০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির ৯ আসামিসহ সবাই খালাস

  • Sarakhon Report
  • ০২:৩০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 13

নিজস্ব প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগের বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৯ জন ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ২৫ জনসহ এই মামলার সকল আসামীকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের আবেদন) শুনানি শেষে বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ , অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান।

হাইকোট রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, বিচারিক আদালত যে রায় দিয়েছেন, ‘তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিশেষ কোনো ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত। বিচারিক আদালতের রায়ে বিচারকের বিচারিক মননের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। বিজ্ঞ বিচারক গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে এই রায় দিয়েছেন। এ যেন বেড়ায় খেত খাওয়ার মত। মূলত এটি একটি বিদ্বেষপ্রসূত মামলা, যেখানে তিলকে তাল করা হয়েছে।’এ মামলার সাক্ষ্য নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘তর্কিত ঘটনাটি ঘটে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে। স্টেশনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন থাকেন। প্রকৃতপক্ষে সেদিন কী ঘটেছিল, নিশ্চয়ই তারা তা দেখেছেন। কিন্তু এ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী নিরপেক্ষ কোনো ব্যক্তিকে সাক্ষী করা হয়নি। সাক্ষী করা হয়েছে, একটি রাজনৈতিক দলের অনুগত ও পদধারীদের।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পাবনা বিএনপির শতশত নেতাকর্মী এনেক্স কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে অবস্থান নেন। রায় শোনার পর তারা উল্লাসে ফেটে পড়েন। বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত যাদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট তারা হলেন: এ কে এম আক্তারুজ্জামান, মো. জাকারিয়া পিন্টু, মোখলেছুর রহমান বাবলু, রেজাউল করিম শাহীন, শহীদুল ইসলাম অটল, আজিজুর রহমান ফড়িং, শ্যামল, মাহাবুবুর রহমান পলাশ ও শামসুল আলম। যাবজ্জীবন দন্ডিত ২৫ জন হলেন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, আজাদ হোসেন ওরফে খোকন, ইসমাইল হোসেন ওরফে জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শামসুর রহমান, আনিসুর রহমান, আক্কেল আলী, মোহাম্মদ রবি, মোহাম্মদ এনাম, আবুল কাশেম, কালা বাবু, মো. মামুন, মামুন-২, সেলিম হোসেন, মো. কল্লোল , তুহিন, শাহ আলম ওরফে লিটন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, লাইজু, আব্দুল জব্বার, পলাশ, আবদুল হাকিম, আলমগীর হোসেন, এ কে এম ফিরোজুল ইসলাম ওরফে পায়েল ও আবুল কালাম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মজিবুর রহমান। গত ৩০ জানুয়ারি আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এই মামলায় রায় দেন পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল- ৩এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. রুস্তম আলী। রায়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড , ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। রায়ের পর বিচারিক আদালতের রায়সহ যাবতীয় নথিপত্র ২০১৯ সালে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

আইনজীবীদের তথ্য মতে, বিচারিক আদালতের রায়ে দন্ডিত ৪৭ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে দুজন মারা গেছেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৯ জন ছাড়া বাকিরা গত ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদী জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। কিন্তু আদালত সে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার অভিযোগপত্র জমা দেয়।

বিচার শেষে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। আর ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ১০ বছর দন্ডিত আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা ও ঈশ্বরদী উপজেলার শাহাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, আজমল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. রনো, মো. বরকত, চাঁদ আলী, এনামুল কবির, মো. মোক্তার, হাফিজুর রহমান মুকুল, হুমায়ন কবির ওরফে দুলাল, জামরুল, তুহিন বিন সিদ্দিক ও ফজলুর রহমান।

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির ৯ আসামিসহ সবাই খালাস

০২:৩০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগের বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৯ জন ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ২৫ জনসহ এই মামলার সকল আসামীকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের আবেদন) শুনানি শেষে বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ , অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান।

হাইকোট রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, বিচারিক আদালত যে রায় দিয়েছেন, ‘তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিশেষ কোনো ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত। বিচারিক আদালতের রায়ে বিচারকের বিচারিক মননের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। বিজ্ঞ বিচারক গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে এই রায় দিয়েছেন। এ যেন বেড়ায় খেত খাওয়ার মত। মূলত এটি একটি বিদ্বেষপ্রসূত মামলা, যেখানে তিলকে তাল করা হয়েছে।’এ মামলার সাক্ষ্য নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘তর্কিত ঘটনাটি ঘটে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে। স্টেশনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন থাকেন। প্রকৃতপক্ষে সেদিন কী ঘটেছিল, নিশ্চয়ই তারা তা দেখেছেন। কিন্তু এ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী নিরপেক্ষ কোনো ব্যক্তিকে সাক্ষী করা হয়নি। সাক্ষী করা হয়েছে, একটি রাজনৈতিক দলের অনুগত ও পদধারীদের।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পাবনা বিএনপির শতশত নেতাকর্মী এনেক্স কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে অবস্থান নেন। রায় শোনার পর তারা উল্লাসে ফেটে পড়েন। বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত যাদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট তারা হলেন: এ কে এম আক্তারুজ্জামান, মো. জাকারিয়া পিন্টু, মোখলেছুর রহমান বাবলু, রেজাউল করিম শাহীন, শহীদুল ইসলাম অটল, আজিজুর রহমান ফড়িং, শ্যামল, মাহাবুবুর রহমান পলাশ ও শামসুল আলম। যাবজ্জীবন দন্ডিত ২৫ জন হলেন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, আজাদ হোসেন ওরফে খোকন, ইসমাইল হোসেন ওরফে জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শামসুর রহমান, আনিসুর রহমান, আক্কেল আলী, মোহাম্মদ রবি, মোহাম্মদ এনাম, আবুল কাশেম, কালা বাবু, মো. মামুন, মামুন-২, সেলিম হোসেন, মো. কল্লোল , তুহিন, শাহ আলম ওরফে লিটন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, লাইজু, আব্দুল জব্বার, পলাশ, আবদুল হাকিম, আলমগীর হোসেন, এ কে এম ফিরোজুল ইসলাম ওরফে পায়েল ও আবুল কালাম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মজিবুর রহমান। গত ৩০ জানুয়ারি আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এই মামলায় রায় দেন পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল- ৩এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. রুস্তম আলী। রায়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড , ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। রায়ের পর বিচারিক আদালতের রায়সহ যাবতীয় নথিপত্র ২০১৯ সালে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

আইনজীবীদের তথ্য মতে, বিচারিক আদালতের রায়ে দন্ডিত ৪৭ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে দুজন মারা গেছেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৯ জন ছাড়া বাকিরা গত ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদী জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। কিন্তু আদালত সে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার অভিযোগপত্র জমা দেয়।

বিচার শেষে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। আর ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ১০ বছর দন্ডিত আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা ও ঈশ্বরদী উপজেলার শাহাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, আজমল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. রনো, মো. বরকত, চাঁদ আলী, এনামুল কবির, মো. মোক্তার, হাফিজুর রহমান মুকুল, হুমায়ন কবির ওরফে দুলাল, জামরুল, তুহিন বিন সিদ্দিক ও ফজলুর রহমান।