০৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

সৌদি আরব ওমরাহ ভিসা ৯০ ভাগ কমিয়েছে: বিপাকে ওমরাহ যাত্রীরা

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
  • 82

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • এয়ারলাইন্সগুলো টিকিটের টাকা ফেরত না দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে
  • এজেন্সিগুলো আগেভাগে টিকিট, ভিসা ও আবাসনের জন্য লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করায়, ভিসা বন্ধ
  • হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সৌদি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে আলোচনায় বসেছে

সৌদি আরব সরকার হঠাৎ করে ঘোষণা ছাড়াই ওমরাহ ভিসার কোটা প্রায় ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমান ওমরাহ পালনের সুযোগ হারাচ্ছেন। সাধারণত রমজান মাসে ওমরাহ যাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তবে এবার সৌদি সরকার ৪ মার্চ থেকে ওমরাহ ভিসা ইস্যু কমিয়ে দিয়েছে

বিপাকে যাত্রীরা ও এজেন্সিগুলো

ওমরাহ এজেন্সিগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী ভিসা ইস্যু করতে পারছে না, ফলে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে যারা রমজান মাসে ওমরাহ পালনের ইচ্ছা করেছিলেন, তারা এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।

এছাড়া, বিমান সংস্থাগুলোও অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না, ফলে এজেন্সিগুলো ও যাত্রীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাবের পদক্ষেপ

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, এটি সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তবাংলাদেশ এতে প্রভাব ফেলতে পারছে না। তবে সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে টিকিট ফেরতের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সৌদি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সাথে আলোচনায় নেমেছে।

নুসুক সিস্টেমে ভিসা সংকট

সৌদির নুসুক‘ সিস্টেমে বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের জন্য কোটা শেষ দেখাচ্ছে, ফলে এজেন্সিগুলো নতুন ভিসা ইস্যু করতে পারছে না। সাধারণত রমজানের ২৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে ভিসা বন্ধ থাকে, কিন্তু এবার রমজানের আগেই ভিসা ইস্যু প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে

এজেন্সি মালিকদের বড় ক্ষতি

এজেন্সিগুলো আগেভাগে যাত্রীদের টিকিট, ভিসা ও আবাসনের জন্য লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু এখন ভিসা বন্ধ হওয়ায় তারা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

হজ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিক জানান,

আমার ৩০ জন যাত্রীর জন্য ৪২ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন ভিসা না পাওয়ায় তারা টাকা ফেরত চাইছেঅথচ এয়ারলাইনসগুলো টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না।”

এজেন্সিগুলোর দাবি, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে তাদেরই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, যা বড় ধরনের লোকসানের কারণ হবে।

টিকিট ফেরতের বিষয়ে এয়ারলাইনসের নীরবতা

এয়ারলাইনসগুলোর কাছে যাত্রীদের টাকা ফেরতের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাউদিয়া এয়ারলাইনের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু আহমেদ শুভর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। এমনকি তাকে এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

উপসংহার

ওমরাহ ভিসার হঠাৎ সংকট ও এয়ারলাইনসের টিকিট ফেরত না দেওয়ার কারণে হাজার হাজার যাত্রী ও এজেন্সি মালিক আর্থিক সংকটে পড়েছেন। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে দ্রুত সমাধানের সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত।

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদি আরব ওমরাহ ভিসা ৯০ ভাগ কমিয়েছে: বিপাকে ওমরাহ যাত্রীরা

০৬:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • এয়ারলাইন্সগুলো টিকিটের টাকা ফেরত না দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে
  • এজেন্সিগুলো আগেভাগে টিকিট, ভিসা ও আবাসনের জন্য লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করায়, ভিসা বন্ধ
  • হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সৌদি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে আলোচনায় বসেছে

সৌদি আরব সরকার হঠাৎ করে ঘোষণা ছাড়াই ওমরাহ ভিসার কোটা প্রায় ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমান ওমরাহ পালনের সুযোগ হারাচ্ছেন। সাধারণত রমজান মাসে ওমরাহ যাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তবে এবার সৌদি সরকার ৪ মার্চ থেকে ওমরাহ ভিসা ইস্যু কমিয়ে দিয়েছে

বিপাকে যাত্রীরা ও এজেন্সিগুলো

ওমরাহ এজেন্সিগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী ভিসা ইস্যু করতে পারছে না, ফলে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে যারা রমজান মাসে ওমরাহ পালনের ইচ্ছা করেছিলেন, তারা এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।

এছাড়া, বিমান সংস্থাগুলোও অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না, ফলে এজেন্সিগুলো ও যাত্রীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাবের পদক্ষেপ

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, এটি সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তবাংলাদেশ এতে প্রভাব ফেলতে পারছে না। তবে সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে টিকিট ফেরতের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সৌদি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সাথে আলোচনায় নেমেছে।

নুসুক সিস্টেমে ভিসা সংকট

সৌদির নুসুক‘ সিস্টেমে বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের জন্য কোটা শেষ দেখাচ্ছে, ফলে এজেন্সিগুলো নতুন ভিসা ইস্যু করতে পারছে না। সাধারণত রমজানের ২৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে ভিসা বন্ধ থাকে, কিন্তু এবার রমজানের আগেই ভিসা ইস্যু প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে

এজেন্সি মালিকদের বড় ক্ষতি

এজেন্সিগুলো আগেভাগে যাত্রীদের টিকিট, ভিসা ও আবাসনের জন্য লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু এখন ভিসা বন্ধ হওয়ায় তারা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

হজ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিক জানান,

আমার ৩০ জন যাত্রীর জন্য ৪২ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন ভিসা না পাওয়ায় তারা টাকা ফেরত চাইছেঅথচ এয়ারলাইনসগুলো টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না।”

এজেন্সিগুলোর দাবি, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে তাদেরই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, যা বড় ধরনের লোকসানের কারণ হবে।

টিকিট ফেরতের বিষয়ে এয়ারলাইনসের নীরবতা

এয়ারলাইনসগুলোর কাছে যাত্রীদের টাকা ফেরতের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাউদিয়া এয়ারলাইনের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু আহমেদ শুভর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। এমনকি তাকে এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

উপসংহার

ওমরাহ ভিসার হঠাৎ সংকট ও এয়ারলাইনসের টিকিট ফেরত না দেওয়ার কারণে হাজার হাজার যাত্রী ও এজেন্সি মালিক আর্থিক সংকটে পড়েছেন। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে দ্রুত সমাধানের সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত।