০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

মাগুরার শিশু ধর্ষণের মামলা: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচারের নির্দেশ

  • Sarakhon Report
  • ০৩:২১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ রিপোর্ট

আদালতের তৎপরতা

উচ্চ আদালত মাগুরার আট বছরের শিশুর ধর্ষণের মামলায় কোনো বিচার বিরতি ছাড়াই ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। মামলায় আবেদনপক্ষ হিসেবে ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন এবং ব্যারিস্টার মিথুন রায় চৌধুরী ছিলেন, আর রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান উপস্থিত ছিলেন।

গোপনীয়তা ও মিডিয়ার নির্দেশনা

  • ছবি ও ভিডিও সরানো: আদালত শিশুটির ছবি ও ভিডিওকে পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল এবং সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে।
  • প্রযোজ্য কর্তৃপক্ষ: বিটিআরসি, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশনা মেনে চলতে বলেছে।

তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া

  • তদন্তের সময়সীমা: মামলার তদন্ত ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
  • বিচারের সময়সীমা: অভিযোগ গ্রহণের ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।
  • আইনের ধারা: ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারার অধীনে, যেসব ক্ষেত্রে শিকারদের পরিচয় প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আইনের আওতায় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
  • জনসচেতনতা: আদালত দেশের সকল জায়গায় এই ধারার ব্যাপারে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে নির্দেশনা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সহায়তা

  • নিরাপত্তা ও কল্যাণ: শিশুটি এবং তার ১৪ বছরের বোনের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • দায়িত্ব প্রদান: ঢাকা ও মাগুর জেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য।
  • অগ্রগতি রিপোর্ট: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১৭ মার্চ অবধি নির্দেশনাগুলির অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ঘটনার প্রেক্ষাপট

  • ঘটনার বিবরণ: গত বৃহস্পতিবার রাতে মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়ানোর সময় আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হন।
  • চিকিৎসা ব্যবস্থা: ঘটনার পরপরই শিশুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতি হওয়ায় পরে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়, সেখানে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় এবং শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

মাগুরার শিশু ধর্ষণের মামলা: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচারের নির্দেশ

০৩:২১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

আদালতের তৎপরতা

উচ্চ আদালত মাগুরার আট বছরের শিশুর ধর্ষণের মামলায় কোনো বিচার বিরতি ছাড়াই ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। মামলায় আবেদনপক্ষ হিসেবে ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন এবং ব্যারিস্টার মিথুন রায় চৌধুরী ছিলেন, আর রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান উপস্থিত ছিলেন।

গোপনীয়তা ও মিডিয়ার নির্দেশনা

  • ছবি ও ভিডিও সরানো: আদালত শিশুটির ছবি ও ভিডিওকে পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল এবং সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে।
  • প্রযোজ্য কর্তৃপক্ষ: বিটিআরসি, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশনা মেনে চলতে বলেছে।

তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া

  • তদন্তের সময়সীমা: মামলার তদন্ত ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
  • বিচারের সময়সীমা: অভিযোগ গ্রহণের ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।
  • আইনের ধারা: ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারার অধীনে, যেসব ক্ষেত্রে শিকারদের পরিচয় প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আইনের আওতায় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
  • জনসচেতনতা: আদালত দেশের সকল জায়গায় এই ধারার ব্যাপারে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে নির্দেশনা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সহায়তা

  • নিরাপত্তা ও কল্যাণ: শিশুটি এবং তার ১৪ বছরের বোনের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • দায়িত্ব প্রদান: ঢাকা ও মাগুর জেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য।
  • অগ্রগতি রিপোর্ট: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১৭ মার্চ অবধি নির্দেশনাগুলির অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ঘটনার প্রেক্ষাপট

  • ঘটনার বিবরণ: গত বৃহস্পতিবার রাতে মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়ানোর সময় আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হন।
  • চিকিৎসা ব্যবস্থা: ঘটনার পরপরই শিশুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতি হওয়ায় পরে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়, সেখানে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় এবং শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।