০৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ: মৃত ৩৭, ক্ষতি ৪০০ কোটি টাকারও বেশি ডা. বিধানচন্দ্র রায়: এক স্বপ্নদ্রষ্টা চিকিৎসক, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাষ্ট্রনায়ক হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত জাপানি নাগরিকদের—পরিচয় ও পরিবারের কথা প্রথম বারের মতো বিজেপি নারী সভাপতি পেতে যাচ্ছে? সাম্প্রতিক এশিয়ান কাপের সাফল্য ও বাংলাদেশের নারী ফুটবলের নতুন দিগন্ত নতুন সিনেমায় আশাবাদী মন্দিরা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা — বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিচয়চিহ্ন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো ও মতিয়া চৌধুরী প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জে সামরিক ঘাঁটির উদ্দেশ্য অস্বীকার করল চীন এনসিপি কি ‘মব’ দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায়?

বেতন নিয়ে বিপাকে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • রমজান মাসের আগে বেতন না পাওয়ায় শিক্ষকরা চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন
  • সরকার সম্প্রতি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে বেতন প্রদান শুরু করেছে
  • শিক্ষকদের নাম, জন্মতারিখ, এবং অন্যান্য তথ্যে ছোটখাটো অমিলের কারণে সার্ভারে তাদের তথ্য যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে
  • এফটি প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য তথ্য যাচাই করা হচ্ছে এবং লোকবল সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে

দেশের প্রায় সাড়ে তিন লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী এখনো জানুয়ারির বেতন পাননি, যা তাদের জন্য চরম অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। রমজান মাসের আগে বেতন না পাওয়ায় অনেকেই বাসা ভাড়া, ঋণের কিস্তি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ চালাতে পারছেন না।

খুলনার এক শিক্ষক চিত্ত রঞ্জন মন্ডল বলেন, “ঋণ নিয়ে চলছি, কিন্তু আর সম্ভব হচ্ছে না। বাসা ভাড়া বাকি, ঔষধ কেনার টাকাও নেই।” তিনি বেতনের খোঁজে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) গেলেও কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর পাননি।

পিরোজ পুরের শিক্ষক রেজাউল চৌধুরী জানান, তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ও শিক্ষাগত সনদের নামের অমিলের কারণে তিনি এখনো সার্ভারে এন্ট্রি নিতে পারেননি, ফলে বেতনও পাচ্ছেন না।

ইএফটি প্রক্রিয়ার কারণে বেতন বিলম্ব

সরকার সম্প্রতি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে বেতন প্রদান শুরু করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

  • কী সমস্যা হচ্ছে?
    • অনেক শিক্ষকের নাম জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত সনদের সঙ্গে মিলছে না।
    • ডট (.), কমা (,), হাইফেন (-) ইত্যাদির ব্যবধানের কারণেও সার্ভারে নাম উঠছে না।
    • বিবাহ পরবর্তী নাম পরিবর্তন করা শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।
    • যাদের নামের ৫০% এর বেশি অমিল আছে এবং জন্মতারিখ ভুল, তাদের তথ্য সংশোধন করেই ইএফটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।

  • বেতন পেতে দেরি কেন?
    • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন পেলেই বেতন ছাড় করা হবে।
    • ফেব্রুয়ারির বেতন নিয়ে ইএফটি সেল এখনো কাজই শুরু করেনি।
    • কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এপ্রিল পর্যন্ত এই সমস্যাটি চলতে পারে।

ইএফটির বর্তমান অবস্থা

  • ৫ই অক্টোবর থেকে ইএফটি চালু হয়েছে শিক্ষকদের বেতন সহজলভ্য করতে।
  • প্রথম দফায় ২০৯ জন শিক্ষক পরীক্ষামূলকভাবে ইএফটি পেয়েছেন।
  • জানুয়ারিতে ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটি পদ্ধতিতে বেতন পেয়েছেন।
  • দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে ৬৭ হাজার, ৮৪ হাজার এবং ৮,২০০ শিক্ষকের বেতন দেওয়া হয়েছে।
  • ডিসেম্বরের বেতন পাওয়া গেলেও জানুয়ারির বেতন এখনো অনেকের কাছে পৌঁছেনি।

মাউশি ও ইএমআইএস সেলের বক্তব্য:

  • একজন সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট বলেছেন, প্রতিটি শিক্ষকের তথ্য যাচাই করতে হচ্ছে, তাই সময় লাগছে। লোকবল সংকটও রয়েছে।
  • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন প্রক্রিয়া হওয়ায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, তবে সমাধানে কাজ চলছে।
  • যুগ্ম-সচিব মোর্শেদা আক্তার বলেন, বেতন বিতরণ নিয়মিত করতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

