০৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনা শাশুড়ির ব্যতিক্রমী ত্যাগ: কোমায় থাকা পুত্রবধূর জন্য পাঁচ বছর ধরে সেবা, চিকিৎসা খরচে এক কোটি ইউয়ান ধার জামায়াতের অপপ্রচারে ক্ষোভ প্রকাশ তারেক রহমানের মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থান: খনিজ খাতে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত আফ্রিকার নীল অর্থনীতি জাগছে: অবহেলিত মৎস্য সম্পদে নতুন সম্ভাবনার ঢেউ আফ্রিকার উন্নয়ন এজেন্ডায় বেসরকারি খাতের শক্তিশালী দাবি জোহানেসবার্গের বি২০ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক শওকত মাহমুদ ডিবি হেফাজতে পাঁচটি একীভূত শরিয়াহ ব্যাংকের আমানত ফেরত শুরু হচ্ছে এই সপ্তাহেই হুন্ডাইয়ের দীর্ঘ পথচলার গাড়ি নাটোরে সার সংকট: সারের দাবিতে কৃষকদের সড়ক অবরোধ

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার উত্থান: নিরাপত্তা হুমকির মুখে দেশ

  • Sarakhon Report
  • ০৬:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • 110

সারাক্ষণ ডেস্ক

পাকিস্তানে গত এক বছরে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো নিরাপত্তা বাহিনী, সাধারণ নাগরিক এবং বিদেশিদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। সর্বশেষ হামলাটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাইবার পাখতুনখাওয়ার বান্নু এলাকায় ঘটে, যেখানে দুটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন শিশু, এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী “জঈশ আল-ফুরসান”।

দেশজুড়ে সহিংসতার ঢেউ

গত এক বছরে পাকিস্তানে ১০টির বেশি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যেখানে ৪০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ৬০০ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পুলিশ কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মাস্তুঙে এক ধর্মীয় সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হন।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে, মিয়ানওয়ালি বিমানঘাঁটিতে জঙ্গিরা প্রবেশের চেষ্টা চালালে সংঘর্ষে  ৯ জন হামলাকারী নিহত হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বেশাম এলাকায় পাঁচজন চীনা নাগরিককে হত্যা করা হয়, যা পাকিস্তানে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

সরকার ও জনগণের প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী ‘শেহবাজ শরিফ’ বান্নুর আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে “কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী ‘আলি আমিন গান্দাপুরও’ হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এদিকে, বান্নুতে বিদ্যালয় ও বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নিহতদের দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনের চেষ্টা চালালেও পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও অস্থির, বিশেষত পাকিস্তানি তালেবান, জঈশ আল-ফুরসান এবং আইএস সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান তৎপরতার কারণে। হামলার সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনা শাশুড়ির ব্যতিক্রমী ত্যাগ: কোমায় থাকা পুত্রবধূর জন্য পাঁচ বছর ধরে সেবা, চিকিৎসা খরচে এক কোটি ইউয়ান ধার

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার উত্থান: নিরাপত্তা হুমকির মুখে দেশ

০৬:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

পাকিস্তানে গত এক বছরে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো নিরাপত্তা বাহিনী, সাধারণ নাগরিক এবং বিদেশিদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। সর্বশেষ হামলাটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাইবার পাখতুনখাওয়ার বান্নু এলাকায় ঘটে, যেখানে দুটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন শিশু, এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী “জঈশ আল-ফুরসান”।

দেশজুড়ে সহিংসতার ঢেউ

গত এক বছরে পাকিস্তানে ১০টির বেশি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যেখানে ৪০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ৬০০ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পুলিশ কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মাস্তুঙে এক ধর্মীয় সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হন।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে, মিয়ানওয়ালি বিমানঘাঁটিতে জঙ্গিরা প্রবেশের চেষ্টা চালালে সংঘর্ষে  ৯ জন হামলাকারী নিহত হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বেশাম এলাকায় পাঁচজন চীনা নাগরিককে হত্যা করা হয়, যা পাকিস্তানে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

সরকার ও জনগণের প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী ‘শেহবাজ শরিফ’ বান্নুর আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে “কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী ‘আলি আমিন গান্দাপুরও’ হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এদিকে, বান্নুতে বিদ্যালয় ও বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নিহতদের দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনের চেষ্টা চালালেও পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও অস্থির, বিশেষত পাকিস্তানি তালেবান, জঈশ আল-ফুরসান এবং আইএস সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান তৎপরতার কারণে। হামলার সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।