সারাক্ষণ রিপোর্ট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের চাকরিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) করা আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছে। এর ফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আপিল বিভাগে রায়
- আদেশপ্রাপ্ত বেঞ্চ: আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে ছিলেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।
- অ্যাপিলের বিষয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ডিপিই লিভ টু আপিল করেছিল।
- ফলাফল: আপিল বিভাগের নির্দেশে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হয়ে যায় এবং ৬,৫৩১ জন শিক্ষককে যোগদানের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা থাকল না।
আদালতে প্রতিনিধিত্ব
- রাষ্ট্রপক্ষে: অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে: ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ।
- ৬,৫৩১ উত্তীর্ণ শিক্ষকের পক্ষে: ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার এ.এম. মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইনজীবী ফজলুর রহমান ও মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
- ১৫৪ জন রিটকারীর পক্ষে: আইনজীবী মিফতা উদ্দিন চৌধুরী।
পটভূমি: কোটা বিতর্ক
- অভিযোগ: তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগে কোটা সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
- রিট দায়ের: কোটা-সংক্রান্ত এ অভিযোগ উত্থাপন করে কিছু প্রার্থী ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।
হাইকোর্টের আগের রায়
- তারিখ: ৬ ফেব্রুয়ারি
- বেঞ্চ: বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী
- রায়ের সারাংশ:
- রুল অ্যাবসোলুট করে ৬,৫৩১ জন উত্তীর্ণ শিক্ষকের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করা হয়।
- কোটা-সংক্রান্ত আপিল বিভাগের ২০২৪ সালের সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন ফলাফল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
- প্রভাব: এই রায়ের ফলে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগ আটকে যায়।
বর্তমান অবস্থা
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করায় এখন তৃতীয় ধাপের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগে আর বাধা নেই। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে তাদের চাকরিতে যোগদানের পথ উন্মুক্ত হয়েছে।