০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৩১) বিরল মাটির দখলে চীনের জয়যাত্রা ও পরিবেশের চড়া খেসারত বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও কেন চীনের রেয়ার আর্থ আধিপত্য অটুট জৈবজ্বালানি বিধিমালা ও ভূরাজনৈতিক ঝাঁকুনিতে পাম ওয়েল বাজার কৃষকের স্ত্রীর পরিচয়ের ঊর্ধ্বে: লিঙ্গভিত্তিক পরিসর উন্মোচন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে ব্যর্থতার অভিযোগ, আলোচকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪২) ট্রাম্পের শুল্ক চিঠি এশিয়াকে ১ আগস্টের মধ্যে চুক্তি করতে চাপ দিচ্ছে ট্রাম্পের নতুন শুল্কে এশীয় মুদ্রার অবনতি, শেয়ারবাজারে মৃদু পরিবর্তন সেনাপ্রধানের সাথে তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর মান্যবর সেক্রেটারি’র সৌজন্য সাক্ষাৎ

শবনমে মুগ্ধ পূর্ণিমা

  • Sarakhon Report
  • ০৪:২১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 18

সারাক্ষণ প্রতবিদেক

বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী নায়িকা শবনমকে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবত নতুন আরো কোনো সিনেমাতে অভিনয়ে দেখা যায়নি। সর্বশেষ শবনমকে ১৯৯৯ সালের ২৫ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত কাজী হায়াত পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিলো। এই সিনেমায় শবনমের সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন প্রয়াত নায়ক মান্না, চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও নায়ক আমিন খান। অন্যদিকে বলা যায় একই সময়ে সিনেমায় নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমা’র। যে সময়টাতে পূর্ণিমা নায়িকা হিসেবে সিনেমাতে অভিনয় শুরু করলেন সেই সময়টা থেকে আজ অবধি নতুন কোনো সিনেমাতে শবনমের আর অভিনয় করা হয়ে উঠলোনা। যে কারণে শবনমের সঙ্গে সিনেমাতে অভিনয় করার প্রবল আগ্রহ থাকলেও তার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ হয়ে উঠেনি পূর্ণিমার। তবে যেহেতু চলচ্চিত্রাঙ্গনের শিল্পী তারা, তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শবনমের সঙ্গে দেখা হয়েছে পূর্ণিমার। পূর্ণিমা সবসময়ই সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন।

তবে শবনমের সঙ্গে একান্তে বসে তার সিনেমা জীবনের গল্প শোনার সুযোগ হয়ে উঠেনি পূর্ণিমার। শবনমও অবশ্য পূর্ণিমা’কে ভীষণ পছন্দ করেন। পূর্ণিমার ব্যক্তিত্ব, অভিনয় এবং তার বিনয়ের কারণেই শবনম পূর্ণিমা’কে ভীষণ পছন্দ করেন। যে কারণে শবনমও পূর্ণিমা’কে নিমন্ত্রণ করে রেখেছিলেন সময় সুযোগ হলে শবনমের বাসায় যেতে। অবশেষে বিগত কয়েক বছরের পরিকল্পনা শেষে সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের উদ্যোগে গেলো ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে শবনমের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হন পূর্ণিমা। অবশ্য শবনম অবগত ছিলেন না যে পূর্ণিমা তার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, গল্প করতে আসবেন। শবনম তার ড্রইং রুমেই অপেক্ষা করছিলেন। কলিং বেল চাপ দেবার পর দরজা খুলেই যখন পূর্ণিমা’কে দেখলেন শবনম, বিস্মিত হয়ে গেলেন শবনম। অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে রইলেন। এরপর পূর্ণিমাকে তার পাশে বসিয়ে একটু একটু করে গল্পে মেতে উঠেন তারা দুজন। পূর্ণিমাও মুগ্ধ হয়ে শবনমের কাছে তার সিনেমা জীবন, ব্যক্তিগত জীবনের নানান সাফল্যের গল্প, অর্জনের গল্প শুনছিলেন। আবেগঘন মুহুর্তের গল্প, আড্ডার প্রায় তিন ঘন্টা যেন কেটে যায় এক নিমিষেই। এরপর একসঙ্গে বসে দুজন খাওয়া দাওয়া করলেন। ফেরার সময় পূর্ণিমা শবনমকে তার বাসায় যাবার নিমন্ত্রণ করে এলেন। পূর্ণিমাকে ঘিরে মনের মধ্যে উচ্ছ্বাস আনন্দ বয়ে যাওয়া ক্ষণ প্রসঙ্গে শবনম বলেন,‘ পূর্ণিমা ভীষণ লক্ষী একটা মেয়ে।

তার মিষ্টি হাসি, তার বিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। অবশ্যই তার অভিনয়ও আমার ভালোলাগে। হঠাৎ করেই আমার বাসায় তার উপস্থিতি আমাকে সত্যিই ভীষণ বিস্মিত করেছে। ধন্যবাদ বিশেষত অভিকে এই আয়োজনের জন্য। খুউব ভালোলেগেছে পূর্ণিমার সঙ্গে গল্প করে, সময় কাটিয়ে। আমি তার জন্য সবসময়ই অনেক দোয়া করি।’ পূর্ণিমা বলেন,‘ বলা যায় এটা আমার একটা অপূর্ণতা যে আমি শবনম ম্যাডামের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করতে পারিনি। তবে এটা আমার ভীষণ ভালোলাগা যে তিনি আমাকে খুউব স্নেহ করেন, আদর করেন । তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন, তার মতো এতো বড় মাপের যাকে আমরা মহীরূহ বলি-সেই তিনি যখন আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন তখন আসলে কী বলবো বুঝে উঠতে পারিনা। আমিতো মনেকরি আমার অভিনয় তার ভালোলাগার বিষয়টা এক জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। দোয়া করি ম্যাডাম সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। ধন্যবাদ অভি ভাইকে এই সুন্দর সময় উপহার দেবার জন্য।’

