প্রদীপ কুমার মজুমদার
পচিশ-২৫, ঐতরেয় আরণ্যকে পুরুষ ২৫ ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে “পঞ্চবিংশোহয়ং পুরুষো দশ হস্ত। অদুলয়ো দশ পাথ্যা দ্বা উরু বাহু, আত্মৈব পঞ্চবিংশশু-মিমাত্মানং পঞ্চবিংশং সংস্কৃরুতে।” অর্থাৎ পুরুষ, পঞ্চবিংশ, তাহার দশটি হস্তাদুল, দুই উরু, দুই বাহু ও এক আত্মা একুনে পচিশ। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে পুরুষ সংজ্ঞাটি পরবর্তীকালে লোপ পায়।
ছাব্বিশ -২৬, গণিত সার সংগ্রহে উৎকৃতি- ২৬ ধরা হয়েছে।
সাতাশ – ২৭, ভং গ্রীষ্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীতে লিখিত বেদাঙ্গ জ্যোতিষে ভ-২৭ বলা হয়েছে। যেমন একজায়গায় বলা হয়েছে “বিভজ্য ভসমূহেন।” তাছাড়া “শ্রবিষ্ঠাভ্যো গণাভ্যস্তান” অংশটি দেখা আছে। এখানে গণ- ভগণ-২৭, এছাড়াও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে, ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে ভ-২৭ ধরা হয়েছে। অনেক পণ্ডিত মনে করেন ৪২৭ শকের পূর্বে ভ-২৭ ব্যবহৃত হয় নাই। তবে এ মত খুব একটা জোরাল নয়।
বত্রিশ ৩২, দন্ত, রদ প্রভৃতি।
তেত্রিশ-৩৩, দেব, অমর, স্বর, নির্জর প্রভৃতি।
ঊনপঞ্চাশ-৪৯, মরুত, বাত, মারুত, সমীরণ, তান প্রভৃতি।
তিনশ যাট-৩৬০, ভাংশ, চক্রাংশ প্রভৃতি।
(চলবে)