০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে ডিআরসি-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি

ভারতে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, বেড়েছে কারখানায় উৎপাদন

  • Sarakhon Report
  • ১১:০০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • 18

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • ফেব্রুয়ারিতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ছয় মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো কমে ৩.৬% এ নেমে এসেছে
  • ভালো ফসল ও চাষাবাদের কারণে ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতি আরও কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে
  • শীতকালীন গমের শস্যের অঙ্গীকার, কম বৃষ্টিপাত এবং পোকামাকড়জনিত সমস্যার কারণে কিছু উদ্বেগ রয়েছে

তুন দিল্লি থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারিতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ছয় মাসে প্রথমবারের মত কমে এসে ৩.৬% এ পৌঁছেছে। পাশাপাশি, জানুয়ারিতে কারখানা উৎপাদনে আট মাসের সর্বোচ্চ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে, যা ভারতীয় অর্থনীতির স্বল্পমেয়াদী চিত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি

  • মোট ভোক্তা মূল্য সূচক: ফেব্রুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩.৬%, যা জানুয়ারির ৪.৩% থেকে হ্রাস পেয়েছে।
  • খাদ্যদ্রব্যের প্রভাব: খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির দমন এই পতনের মূল কারণ। বিশেষ করে সবজির ক্ষেত্রে, জানুয়ারিতে ১১.৪% ছিল যা ফেব্রুয়ারিতে কমে -১.১% এ নেমে এসেছে।
  • অন্যান্য খাদ্য উপশ্রেণী: শস্যের দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও ডালের ক্ষেত্রে কিছুটা মূল্য হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে।
  • জ্বালানি ও মূল মুদ্রাস্ফীতি: ১৮ মাস ধরে অবনতির ধারায় থাকায় জ্বালানি মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল, অথচ ফেব্রুয়ারিতে মূল (কোর) মুদ্রাস্ফীতি ৪% এ রেকর্ড করেছে – যা নভেম্বর ২০২৩ পর সর্বোচ্চ।

শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি

  • কারখানা উৎপাদন: জানুয়ারিতে শিল্প উৎপাদনের সূচক (আইআইপি) আট মাসের সর্বোচ্চ ৫.১% বৃদ্ধির রেকর্ড স্থাপন করেছে।
  • উৎপাদন শিল্প ও খনন: উৎপাদন শিল্পে ৫.৫% এবং খনন ও কয়লার খনিতে ৪.৪% বৃদ্ধি হয়েছে, যা ডিসেম্বরের তুলনায় সুস্পষ্ট উন্নতি।
  • বিদ্যুৎ উৎপাদন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার কমে ৬.২% থেকে ২.৪% এ নেমে এসেছে।
  • অন্যান্য বিভাগ: প্রাথমিক দ্রব্যের বৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান থাকলেও, কিছু বিভাগে গত মাসের তুলনায় মন্দার লক্ষণ দেখা গেছে।

আর্থিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা

  • মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও নীতি: খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি কমে যাওয়ায়, বিশ্লেষক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের Monetary Policy Committee-এর মতে, আগামী মাসে আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট হারের কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

  • আরবিআই এর মন্তব্য: রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর উল্লেখ করেছেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় কোনো সমস্যা না থাকলে খাদ্যদ্রব্যের দাম আরও কমবে।
  • ফসল ও চাষাবাদ: শীতকালীন ফসল ও রবি মৌসুমের উন্নত চাষাবাদের কারণে ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতি ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে।
  • চিন্তার বিষয়: শীত মৌসুমে গমের শস্যের অঙ্গীকার, কম বৃষ্টিপাত এবং পোকামাকড়জনিত সমস্যার কারণে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে।
  • HSBC India’s পূর্বাভাস: বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে, আগামী এপ্রিলের নীতি বৈঠকে রেপো হারে আবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে, যা রেপো হারে ৬% এ নিয়ে যাবে।

উপসংহার

খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে যাওয়া ও শিল্প উৎপাদনে গতিবেগ ফিরে পাওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা মোটামুটি উজ্জ্বল মনে হচ্ছে। তবে, মৌসুমি ও আবহাওয়া সম্পর্কিত কিছু চ্যালেঞ্জ থাকায় নীতিনির্ধারকদের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল