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৩১)

শবনমে মুগ্ধ পূর্ণিমা

০৪:২১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ প্রতবিদেক

বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী নায়িকা শবনমকে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবত নতুন আরো কোনো সিনেমাতে অভিনয়ে দেখা যায়নি। সর্বশেষ শবনমকে ১৯৯৯ সালের ২৫ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত কাজী হায়াত পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিলো। এই সিনেমায় শবনমের সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন প্রয়াত নায়ক মান্না, চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও নায়ক আমিন খান। অন্যদিকে বলা যায় একই সময়ে সিনেমায় নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমা’র। যে সময়টাতে পূর্ণিমা নায়িকা হিসেবে সিনেমাতে অভিনয় শুরু করলেন সেই সময়টা থেকে আজ অবধি নতুন কোনো সিনেমাতে শবনমের আর অভিনয় করা হয়ে উঠলোনা। যে কারণে শবনমের সঙ্গে সিনেমাতে অভিনয় করার প্রবল আগ্রহ থাকলেও তার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ হয়ে উঠেনি পূর্ণিমার। তবে যেহেতু চলচ্চিত্রাঙ্গনের শিল্পী তারা, তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শবনমের সঙ্গে দেখা হয়েছে পূর্ণিমার। পূর্ণিমা সবসময়ই সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন।

তবে শবনমের সঙ্গে একান্তে বসে তার সিনেমা জীবনের গল্প শোনার সুযোগ হয়ে উঠেনি পূর্ণিমার। শবনমও অবশ্য পূর্ণিমা’কে ভীষণ পছন্দ করেন। পূর্ণিমার ব্যক্তিত্ব, অভিনয় এবং তার বিনয়ের কারণেই শবনম পূর্ণিমা’কে ভীষণ পছন্দ করেন। যে কারণে শবনমও পূর্ণিমা’কে নিমন্ত্রণ করে রেখেছিলেন সময় সুযোগ হলে শবনমের বাসায় যেতে। অবশেষে বিগত কয়েক বছরের পরিকল্পনা শেষে সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের উদ্যোগে গেলো ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে শবনমের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হন পূর্ণিমা। অবশ্য শবনম অবগত ছিলেন না যে পূর্ণিমা তার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, গল্প করতে আসবেন। শবনম তার ড্রইং রুমেই অপেক্ষা করছিলেন। কলিং বেল চাপ দেবার পর দরজা খুলেই যখন পূর্ণিমা’কে দেখলেন শবনম, বিস্মিত হয়ে গেলেন শবনম। অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে রইলেন। এরপর পূর্ণিমাকে তার পাশে বসিয়ে একটু একটু করে গল্পে মেতে উঠেন তারা দুজন। পূর্ণিমাও মুগ্ধ হয়ে শবনমের কাছে তার সিনেমা জীবন, ব্যক্তিগত জীবনের নানান সাফল্যের গল্প, অর্জনের গল্প শুনছিলেন। আবেগঘন মুহুর্তের গল্প, আড্ডার প্রায় তিন ঘন্টা যেন কেটে যায় এক নিমিষেই। এরপর একসঙ্গে বসে দুজন খাওয়া দাওয়া করলেন। ফেরার সময় পূর্ণিমা শবনমকে তার বাসায় যাবার নিমন্ত্রণ করে এলেন। পূর্ণিমাকে ঘিরে মনের মধ্যে উচ্ছ্বাস আনন্দ বয়ে যাওয়া ক্ষণ প্রসঙ্গে শবনম বলেন,‘ পূর্ণিমা ভীষণ লক্ষী একটা মেয়ে।

তার মিষ্টি হাসি, তার বিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। অবশ্যই তার অভিনয়ও আমার ভালোলাগে। হঠাৎ করেই আমার বাসায় তার উপস্থিতি আমাকে সত্যিই ভীষণ বিস্মিত করেছে। ধন্যবাদ বিশেষত অভিকে এই আয়োজনের জন্য। খুউব ভালোলেগেছে পূর্ণিমার সঙ্গে গল্প করে, সময় কাটিয়ে। আমি তার জন্য সবসময়ই অনেক দোয়া করি।’ পূর্ণিমা বলেন,‘ বলা যায় এটা আমার একটা অপূর্ণতা যে আমি শবনম ম্যাডামের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করতে পারিনি। তবে এটা আমার ভীষণ ভালোলাগা যে তিনি আমাকে খুউব স্নেহ করেন, আদর করেন । তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন, তার মতো এতো বড় মাপের যাকে আমরা মহীরূহ বলি-সেই তিনি যখন আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন তখন আসলে কী বলবো বুঝে উঠতে পারিনা। আমিতো মনেকরি আমার অভিনয় তার ভালোলাগার বিষয়টা এক জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। দোয়া করি ম্যাডাম সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। ধন্যবাদ অভি ভাইকে এই সুন্দর সময় উপহার দেবার জন্য।’