০৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট কপ৩০কে ‘ভুল ও ক্ষতিকর’ বলল যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয় শেয়ারবাজার চাঙ্গা, কিন্তু ভোক্তা আস্থায় ‘দুই আমেরিকা’ সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’- ফিলিপাইনে ৪ জনের মৃত্যু,আঘাত হানার আগে এক লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়, ঝড়ের গতিবেগ এখন কমে গেছে থাই–মালয়েশিয়া উপকূলে রোহিঙ্গা নৌডুবি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে: নতুন করে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১২০০ রোগী ঘোড়া-থিমের ফুকুবুকুরো: জাপানে ২০২৬ নববর্ষে পণ্য নয়, অভিজ্ঞতাই মূল টান ডকুমেন্টারি আবার আলোয় আনতে নিউইয়র্কে ভ্যারাইটির ‘ডক ড্রিমস লাইভ’ আমাজনের বেলেং-এ শুরু হলো কপ৩০, যুক্তরাষ্ট্র নেই আলোচনার টেবিলে

অনিশ্চয়তায় ইলেকট্রনিক্স বিক্রয়ে পণ্য শিল্প,পার করছে কঠিন সময়

  • Sarakhon Report
  • ০৪:১৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • 79

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • মুদ্রাস্ফীতি, স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং ভোক্তাদের ব্যয় সংকোচনের কারণে এই খাতের বিক্রি কমে গেছে
  • বৈদেশিক লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয় লেটার অব ক্রেডিট (LC) খুলতে না পারার কারণে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে
  • ২০২৪ সালের জাতীয় বাজেটে এয়ার কন্ডিশনার ও ফ্রিজের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসরের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে
  • গত এক বছরে টাকার মূল্যমান ১১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে আমদানি খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে

ইলেকট্রনিক্স খাতে সংকট ও বর্তমান পরিস্থিতি

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও গৃহস্থালী পণ্য শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। মুদ্রাস্ফীতি,স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং ভোক্তাদের ব্যয় সংকোচনের কারণে এই খাতের বিক্রি কমে গেছে।

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে অনেক গ্রাহক ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছেন। খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ তাদের ব্যয় সংকুচিত করতে বাধ্য হচ্ছে।

সংকট মোকাবিলায় কোম্পানিগুলোর কৌশল

সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এমএইচএম ফাইরোজ মিডিয়াকে জানান, ক্রেতাদের এই অনিশ্চয়তা ইলেকট্রনিক্স খাতে বড় প্রভাব ফেলছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে পণ্যের চাহিদা কমে গেছে।

এছাড়াও, অনেক প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয় লেটার অব ক্রেডিট (LC) খুলতে পারছে না, যার ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে। সুদের হার বৃদ্ধির ফলে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা আর্থিক চাপে পড়ছেন।

আমদানির ওপর নির্ভরতা ও মূল্যবৃদ্ধি

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাত আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

আমদানীকারকরা জানান, গত এক বছরে টাকার মূল্যমান ১১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে আমদানি খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কাঁচামাল ও পরিবহন ব্যয়ের বৃদ্ধি পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

সরকারের নীতিমালাও এই খাতে প্রভাব ফেলেছে। ২০২৪ সালের জাতীয় বাজেটে এয়ার কন্ডিশনার ও ফ্রিজের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসরের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা পণ্যের দাম আরও বাড়াতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

অনিশ্চয়তায় ইলেকট্রনিক্স বিক্রয়ে পণ্য শিল্প,পার করছে কঠিন সময়

০৪:১৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • মুদ্রাস্ফীতি, স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং ভোক্তাদের ব্যয় সংকোচনের কারণে এই খাতের বিক্রি কমে গেছে
  • বৈদেশিক লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয় লেটার অব ক্রেডিট (LC) খুলতে না পারার কারণে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে
  • ২০২৪ সালের জাতীয় বাজেটে এয়ার কন্ডিশনার ও ফ্রিজের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসরের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে
  • গত এক বছরে টাকার মূল্যমান ১১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে আমদানি খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে

ইলেকট্রনিক্স খাতে সংকট ও বর্তমান পরিস্থিতি

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও গৃহস্থালী পণ্য শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। মুদ্রাস্ফীতি,স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং ভোক্তাদের ব্যয় সংকোচনের কারণে এই খাতের বিক্রি কমে গেছে।

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে অনেক গ্রাহক ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছেন। খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ তাদের ব্যয় সংকুচিত করতে বাধ্য হচ্ছে।

সংকট মোকাবিলায় কোম্পানিগুলোর কৌশল

সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এমএইচএম ফাইরোজ মিডিয়াকে জানান, ক্রেতাদের এই অনিশ্চয়তা ইলেকট্রনিক্স খাতে বড় প্রভাব ফেলছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে পণ্যের চাহিদা কমে গেছে।

এছাড়াও, অনেক প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয় লেটার অব ক্রেডিট (LC) খুলতে পারছে না, যার ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে। সুদের হার বৃদ্ধির ফলে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা আর্থিক চাপে পড়ছেন।

আমদানির ওপর নির্ভরতা ও মূল্যবৃদ্ধি

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাত আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

আমদানীকারকরা জানান, গত এক বছরে টাকার মূল্যমান ১১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে আমদানি খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কাঁচামাল ও পরিবহন ব্যয়ের বৃদ্ধি পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

সরকারের নীতিমালাও এই খাতে প্রভাব ফেলেছে। ২০২৪ সালের জাতীয় বাজেটে এয়ার কন্ডিশনার ও ফ্রিজের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসরের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা পণ্যের দাম আরও বাড়াতে পারে।