ভারতে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, বেড়েছে কারখানায় উৎপাদন

১১:০০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • ফেব্রুয়ারিতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ছয় মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো কমে ৩.৬% এ নেমে এসেছে
  • ভালো ফসল ও চাষাবাদের কারণে ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতি আরও কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে
  • শীতকালীন গমের শস্যের অঙ্গীকার, কম বৃষ্টিপাত এবং পোকামাকড়জনিত সমস্যার কারণে কিছু উদ্বেগ রয়েছে

তুন দিল্লি থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারিতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ছয় মাসে প্রথমবারের মত কমে এসে ৩.৬% এ পৌঁছেছে। পাশাপাশি, জানুয়ারিতে কারখানা উৎপাদনে আট মাসের সর্বোচ্চ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে, যা ভারতীয় অর্থনীতির স্বল্পমেয়াদী চিত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি

  • মোট ভোক্তা মূল্য সূচক: ফেব্রুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩.৬%, যা জানুয়ারির ৪.৩% থেকে হ্রাস পেয়েছে।
  • খাদ্যদ্রব্যের প্রভাব: খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির দমন এই পতনের মূল কারণ। বিশেষ করে সবজির ক্ষেত্রে, জানুয়ারিতে ১১.৪% ছিল যা ফেব্রুয়ারিতে কমে -১.১% এ নেমে এসেছে।
  • অন্যান্য খাদ্য উপশ্রেণী: শস্যের দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও ডালের ক্ষেত্রে কিছুটা মূল্য হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে।
  • জ্বালানি ও মূল মুদ্রাস্ফীতি: ১৮ মাস ধরে অবনতির ধারায় থাকায় জ্বালানি মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল, অথচ ফেব্রুয়ারিতে মূল (কোর) মুদ্রাস্ফীতি ৪% এ রেকর্ড করেছে – যা নভেম্বর ২০২৩ পর সর্বোচ্চ।

শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি

  • কারখানা উৎপাদন: জানুয়ারিতে শিল্প উৎপাদনের সূচক (আইআইপি) আট মাসের সর্বোচ্চ ৫.১% বৃদ্ধির রেকর্ড স্থাপন করেছে।
  • উৎপাদন শিল্প ও খনন: উৎপাদন শিল্পে ৫.৫% এবং খনন ও কয়লার খনিতে ৪.৪% বৃদ্ধি হয়েছে, যা ডিসেম্বরের তুলনায় সুস্পষ্ট উন্নতি।
  • বিদ্যুৎ উৎপাদন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার কমে ৬.২% থেকে ২.৪% এ নেমে এসেছে।
  • অন্যান্য বিভাগ: প্রাথমিক দ্রব্যের বৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান থাকলেও, কিছু বিভাগে গত মাসের তুলনায় মন্দার লক্ষণ দেখা গেছে।

আর্থিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা

  • মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও নীতি: খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি কমে যাওয়ায়, বিশ্লেষক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের Monetary Policy Committee-এর মতে, আগামী মাসে আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট হারের কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

  • আরবিআই এর মন্তব্য: রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর উল্লেখ করেছেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় কোনো সমস্যা না থাকলে খাদ্যদ্রব্যের দাম আরও কমবে।
  • ফসল ও চাষাবাদ: শীতকালীন ফসল ও রবি মৌসুমের উন্নত চাষাবাদের কারণে ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতি ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে।
  • চিন্তার বিষয়: শীত মৌসুমে গমের শস্যের অঙ্গীকার, কম বৃষ্টিপাত এবং পোকামাকড়জনিত সমস্যার কারণে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে।
  • HSBC India’s পূর্বাভাস: বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে, আগামী এপ্রিলের নীতি বৈঠকে রেপো হারে আবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে, যা রেপো হারে ৬% এ নিয়ে যাবে।

উপসংহার

খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে যাওয়া ও শিল্প উৎপাদনে গতিবেগ ফিরে পাওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা মোটামুটি উজ্জ্বল মনে হচ্ছে। তবে, মৌসুমি ও আবহাওয়া সম্পর্কিত কিছু চ্যালেঞ্জ থাকায় নীতিনির্ধারকদের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।