সংক্ষিপ্ত নিয়ম: ঘন বিয়োগ কর, বীজের বর্গকে ৩ দিয়ে গুণ করে ভাগ দাও
অর্থাৎ ৩০১২, ভাগফলের বর্গকে পূর্বের বীজকে ৩ গুণ কর তৎপর উভয়কে গুণ করে বিয়োগ কর; ২২০৩০১, ভাগফলের ঘন (করে। ভাগ কর। কর। ভাগফলের বর্গের সঙ্গে গুণ করে বিয়োগ কর। কর। পূর্বের বীজের ৩ গুণ ভাগফলের ঘন বিয়োগ
আধুনিক পদ্ধতি:
করণী
ভারতীয়রা শুধু মূলদরাশির ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হন নি। তাঁরা অমূলদরাশির ব্যবহার নিয়েও মাথা ঘামিয়েছেন। তাঁরা জানতেন কোন বর্গক্ষেত্রের কর্ণকে
গাণিতিক নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ করতে গেলে অমূলদ রাশির সাক্ষাত পাওয়া যাবে। প্রকৃত পক্ষে অমূলদ রাশির কথা ৮০০ খ্রীষ্টপূর্বে মহর্ষি বৌধায়ন রচিত বৌধায়ন শুন সূত্রে পাওয়া যায়। মহর্ষি বৌধায়ন বলেছেন-
“প্রমাণং তৃতীয়েন বর্ণয়েত, তচ্চতুর্থংনাত্মচতুস্ত্রিংশোনেন সবিশেষঃ।” ৬১-৮২ অর্থাৎ (যে বর্গক্ষেত্রের দ্বিকরণী নির্ণয় করতে হবে) তার বাহুর সঙ্গে ঐ বাহুর এক তৃতীয়াংশ যোগ কর। তৎপর এর এক চতুর্থাংশ যোগ কর। তৎপর এর এক চৌত্রিশাংশ বিয়োগ কর। অর্থাৎ
এ প্রসঙ্গে মহর্ষি কাত্যায়ন বলেছেন
“করণীং তৃতীয়েন বর্ধয়েতচ্চখচতুর্থংনাত্মচতুস্ত্রিংশোনেন ইতি বিশেষঃ।”
আপস্তম্ব অবশ্য বৌধায়নের উক্তিটিকে অনুসরণ করেছেন।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২২৪)