১০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৪) কেন নদী, বিলে, খালে এত অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ এশিয়ায় জোট জোরদার: চীন-ভারতের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফেডারেল শাটডাউন–এ স্থগিত ‘ফুড স্ট্যাম্প’ কর্মসূচি; ৪১ মিলিয়ন দরিদ্র আমেরিকানের অনিশ্চয়তা ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা: ৬০ বছরে সর্বোচ্চ নদীর পানি জুলাই সনদে নতুন সংযোজনের দায় নেবে না বিএনপি দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহর থমকে গেল —দুর্ভোগে ভাসল রাজধানী উত্তরায় জুলাইযোদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যুঃ ছবি দেখে মনে হয় কেউ ঝুলিয়ে রেখেছে  কাইট বিচে ব্যায়াম, উদ্দীপনা ও সামাজিক সংহতিতে প্রাণবন্ত সূচনা নারীর অধিকার ও সাংস্কৃতিক জাগরণে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার আহ্বান — সাপ্তাহিক ‘পঙক্তি’র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে বক্তারা

উচ্চ আদালতের নির্দেশ: চাকরিচ্যুত ৮৫ কর্মকর্তার চাকরি ফেরত

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 66

সারাক্ষণ রিপোর্ট

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের উচ্চ আদালত। পাশাপাশি তাদের সব সুযোগ-সুবিধাও ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব কর্মকর্তা মামলার চলাকালীন মারা গেছেন, তাদের পরিবারকেও একই সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আদালতের রায়

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আজকের দিনটি রায়ের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন।

ঘটনার পেছনের ইতিহাস

  • নিয়োগ ও বিতর্ক:
    ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগটি চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে হওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
  • মূল্যায়ন ও চাকরিচ্যুতি:
    ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্কিত নিয়োগ পর্যালোচনার জন্য মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়। এর ফলে ৮৫ জনকে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।

  • আইনি লড়াই:
    চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়।

আদালতের সিদ্ধান্তের গুরুত্ব

এই রায়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৮ বছর পর চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা তাদের চাকরি ও সব সুবিধা ফেরত পাবেন। এটি শুধু ব্যক্তিগত পুনর্বহাল নয়, বরং প্রশাসনিক ন্যায়বিচারেরও উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৪)

উচ্চ আদালতের নির্দেশ: চাকরিচ্যুত ৮৫ কর্মকর্তার চাকরি ফেরত

০৯:০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের উচ্চ আদালত। পাশাপাশি তাদের সব সুযোগ-সুবিধাও ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব কর্মকর্তা মামলার চলাকালীন মারা গেছেন, তাদের পরিবারকেও একই সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আদালতের রায়

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আজকের দিনটি রায়ের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন।

ঘটনার পেছনের ইতিহাস

  • নিয়োগ ও বিতর্ক:
    ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগটি চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে হওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
  • মূল্যায়ন ও চাকরিচ্যুতি:
    ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্কিত নিয়োগ পর্যালোচনার জন্য মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়। এর ফলে ৮৫ জনকে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।

  • আইনি লড়াই:
    চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়।

আদালতের সিদ্ধান্তের গুরুত্ব

এই রায়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৮ বছর পর চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা তাদের চাকরি ও সব সুবিধা ফেরত পাবেন। এটি শুধু ব্যক্তিগত পুনর্বহাল নয়, বরং প্রশাসনিক ন্যায়বিচারেরও উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।