১২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৮৩৪ জন পাকিস্তানের দুর্ভিক্ষের বছর? প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীদের আমরণ অনশন ৬৫ ঘণ্টা অতিক্রম, সরকারের নীরবতা অব্যাহত গণভোটের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই: বিএনপি নেতা আমীর খসরু

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৫)

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা ইস্পাহানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি ১৯৪৮ সালে ৩৫ বিঘার এই বাগানবাড়িটি জিতেন্দ্র কুমারের কাছ থেকে কিনে নেন।

ইব্রাহীম খান

আট বছর (১৬১৬-১৬২৪) বাংলার সুবাদার ছিলেন ইব্রাহীম খান ফতেজং। সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় তিনি এই নিয়োগ পান। সম্পর্কে ছিলেন সম্রাটের শ্যালক। যুদ্ধে যুদ্ধেই তাঁকে অনেকটা সময় কাটাতে হয়েছে। ত্রিপুরা জয় করেছিলেন।

মগদের আক্রমণ শুধু প্রতিহত নয়, তাদের বিতাড়িত করেছিলেন। যুবরাজ খুররম বা পরবর্তীকালের সম্রাট শাহজাহানের সঙ্গে এক সংঘর্ষে রাজমহলে নিহত হন। ঢাকার ইব্রাহিমপুর তাঁর নামের স্মৃতি বহন করছে।

ইস্পাহানি কলোনি

প্রায় আশি বছর ধরে ইস্পাহানি কলোনি বা আবাসিক এলাকাটি ঢাকার বৈশিষ্ট্যময় এলাকা হিসেবে পরিচিত।

ইস্পাহানি কলোনি

মগবাজারের মোড় ও পদ্মা রাষ্ট্রীয় ভবনের মাঝে অবস্থান ইস্পাহানি কলোনি। আগে ছিল এটি ঢাকার একজন জমিদার জিতেন্দ্র কুমার দাস-এর সম্পত্তি। তখন এই এলাকার নাম ছিল ফ্রি স্কুল স্ট্রিট। তবে মনে হয়, কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা ইস্পাহানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি ১৯৪৮ সালে ৩৫ বিঘার এই বাগানবাড়িটি জিতেন্দ্র কুমারের কাছ থেকে কিনে নেন।

এবং এখানে জিতেন্দ্র কুমারের বাড়িটিতেই  বসবাস শুরু করেন। পরে এখানে তাঁর অফিস কর্মচারীদের জন্য ছোট ছোট বাড়ি করা হয়। ফুলে ফলে ঘেরা এই আবাসিক এলাকা তখন বৈশিষ্ট্যময় হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার শুরুতে কর্মচারীদের অনেকে অবাঙালি হওয়ায় তারা চলে যায়। সদ্য গঠিত বাংলাদেশ সরকারের সচিব পর্যায়ের অনেকে এখানে বাড়ি ভাড়া নেন।

ফলে বলা যেতে পারে এটি ‘আভিজাত্য’ লাভ করে। ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান সবসময় এ কলোনিতেই বাস করতেন। সম্প্রতি এই কলোনির পুরনো বাড়ি সব ভেঙে বহুতল বিশিষ্ট ফ্ল্যাট বাড়ি করা হয়েছে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৪)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৪)

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৫)

০৭:০০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা ইস্পাহানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি ১৯৪৮ সালে ৩৫ বিঘার এই বাগানবাড়িটি জিতেন্দ্র কুমারের কাছ থেকে কিনে নেন।

ইব্রাহীম খান

আট বছর (১৬১৬-১৬২৪) বাংলার সুবাদার ছিলেন ইব্রাহীম খান ফতেজং। সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় তিনি এই নিয়োগ পান। সম্পর্কে ছিলেন সম্রাটের শ্যালক। যুদ্ধে যুদ্ধেই তাঁকে অনেকটা সময় কাটাতে হয়েছে। ত্রিপুরা জয় করেছিলেন।

মগদের আক্রমণ শুধু প্রতিহত নয়, তাদের বিতাড়িত করেছিলেন। যুবরাজ খুররম বা পরবর্তীকালের সম্রাট শাহজাহানের সঙ্গে এক সংঘর্ষে রাজমহলে নিহত হন। ঢাকার ইব্রাহিমপুর তাঁর নামের স্মৃতি বহন করছে।

ইস্পাহানি কলোনি

প্রায় আশি বছর ধরে ইস্পাহানি কলোনি বা আবাসিক এলাকাটি ঢাকার বৈশিষ্ট্যময় এলাকা হিসেবে পরিচিত।

ইস্পাহানি কলোনি

মগবাজারের মোড় ও পদ্মা রাষ্ট্রীয় ভবনের মাঝে অবস্থান ইস্পাহানি কলোনি। আগে ছিল এটি ঢাকার একজন জমিদার জিতেন্দ্র কুমার দাস-এর সম্পত্তি। তখন এই এলাকার নাম ছিল ফ্রি স্কুল স্ট্রিট। তবে মনে হয়, কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা ইস্পাহানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি ১৯৪৮ সালে ৩৫ বিঘার এই বাগানবাড়িটি জিতেন্দ্র কুমারের কাছ থেকে কিনে নেন।

এবং এখানে জিতেন্দ্র কুমারের বাড়িটিতেই  বসবাস শুরু করেন। পরে এখানে তাঁর অফিস কর্মচারীদের জন্য ছোট ছোট বাড়ি করা হয়। ফুলে ফলে ঘেরা এই আবাসিক এলাকা তখন বৈশিষ্ট্যময় হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার শুরুতে কর্মচারীদের অনেকে অবাঙালি হওয়ায় তারা চলে যায়। সদ্য গঠিত বাংলাদেশ সরকারের সচিব পর্যায়ের অনেকে এখানে বাড়ি ভাড়া নেন।

ফলে বলা যেতে পারে এটি ‘আভিজাত্য’ লাভ করে। ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান সবসময় এ কলোনিতেই বাস করতেন। সম্প্রতি এই কলোনির পুরনো বাড়ি সব ভেঙে বহুতল বিশিষ্ট ফ্ল্যাট বাড়ি করা হয়েছে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৪)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৪)