিয়ে-যাওয়া চকচকে লাইনগুলোর লোভানি দিয়ে কেবলই হাতছানি দিতে লাগল।

ভাবলুম, ‘নিজনি নভগরোদে যাই। ওখানে দাঁড়কাককে পাওয়া যাবে। উনি তো সরমোভোয় আছেন। আমায় দেখে উনি খুশিই হবেন। নিশ্চয় আমায় ওঁর কাছে থাকতে দেবেন কিছুদিন। তারপর এদিকে সব ঠান্ডা হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে আসব। কিংবা, কে জানে… মনে হল কে যেন আমার ভেতর থেকে কথা বলে উঠল, ‘কে জানে হয়তো আর ফিরবই না।’

‘হ্যাঁ, সেই ভালো,’ হঠাৎ শক্ত হয়ে মনস্থির করে ফেললুম। আর নিজের এই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব ক্রমশ একটু-একটু করে বুঝতে পেরে, যখন আমি দাঁড়িয়ে উঠলুম তখন নিজেকে বেশ বড়সড়, শক্তসমর্থ আর দৃঢ়চিত্ত মনে হল।