০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
পোল্যান্ডের বনে বিরল কালো নেকড়ের ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য, সংরক্ষণ ও সহাবস্থানের বিতর্ক নতুন করে শিশিতে বন্দি সৌন্দর্যের মোহ: পরীক্ষাহীন পেপটাইড ইনজেকশনের বিপজ্জনক উত্থান তুরস্কের দাবি: আক্কুয়ু পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার নতুন ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৬) শাওমির ১৭ আল্ট্রা ‘লাইকা এডিশন’: স্মার্টফোনে ফিরছে ম্যানুয়াল জুম রিং একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

শহর – উইলিয়াম রোজ বেনেট

  • Sarakhon Report
  • ০৫:০০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 80

শহর 

উইলিয়াম রোজ বেনেট


আমি শহরের গান চেয়েছিলাম

অথচ শহর  আজ  শূন্য পাথরের সিম্ফনি,

অদ্ভুত যার চোখ অনুসন্ধানের আলোয়

গর্জনকারী সব কারখানা দেবতা এখানে

কত নীরবে পিষে পড়ন্ত প্রবাহ, বহু রঙের জোয়ার।

গ্রানাইট এবং ইস্পাত উপরের দিকে তোলা হয়ে গেল

আমার ঝর্ণা, চতুরভাবে নির্মিত

যেন জাদুর মতো ধরে রাখা হয়েছে তারে।

অবিশ্বাস্য পাথরে হারিয়ে গেল, আমার নতুন পাহাড়গুলি,

আশ্চর্য আমি নির্বিবেচকভাবে ঘুরে বেড়ালাম।

ক্ষুদ্র পরিশ্রমেই ধরা পড়লাম

দুজনই দুর্বল এবং অলস-

আমি আমার বিস্ময় হারিয়েছি- যেমন আমি ও আমার তাদেরকে হারিয়েছিলাম।

এখানে একটি দৈত্যও উত্তোলিত হয়নি

পারে না কোন মানুষ তদারকি করতে

একটি ভয়ঙ্কর সিম্ফনি উঠলো শুধু  ধ্বংসাত্মক বারে।

ছোট ছোট স্পষ্ট জীবনের প্রতিটি বিস্ময়কে দিয়েছে কুয়াশা-

চিরকুশায়িত প্রয়োজন আর ছোট তৃষ্ণা, ছোট ইচ্ছা-

আমার ওপরে, আমার চারপাশে বজ্রপাত হলো শহরের হৃদয়ের;

যার ধূলির সাথে আমি  করতাম ব্যবসা ।

তবুও বেবিলনের বাইরে পথ ছিল রাজকীয়;

এমনকি জেরুজালেম এর স্বপ্নগুলি ছাড়িয়ে গিয়েছিল- সিংহের কোমর এবং ঈগলের মহিমা যেখানে ঘনজোড়া পোকামাকড় যাকে দেবতা বা স্বামী

কেউ পারতো না করতে স্পর্শ

শুধু অশুচি আর  স্বপ্নের ভূত যা রাতে উড়ে বেড়াতো;

 যেখানে মানুষ মানুষকে জড়িয়েছিল, আর মানুষ করেছিলো তাকে তুচ্ছ,

তবুও এর বিভ্রান্তিকর আলোয় কিছু মুহূর্তে।

তবুও মানুষ ভেবেছিল এবং

স্থাপন করেছিল মহিমা – জীবন্ত শিরার প্রবাহকে পুষ্ট করেছিল,

সঁপে পড়েছিল আত্মসমর্পণে, এর ভয়ানক অস্তিত্বর কষ্ট প্রতিদানে।

একটি জীবন্ত সত্তা, কিন্তু অন্ধ, যেখানে সব ভুল ফুল ফুটেছিল

ব্যবহৃত ভুল ফুল কষ্টের সঙ্গে হয়েছিল আরো চড়া,

ভয়ে ভরা ভিড় প্রবাহিত হতো—

কিছু অদ্ভুত দৃশ্যের বোকা মুহূর্তে উদীয়মান হওয়ার জন্য,

সবসময় ব্যর্থ—এবং এখনও চিরকাল কম্পমান মননের সীমা ছাড়িয়ে,

ইচ্ছার প্রবণতা পিছে ফেলে; সবই ক্লান্ত উদ্দেশ্য এবং ধুসর ভাঁজের ছদ্মবেশের সমষ্টি, কিছু তখনও নির্মিত হয়নি, এখনও নির্মাণের অপেক্ষায়!

আবারও, প্রায় ইচ্ছা, ভীতিকর শহর চোখ খোলেনি-

যা সে বন্ধ করেছিল, যতক্ষণ না তার সবচেয়ে অন্ধকার রাস্তাগুলি আগুনে ভাসছিল ভালবাসা প্রকাশের বিন্দুর জন্য।

তাদের সব চোখ চিরকাল আমার উপর নিবদ্ধ, অন্ধ ব্যথার চোখ, অমোঘ ইচ্ছা:

কিছু তখনও নির্মিত হয়নি, নির্মাণের অপেক্ষায়—কখনো?