উপসংহার

শিক্ষকরা বর্তমানে চরম ভোগান্তির মধ্যে আছেন, বিশেষ করে আর্থিক সংকটের কারণে। নতুন ইএফটি পদ্ধতি বেতন প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। কর্মকর্তারা আশাবাদী, এপ্রিলের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান হবে এবং নিয়মিত বেতনপ্রদান সম্ভব হবে।

টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ: মৃত ৩৭, ক্ষতি ৪০০ কোটি টাকারও বেশি

বেতন নিয়ে বিপাকে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক

০৩:০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • রমজান মাসের আগে বেতন না পাওয়ায় শিক্ষকরা চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন
  • সরকার সম্প্রতি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে বেতন প্রদান শুরু করেছে
  • শিক্ষকদের নাম, জন্মতারিখ, এবং অন্যান্য তথ্যে ছোটখাটো অমিলের কারণে সার্ভারে তাদের তথ্য যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে
  • এফটি প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য তথ্য যাচাই করা হচ্ছে এবং লোকবল সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে

দেশের প্রায় সাড়ে তিন লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী এখনো জানুয়ারির বেতন পাননি, যা তাদের জন্য চরম অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। রমজান মাসের আগে বেতন না পাওয়ায় অনেকেই বাসা ভাড়া, ঋণের কিস্তি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ চালাতে পারছেন না।

খুলনার এক শিক্ষক চিত্ত রঞ্জন মন্ডল বলেন, “ঋণ নিয়ে চলছি, কিন্তু আর সম্ভব হচ্ছে না। বাসা ভাড়া বাকি, ঔষধ কেনার টাকাও নেই।” তিনি বেতনের খোঁজে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) গেলেও কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর পাননি।

পিরোজ পুরের শিক্ষক রেজাউল চৌধুরী জানান, তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ও শিক্ষাগত সনদের নামের অমিলের কারণে তিনি এখনো সার্ভারে এন্ট্রি নিতে পারেননি, ফলে বেতনও পাচ্ছেন না।

ইএফটি প্রক্রিয়ার কারণে বেতন বিলম্ব

সরকার সম্প্রতি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে বেতন প্রদান শুরু করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

  • কী সমস্যা হচ্ছে?
    • অনেক শিক্ষকের নাম জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত সনদের সঙ্গে মিলছে না।
    • ডট (.), কমা (,), হাইফেন (-) ইত্যাদির ব্যবধানের কারণেও সার্ভারে নাম উঠছে না।
    • বিবাহ পরবর্তী নাম পরিবর্তন করা শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।
    • যাদের নামের ৫০% এর বেশি অমিল আছে এবং জন্মতারিখ ভুল, তাদের তথ্য সংশোধন করেই ইএফটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।

  • বেতন পেতে দেরি কেন?
    • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন পেলেই বেতন ছাড় করা হবে।
    • ফেব্রুয়ারির বেতন নিয়ে ইএফটি সেল এখনো কাজই শুরু করেনি।
    • কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এপ্রিল পর্যন্ত এই সমস্যাটি চলতে পারে।

ইএফটির বর্তমান অবস্থা

  • ৫ই অক্টোবর থেকে ইএফটি চালু হয়েছে শিক্ষকদের বেতন সহজলভ্য করতে।
  • প্রথম দফায় ২০৯ জন শিক্ষক পরীক্ষামূলকভাবে ইএফটি পেয়েছেন।
  • জানুয়ারিতে ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটি পদ্ধতিতে বেতন পেয়েছেন।
  • দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে ৬৭ হাজার, ৮৪ হাজার এবং ৮,২০০ শিক্ষকের বেতন দেওয়া হয়েছে।
  • ডিসেম্বরের বেতন পাওয়া গেলেও জানুয়ারির বেতন এখনো অনেকের কাছে পৌঁছেনি।

মাউশি ও ইএমআইএস সেলের বক্তব্য:

  • একজন সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট বলেছেন, প্রতিটি শিক্ষকের তথ্য যাচাই করতে হচ্ছে, তাই সময় লাগছে। লোকবল সংকটও রয়েছে।
  • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন প্রক্রিয়া হওয়ায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, তবে সমাধানে কাজ চলছে।
  • যুগ্ম-সচিব মোর্শেদা আক্তার বলেন, বেতন বিতরণ নিয়মিত করতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

উপসংহার

শিক্ষকরা বর্তমানে চরম ভোগান্তির মধ্যে আছেন, বিশেষ করে আর্থিক সংকটের কারণে। নতুন ইএফটি পদ্ধতি বেতন প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। কর্মকর্তারা আশাবাদী, এপ্রিলের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান হবে এবং নিয়মিত বেতনপ্রদান সম্ভব হবে।