সত্যেন্দ্রকুমার বসু
রক্ষী বোধ হয় জীবনে এ রকম বাগ্মীতা কখনও শোনে নি। এই বক্তৃতায় অভিভূত হয়ে আর বোধ হয় ধর্মভাবেও একটু বিচলিত হয়ে সে পথিককে সাহায্য করতে রাজী হল। তার কাছ থেকে কিছু খাদ্য-সামগ্রী নিয়ে এখান থেকে সোজা তিনি চতুর্থ পাহারা-স্তন্তে পৌঁছলেন।
সেই স্তম্ভের রক্ষীও ধার্মিক, আর প্রথম স্তম্ভের রক্ষীর আত্মীয় ছিল। সে বলল, ‘সীমান্তের যে পঞ্চম (শেষ) দুর্গ আছে, তার কাছে যেন তিনি না যান, কারণ সে দুর্গের রক্ষী বৌদ্ধধর্মবিদ্বেষী।’
এই শেষ দুর্গ পরিহার করবার জন্যে হিউএনচাঙকে বাধ্য হয়ে কামুল বা হামিতে যাবার যেটা সাধারণ যাত্রীদের পথ ছিল, সেটায় না গিয়ে, উত্তর-পশ্চিমের আর এক পথ, যেটা গাশুন গোবির মরুভূমির পথ, যাকে চৈনিকরা বালির নদী বলে, সেই পথে যাবার চেষ্টা করতে হল।
তাঁর জীবনী-লেখক বলেন, ‘এই পথে পশু-পক্ষী, জল বা পশুর খাদ্য ঘাস কিছুই ছিল না। পথিক তাঁর নিজের ছায়া দেখে সময় নির্ণয় করতেন, আর প্রজ্ঞাপারমিতা অধ্যয়ন করতে করতে পথ চলতেন।’
চলবে
হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩)