অর্থাৎ প্রথম রাশিটি ঘনের স্থান। পরের দুইটি স্থান ঘন ভিন্ন; অবশিষ্ট সেই প্রকার। শেষ ঘন স্থান হইতে ঘন গ্রহণ করিতে হইবে এবং পৃথক স্থানে বসাইতে হইবে। সেই বর্গমূলের তিনগুণ করিয়া পরের রাশি দ্বারা ভাগ করিতে হইবে। ভাগফল পরের পঙক্তিতে স্থাপন করতে হইবে। পরের রাশি হইতে যাহাকে তিনগুণ করা হইয়াছিল তাহা বিয়োগ করিতে হইবে এবং ঘনকেও পরেরটি হইতে বাদ দিতে হইবে। এই পঙতিটিই ঘনমূল। প্রয়োজনানুসারে এইরূপ পুনঃ পুনঃ করা যাইতে পারে।
এই প্রসঙ্গে প্রথম আর্যভট বলেছেন:
অঘনাদ ভজেদ্ দ্বিতীয়াত, ত্রিগুণেন ঘন্য মূলবর্গেন
বর্গাস্ত্রিপূর্বগুণিতঃ শোধ্যঃ প্রথমাদ ঘনশ্চ ঘনাত,।”
ব্রহ্মগুপ্ত বলেছেন:
ছেলো ঘনাদ দ্বিতীয়াদ ঘনমূলকৃতিস্ত্রি সংগুণাগুকৃতিঃ
শোধ্যা ত্রিপূর্বগুণিতা প্রথমাদ্ ঘনতো ঘনো মূলম্।”
শ্রীধরাচার্য বলেছেন:
“ঘনপদ্মঘনপদে যে ঘনপতোহপাস্ত ঘনমতো মূলম্
সংযোজ্য তৃতীয়পদ শ্যাবস্তদনষ্টবর্গেণ।”
দ্বিতীয় আর্যভট বলেছেন:
ঘনভাজ্যশোধ্যসংজ্ঞানি পদানি ঘনং ত্যজেত, স্বপদাত।
মূলংভাজ্যপদাবো নিধায় তদনষ্ট বর্গেন
ত্রিগুণেন ভজেত, স্বপদান্নন্ধং বিনিবেশ্য পড়ুক্তৌতত,
বর্গ ত্রিপূর্ববধজৎ জহাচ্ছোধ্যাত, ধনং চ ধনপদতঃ
তন্ম, লং ভাজ্যাধো নিধায় কার্যো বিধি প্রায়ত।
যাই হোক ভারতীয় পদ্ধতিতে যা বলা হয়েছে তার সাহায্যে একটি উদাহরণ পূর্ণ সমাধান করে দেওয়া হোল সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক পদ্ধতিটিও তুলে ধরা হ’ল-
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২২৩)