মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

আগরতলা থেকে কলকাতা ভায়া বাংলাদেশ ট্রেন পরিষেবা কবে থেকে?

  • Update Time : শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৬.২০ পিএম
আগরতলার বাংলাদেশ সীমান্তে শেষ স্টেশন
সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়,আগরতলা
আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা রেলপথ কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে কার্যত কোনো ধারণা নেই ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের। তারা তাকিয়ে সরকারের দিকে।
কথা ছিল আগরতলা থেকে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা, মাত্র ৮ ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে। দুই দেশের মধ্যে রেলপথ চালু হবে, যা শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিই করবে না, হবে অর্থনৈতিক উন্নয়নও। কিন্তু সেই রেলপথ এখন বিশ বাঁও জলে।
নিশ্চিন্তপুর আন্তর্জাতিক ট্রেন স্টেশন খাঁ খাঁ করছে
গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের ভিসা দেওয়া শুরু হয়েছে।  কিন্তু ভারতের তরফে এখনও সেই কাজ শুরু হয়নি। তারই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আগরতলা থেকে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা যাওয়ার ট্রেন চালুর বিষয়ে। দীর্ঘদিন আগে কাজ সম্পন্ন হওয়া এই রেলপথ কবে থেকে চালু হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। গত বছর ৫ অগাস্ট, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানো এবং আওয়ামী লিগ সরকার পতনের পর নতুন এই রেলপথ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ফের ভিসা পরিষেবা শুরু করায় আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটকেরা। যদিও এই নিয়ে এখনই কোনও আশার বাণী শোনাতে পারলেন না নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা। ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, ” এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনও কিছু বলা যাচ্ছে না।” নির্দিষ্ট করে কোনও দিনের কথা উল্লেখ না করলেও, এই রেলপথ চালুর বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

এই রেলপথ চালু হয়ে গেলে মাত্র আট ঘণ্টাতেই আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা পৌঁছানো যাবে। আগরতলা থেকে পদ্মাপারের দেশে প্রবেশের সময় ভারতের দিকের শেষ স্টেশন নিশ্চিন্তপুর, বর্তমানে খাঁ খাঁ করছে। ইমিগ্রেশন-সহ সব ধরণের সুবিধাযুক্ত এই স্টেশনে প্রতি ১২ ঘন্টায় দু’জন করে নিরাপত্তারক্ষী দেখাশোনা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, “মাঝেমধ্যেই জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে স্টেশন থেকে। পানীয় জলের ট্যাপ, লোহার রড খুলে নিয়ে পালাচ্ছে কেউ কেউ। এতো বড় স্টেশন, দু’জন মিলে সামলানো কঠিন।” তবে নিরাপত্তারক্ষী চুরির অভিযোগ আনলেও, এই বিষয়ে তার কাছে কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।

এই রেলপথ নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন ত্রিপুরার বর্তমান প্রজন্ম। কারণ, এই রেললাইন প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি করে দেবে বলেই জানিয়েছিল সরকার। স্থানীয় এক যুবক বলেন, “আমরা অনেক আশা নিয়ে ছিলাম রেলপথটি চালুর বিষয়ে। এটা চালু হলে আমরা অনেকেই কিছু করে খেতে পারতাম। কিন্তু এখন এই আশা ছেড়ে আমাদের অন্য কাজ খুঁজতে হচ্ছে।”

ডিডাব্লিউ ডটকম

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024