০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তারেক রহমানের

সমকালের একটি শিরোনাম “ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার”

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির বিশেষ অনুষ্ঠানে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়ে বলেন, ‘আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ও কোটি মানুষের নতুন বাংলাদেশের নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি।

বিএনপি চেয়ারপারসন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘রক্তস্নাত জুলাই-আগস্ট এক বছর পর আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেপ্তার, খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল। এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে বাংলাদেশকে গড়বার।’

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, ‘তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। গুম-বিচারবর্হিভূত হত্যা শিকার যারা হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের সম্মান এবং তাদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “নির্বাচনী জোট গঠনে একমত জামায়াত-গণঅধিকার পরিষদ”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, আমরা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সভায় আশা প্রকাশ করা হয়, উভয় দল আগামী দিনে জাতীয় সংকট মোকাবেলায় একসাথে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনের কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দেশের সব ছোট-বড় দলের মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে আমরা উভয় দলই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে আয়োজনের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অকার্যকর থাকায় জনগণ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়েছে। যদি নির্বাচনের আগে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে একমত পোষণকারী সব দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এসব দাবি আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য দলকে নিয়ে একটি নির্বাচনী জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নূরুল হক নূর তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ‘জুলাই সনদ’ ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তারেক রহমানের”

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন- সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা দেশে ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তিমূলক সমাজ এবং অস্থিতিশীল সরকার সৃষ্টির কারণ হতে পারে কিনা, এই বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে আরও একবার ভেবে দেখার জন্য আমি সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বিনীত অনুরোধ করবো। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের আড়ালে পুনরায় দেশে নিজেদের অজান্তে পতিত, পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের পথ সুগম করে দেবে, এই বিষয়টিও সবাইকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি ভাবা দরকার বলেও মনে করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি’র উদ্যোগে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’- শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের সম্মানে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। এতে গুলশানের বাসায় ফিরোজা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’- শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি ইস্যুকে আরেকটি ইস্যুর বেড়াজালে আটকিয়ে না রাখা উচিত বলে গণতন্ত্রকামী জনগণ বিশ্বাস করে। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন দল চিন্তা-ভাবনা করে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। দেশ এবং জনগণের কল্যাণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই যার যার বিবেচনায় উত্তম প্রস্তাবই উপস্থাপন করেছেন। তবে প্রস্তাব ভালো হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বা বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য উপযোগী কি না, সেটি বিবেচনা করার জন্য আপনাদের আমি আহ্বান জানাই। কোনো কোনো দল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। বিশ্বের কোনো কোনো দেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতা, ভৌগলিক বিবেচনা এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য এই ব্যবস্থা কতটুকু উপযোগী বা উপযোগী কি না, সেটি ভেবে দেখার জন্য আমি সকলের প্রতি অনুরোধ রাখবো।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ৬ মাস পরিচালিত হবে নিউমুরিং টার্মিনাল”

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় নতুন করে অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ছয় মাসের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এজন্য মাসিক ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা হারে ছয় মাসে মোট ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কার্যক্রম অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন করেছে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুলতানা সালেহা সুমী স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি ক্রয় আইন ২০০৬-এর ৬৮ ধারা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও সংশ্লিষ্ট ওভারফ্লো ইয়ার্ড পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন অপারেটর নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। সরকারি ক্রয় আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এনসিটি পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য বন্দরকে নির্দেশনাও দেয়া হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

নাম না প্রকাশের শর্তে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এনসিটির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আগামী ৬ জুলাই শেষ হবে। পরবর্তী অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ছয় মাস মেয়াদে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এনসিটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সভায় এটা অনুমোদিত হয়েছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তারেক রহমানের

০৮:৪০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার”

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির বিশেষ অনুষ্ঠানে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়ে বলেন, ‘আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ও কোটি মানুষের নতুন বাংলাদেশের নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি।

বিএনপি চেয়ারপারসন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘রক্তস্নাত জুলাই-আগস্ট এক বছর পর আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেপ্তার, খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল। এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে বাংলাদেশকে গড়বার।’

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, ‘তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। গুম-বিচারবর্হিভূত হত্যা শিকার যারা হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের সম্মান এবং তাদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “নির্বাচনী জোট গঠনে একমত জামায়াত-গণঅধিকার পরিষদ”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, আমরা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সভায় আশা প্রকাশ করা হয়, উভয় দল আগামী দিনে জাতীয় সংকট মোকাবেলায় একসাথে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনের কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দেশের সব ছোট-বড় দলের মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে আমরা উভয় দলই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে আয়োজনের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অকার্যকর থাকায় জনগণ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়েছে। যদি নির্বাচনের আগে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে একমত পোষণকারী সব দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এসব দাবি আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য দলকে নিয়ে একটি নির্বাচনী জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নূরুল হক নূর তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ‘জুলাই সনদ’ ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তারেক রহমানের”

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন- সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা দেশে ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তিমূলক সমাজ এবং অস্থিতিশীল সরকার সৃষ্টির কারণ হতে পারে কিনা, এই বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে আরও একবার ভেবে দেখার জন্য আমি সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বিনীত অনুরোধ করবো। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের আড়ালে পুনরায় দেশে নিজেদের অজান্তে পতিত, পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের পথ সুগম করে দেবে, এই বিষয়টিও সবাইকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি ভাবা দরকার বলেও মনে করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি’র উদ্যোগে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’- শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের সম্মানে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। এতে গুলশানের বাসায় ফিরোজা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’- শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি ইস্যুকে আরেকটি ইস্যুর বেড়াজালে আটকিয়ে না রাখা উচিত বলে গণতন্ত্রকামী জনগণ বিশ্বাস করে। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন দল চিন্তা-ভাবনা করে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। দেশ এবং জনগণের কল্যাণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই যার যার বিবেচনায় উত্তম প্রস্তাবই উপস্থাপন করেছেন। তবে প্রস্তাব ভালো হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বা বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য উপযোগী কি না, সেটি বিবেচনা করার জন্য আপনাদের আমি আহ্বান জানাই। কোনো কোনো দল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। বিশ্বের কোনো কোনো দেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতা, ভৌগলিক বিবেচনা এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য এই ব্যবস্থা কতটুকু উপযোগী বা উপযোগী কি না, সেটি ভেবে দেখার জন্য আমি সকলের প্রতি অনুরোধ রাখবো।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ৬ মাস পরিচালিত হবে নিউমুরিং টার্মিনাল”

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় নতুন করে অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ছয় মাসের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এজন্য মাসিক ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা হারে ছয় মাসে মোট ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কার্যক্রম অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন করেছে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুলতানা সালেহা সুমী স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি ক্রয় আইন ২০০৬-এর ৬৮ ধারা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও সংশ্লিষ্ট ওভারফ্লো ইয়ার্ড পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন অপারেটর নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। সরকারি ক্রয় আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এনসিটি পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য বন্দরকে নির্দেশনাও দেয়া হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

নাম না প্রকাশের শর্তে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এনসিটির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আগামী ৬ জুলাই শেষ হবে। পরবর্তী অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ছয় মাস মেয়াদে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এনসিটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সভায় এটা অনুমোদিত হয়েছে।