০৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৩) অফিসে ফিরছে ওয়াই-টু-কে ফ্যাশন—জেন জেডের হাতে ড্রেস কোডের বদল মানসিক রোগের ভাইরাস কোথা থেকে আসছে হোক্কাইদোতে স্যামন রোর দাম চড়া—ধরা কম, খরচ বেশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৪২ জন গণতন্ত্রের অধঃপতন ও ইতিহাসের উল্টোদিক—“স্বাধীনতার আত্মা” আবার জাগ্রত করার আহ্বান রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ গেল ১৫ বছরের রুমানের জুলাই আন্দোলনের পরও রাজনৈতিক বিভাজন বাড়ছে: দুঃখ প্রকাশ মির্জা ফখরুলের শুধু নির্গমন কমালেই হবে না—অভিযোজনেই জোর দিন: ডব্লিউএসজে মতামতধারার আলোচ্য

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার উত্থান: নিরাপত্তা হুমকির মুখে দেশ

  • Sarakhon Report
  • ০৬:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • 88

সারাক্ষণ ডেস্ক

পাকিস্তানে গত এক বছরে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো নিরাপত্তা বাহিনী, সাধারণ নাগরিক এবং বিদেশিদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। সর্বশেষ হামলাটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাইবার পাখতুনখাওয়ার বান্নু এলাকায় ঘটে, যেখানে দুটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন শিশু, এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী “জঈশ আল-ফুরসান”।

দেশজুড়ে সহিংসতার ঢেউ

গত এক বছরে পাকিস্তানে ১০টির বেশি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যেখানে ৪০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ৬০০ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পুলিশ কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মাস্তুঙে এক ধর্মীয় সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হন।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে, মিয়ানওয়ালি বিমানঘাঁটিতে জঙ্গিরা প্রবেশের চেষ্টা চালালে সংঘর্ষে  ৯ জন হামলাকারী নিহত হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বেশাম এলাকায় পাঁচজন চীনা নাগরিককে হত্যা করা হয়, যা পাকিস্তানে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

সরকার ও জনগণের প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী ‘শেহবাজ শরিফ’ বান্নুর আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে “কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী ‘আলি আমিন গান্দাপুরও’ হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এদিকে, বান্নুতে বিদ্যালয় ও বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নিহতদের দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনের চেষ্টা চালালেও পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও অস্থির, বিশেষত পাকিস্তানি তালেবান, জঈশ আল-ফুরসান এবং আইএস সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান তৎপরতার কারণে। হামলার সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৩)

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার উত্থান: নিরাপত্তা হুমকির মুখে দেশ

০৬:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

পাকিস্তানে গত এক বছরে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো নিরাপত্তা বাহিনী, সাধারণ নাগরিক এবং বিদেশিদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। সর্বশেষ হামলাটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাইবার পাখতুনখাওয়ার বান্নু এলাকায় ঘটে, যেখানে দুটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন শিশু, এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী “জঈশ আল-ফুরসান”।

দেশজুড়ে সহিংসতার ঢেউ

গত এক বছরে পাকিস্তানে ১০টির বেশি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যেখানে ৪০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ৬০০ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পুলিশ কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মাস্তুঙে এক ধর্মীয় সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হন।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে, মিয়ানওয়ালি বিমানঘাঁটিতে জঙ্গিরা প্রবেশের চেষ্টা চালালে সংঘর্ষে  ৯ জন হামলাকারী নিহত হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বেশাম এলাকায় পাঁচজন চীনা নাগরিককে হত্যা করা হয়, যা পাকিস্তানে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

সরকার ও জনগণের প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী ‘শেহবাজ শরিফ’ বান্নুর আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে “কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী ‘আলি আমিন গান্দাপুরও’ হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এদিকে, বান্নুতে বিদ্যালয় ও বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নিহতদের দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনের চেষ্টা চালালেও পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও অস্থির, বিশেষত পাকিস্তানি তালেবান, জঈশ আল-ফুরসান এবং আইএস সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান তৎপরতার কারণে। হামলার সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।