০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’ সাহসী সাংবাদিকতার স্বীকৃতি পেলেন মতিউর রহমান

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ইতিহাসে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই সময় সাহসী সাংবাদিকতা, তরুণ পাঠকদের যুক্তকরণ এবং সমাজ-সচেতন প্রতিবেদনের জন্য প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান ‘ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অর্জন করেছেন। এই অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে সংবর্ধনা জানিয়েছে নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

নোয়াবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

নোয়াবের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মতিউর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—

  • নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ
  • সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ খান বাদল
  • যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের পরিচালক শামীম ইসলাম
  • ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ
  • বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ
  • সমকালের সম্পাদক শাহেদ মোহাম্মদ আলী
  • সাপ্তাহিক কাউন্টার পয়েন্টের সম্পাদক জাফর সোবহান

নোয়াব সভাপতির লিখিত বক্তব্য

নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন—
মতিউর রহমান বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় প্রধান ব্যক্তিত্ব। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সমাজ বদলের কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আজাদ বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়া ১৯৯৭ ও ২০০২ সালে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে বেসরকারি পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন—
“মতিউর রহমান শুধু প্রথম আলো নয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকেই বিশ্বদরবারে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রথম আলো গড়ে তোলা এবং শীর্ষে নিয়ে যাওয়া তার বড় কীর্তি। সাহস, সততা ও পেশাদারিত্বের যে উদাহরণ তিনি দিয়েছেন, তা সংবাদপত্র শিল্পের জন্য গর্বের বিষয়।”

মতিউর রহমানের বক্তব্য

মতিউর রহমান বলেন—
“জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় দেশের সব সংবাদপত্রই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভূমিকা রেখেছে। আমরা কঠিন সময় পার করেছি। সেই সময় গণমাধ্যমের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

তিনি বলেন—
“গণমাধ্যমে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে। পাঠকের অভ্যাস বদলেছে, আমাদেরকেও বদলাতে হবে। প্রথম আলো শুরুর সময় থেকেই চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা বিশ্বাস করেছি, ভালো কিছু করলে ছাপা পত্রিকাতেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করা যায়। অনেকেই বলেন ছাপা পত্রিকার দিন শেষ, তবে আমি বলি—মানসম্পন্ন কনটেন্টই টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি।”

অন্যদের প্রতিক্রিয়া

নোয়াবের সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ খান বাদল বলেন—
“মতিউর রহমান আমাদের মাথার ওপর বটগাছের মতো। তার পথচলা আমাদের দিশা দেয়।”

যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন—
“তার সাহস, দূরদৃষ্টি, দায়িত্ববোধ শুধু প্রথম আলো নয়, পুরো সাংবাদিকতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।”

এছাড়া বক্তব্য রাখেন ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এবং সমকালের সম্পাদক শাহেদ মোহাম্মদ আলী।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

অনুষ্ঠানে নোয়াবের পক্ষ থেকে মতিউর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। উল্লেখ্য, ‘ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন’ (INMA) প্রদত্ত এই পুরস্কার বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে থেকে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে উদ্ভাবনী উদ্যোগ, পাঠক সম্পৃক্ততা ও সমাজ-সচেতন সাংবাদিকতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’ সাহসী সাংবাদিকতার স্বীকৃতি পেলেন মতিউর রহমান

০৩:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ইতিহাসে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই সময় সাহসী সাংবাদিকতা, তরুণ পাঠকদের যুক্তকরণ এবং সমাজ-সচেতন প্রতিবেদনের জন্য প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান ‘ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অর্জন করেছেন। এই অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে সংবর্ধনা জানিয়েছে নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

নোয়াবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

নোয়াবের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মতিউর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—

  • নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ
  • সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ খান বাদল
  • যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের পরিচালক শামীম ইসলাম
  • ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ
  • বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ
  • সমকালের সম্পাদক শাহেদ মোহাম্মদ আলী
  • সাপ্তাহিক কাউন্টার পয়েন্টের সম্পাদক জাফর সোবহান

নোয়াব সভাপতির লিখিত বক্তব্য

নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন—
মতিউর রহমান বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় প্রধান ব্যক্তিত্ব। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সমাজ বদলের কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আজাদ বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়া ১৯৯৭ ও ২০০২ সালে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে বেসরকারি পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন—
“মতিউর রহমান শুধু প্রথম আলো নয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকেই বিশ্বদরবারে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রথম আলো গড়ে তোলা এবং শীর্ষে নিয়ে যাওয়া তার বড় কীর্তি। সাহস, সততা ও পেশাদারিত্বের যে উদাহরণ তিনি দিয়েছেন, তা সংবাদপত্র শিল্পের জন্য গর্বের বিষয়।”

মতিউর রহমানের বক্তব্য

মতিউর রহমান বলেন—
“জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় দেশের সব সংবাদপত্রই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভূমিকা রেখেছে। আমরা কঠিন সময় পার করেছি। সেই সময় গণমাধ্যমের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

তিনি বলেন—
“গণমাধ্যমে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে। পাঠকের অভ্যাস বদলেছে, আমাদেরকেও বদলাতে হবে। প্রথম আলো শুরুর সময় থেকেই চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা বিশ্বাস করেছি, ভালো কিছু করলে ছাপা পত্রিকাতেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করা যায়। অনেকেই বলেন ছাপা পত্রিকার দিন শেষ, তবে আমি বলি—মানসম্পন্ন কনটেন্টই টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি।”

অন্যদের প্রতিক্রিয়া

নোয়াবের সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ খান বাদল বলেন—
“মতিউর রহমান আমাদের মাথার ওপর বটগাছের মতো। তার পথচলা আমাদের দিশা দেয়।”

যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন—
“তার সাহস, দূরদৃষ্টি, দায়িত্ববোধ শুধু প্রথম আলো নয়, পুরো সাংবাদিকতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।”

এছাড়া বক্তব্য রাখেন ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এবং সমকালের সম্পাদক শাহেদ মোহাম্মদ আলী।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

অনুষ্ঠানে নোয়াবের পক্ষ থেকে মতিউর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। উল্লেখ্য, ‘ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন’ (INMA) প্রদত্ত এই পুরস্কার বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে থেকে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে উদ্ভাবনী উদ্যোগ, পাঠক সম্পৃক্ততা ও সমাজ-সচেতন সাংবাদিকতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।