০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনায় হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • 31

নিজস্ব প্রতিনিধি 

বাংলাদেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যারা ব্যবসা করেন তাদের জন্য ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের প্রকাশিত রায় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতেমা তনির মালিকানাধীন শোরুম ‘সানভিস বাই তনি’র খুলে দেওয়ার নির্দেশনা সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন।

যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছেঃ

১) বাংলাদেশে প্রচলিত আইন সকলকে মেনে চলতে হবে। অনলাইনের মালিক ও ভোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। ২) অনলাইন ব্যবসার কার্যক্রমে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ সমান আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী হবে। ৩) প্রত্যেক নাগরিক আইনি ব্যবসা পরিচালনার অধিকার রাখে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া তার ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না। ৪) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে সমস্ত অনলাইন ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন করা ও তাদের যথাযথ অনুমোদন দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫) নিশ্চিত করতে হবে যে কেউ যেন অনুমোদনহীনভাবে কোনো অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা বা শুরু করতে না পারে। বিশেষ করে, কোনো পোশাক ব্যবসায়ী যেন বিদেশি আসল পণ্যের নকল তৈরি করে মূল পণ্য বলে বিক্রি করতে না পারে, তা কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে। ৬) আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে, সকল অনলাইন ব্যবসার উদ্যোক্তা, প্রশাসক ও ভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্র দ্বারা যাচাই করা হয়।

৭) সংশ্লিষ্ট সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো, যেমন বিটিআরসির অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংরক্ষণ করবে। ৮) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের সতর্ক করতে হবে যেন তারা প্রতারণাপূর্ণ বা অবিশ্বস্ত অনলাইন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় না করে এবং নিবন্ধন বা অনুমোদনহীন অনলাইন দোকান বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য না কেনে। ৯) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এ প্রয়োজনীয় বিধান সংযোজন করে প্রতারক অনলাইন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গত বছরের ১৪ মে গুলশানের ‘সানভিস বাই তনি’ শোরুম বন্ধ করেছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরবর্তীতে রোবাইয়াত ফাতেমা তনি হাইকোর্টে রিট করলে সে রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ১০ জুন তনির বন্ধ শোরুম খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। অবশেষে সে রুলটি নিষ্পত্তি করে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনায় হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা

০৬:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি 

বাংলাদেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যারা ব্যবসা করেন তাদের জন্য ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের প্রকাশিত রায় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতেমা তনির মালিকানাধীন শোরুম ‘সানভিস বাই তনি’র খুলে দেওয়ার নির্দেশনা সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন।

যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছেঃ

১) বাংলাদেশে প্রচলিত আইন সকলকে মেনে চলতে হবে। অনলাইনের মালিক ও ভোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। ২) অনলাইন ব্যবসার কার্যক্রমে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ সমান আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী হবে। ৩) প্রত্যেক নাগরিক আইনি ব্যবসা পরিচালনার অধিকার রাখে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া তার ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না। ৪) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে সমস্ত অনলাইন ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন করা ও তাদের যথাযথ অনুমোদন দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫) নিশ্চিত করতে হবে যে কেউ যেন অনুমোদনহীনভাবে কোনো অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা বা শুরু করতে না পারে। বিশেষ করে, কোনো পোশাক ব্যবসায়ী যেন বিদেশি আসল পণ্যের নকল তৈরি করে মূল পণ্য বলে বিক্রি করতে না পারে, তা কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে। ৬) আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে, সকল অনলাইন ব্যবসার উদ্যোক্তা, প্রশাসক ও ভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্র দ্বারা যাচাই করা হয়।

৭) সংশ্লিষ্ট সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো, যেমন বিটিআরসির অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংরক্ষণ করবে। ৮) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের সতর্ক করতে হবে যেন তারা প্রতারণাপূর্ণ বা অবিশ্বস্ত অনলাইন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় না করে এবং নিবন্ধন বা অনুমোদনহীন অনলাইন দোকান বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য না কেনে। ৯) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এ প্রয়োজনীয় বিধান সংযোজন করে প্রতারক অনলাইন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গত বছরের ১৪ মে গুলশানের ‘সানভিস বাই তনি’ শোরুম বন্ধ করেছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরবর্তীতে রোবাইয়াত ফাতেমা তনি হাইকোর্টে রিট করলে সে রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ১০ জুন তনির বন্ধ শোরুম খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। অবশেষে সে রুলটি নিষ্পত্তি করে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।