 কিছু নির্মিত হয়নি, এখনও নির্মাণের অপেক্ষায়!

( অনুবাদ- পান পাতা)

জনপ্রিয় সংবাদ

পোল্যান্ডের বনে বিরল কালো নেকড়ের ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য, সংরক্ষণ ও সহাবস্থানের বিতর্ক নতুন করে

শহর – উইলিয়াম রোজ বেনেট

০৫:০০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

শহর 

উইলিয়াম রোজ বেনেট


আমি শহরের গান চেয়েছিলাম

অথচ শহর  আজ  শূন্য পাথরের সিম্ফনি,

অদ্ভুত যার চোখ অনুসন্ধানের আলোয়

গর্জনকারী সব কারখানা দেবতা এখানে

কত নীরবে পিষে পড়ন্ত প্রবাহ, বহু রঙের জোয়ার।

গ্রানাইট এবং ইস্পাত উপরের দিকে তোলা হয়ে গেল

আমার ঝর্ণা, চতুরভাবে নির্মিত

যেন জাদুর মতো ধরে রাখা হয়েছে তারে।

অবিশ্বাস্য পাথরে হারিয়ে গেল, আমার নতুন পাহাড়গুলি,

আশ্চর্য আমি নির্বিবেচকভাবে ঘুরে বেড়ালাম।

ক্ষুদ্র পরিশ্রমেই ধরা পড়লাম

দুজনই দুর্বল এবং অলস-

আমি আমার বিস্ময় হারিয়েছি- যেমন আমি ও আমার তাদেরকে হারিয়েছিলাম।

এখানে একটি দৈত্যও উত্তোলিত হয়নি

পারে না কোন মানুষ তদারকি করতে

একটি ভয়ঙ্কর সিম্ফনি উঠলো শুধু  ধ্বংসাত্মক বারে।

ছোট ছোট স্পষ্ট জীবনের প্রতিটি বিস্ময়কে দিয়েছে কুয়াশা-

চিরকুশায়িত প্রয়োজন আর ছোট তৃষ্ণা, ছোট ইচ্ছা-

আমার ওপরে, আমার চারপাশে বজ্রপাত হলো শহরের হৃদয়ের;

যার ধূলির সাথে আমি  করতাম ব্যবসা ।

তবুও বেবিলনের বাইরে পথ ছিল রাজকীয়;

এমনকি জেরুজালেম এর স্বপ্নগুলি ছাড়িয়ে গিয়েছিল- সিংহের কোমর এবং ঈগলের মহিমা যেখানে ঘনজোড়া পোকামাকড় যাকে দেবতা বা স্বামী

কেউ পারতো না করতে স্পর্শ

শুধু অশুচি আর  স্বপ্নের ভূত যা রাতে উড়ে বেড়াতো;

 যেখানে মানুষ মানুষকে জড়িয়েছিল, আর মানুষ করেছিলো তাকে তুচ্ছ,

তবুও এর বিভ্রান্তিকর আলোয় কিছু মুহূর্তে।

তবুও মানুষ ভেবেছিল এবং

স্থাপন করেছিল মহিমা – জীবন্ত শিরার প্রবাহকে পুষ্ট করেছিল,

সঁপে পড়েছিল আত্মসমর্পণে, এর ভয়ানক অস্তিত্বর কষ্ট প্রতিদানে।

একটি জীবন্ত সত্তা, কিন্তু অন্ধ, যেখানে সব ভুল ফুল ফুটেছিল

ব্যবহৃত ভুল ফুল কষ্টের সঙ্গে হয়েছিল আরো চড়া,

ভয়ে ভরা ভিড় প্রবাহিত হতো—

কিছু অদ্ভুত দৃশ্যের বোকা মুহূর্তে উদীয়মান হওয়ার জন্য,

সবসময় ব্যর্থ—এবং এখনও চিরকাল কম্পমান মননের সীমা ছাড়িয়ে,

ইচ্ছার প্রবণতা পিছে ফেলে; সবই ক্লান্ত উদ্দেশ্য এবং ধুসর ভাঁজের ছদ্মবেশের সমষ্টি, কিছু তখনও নির্মিত হয়নি, এখনও নির্মাণের অপেক্ষায়!

আবারও, প্রায় ইচ্ছা, ভীতিকর শহর চোখ খোলেনি-

যা সে বন্ধ করেছিল, যতক্ষণ না তার সবচেয়ে অন্ধকার রাস্তাগুলি আগুনে ভাসছিল ভালবাসা প্রকাশের বিন্দুর জন্য।

তাদের সব চোখ চিরকাল আমার উপর নিবদ্ধ, অন্ধ ব্যথার চোখ, অমোঘ ইচ্ছা:

কিছু তখনও নির্মিত হয়নি, নির্মাণের অপেক্ষায়—কখনো?

 কিছু নির্মিত হয়নি, এখনও নির্মাণের অপেক্ষায়!

( অনুবাদ- পান পাতা)