সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- শিক্ষক নেতারা শিক্ষার মৌলিক অধিকারের উপর জোর দিয়েছে
- ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশনা ছিল
- সরকারি নীতিমালায় শিক্ষার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অভাবের কারণে শিক্ষক নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি চালু রেখে অবৈতনিক শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে, ৮ম শ্রেণি চালুকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা একটি যৌথ বিবৃতিতে এই দাবিকে সামনে এনেছেন। তারা দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে তৃনমূলের কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি গরিব জনগণের সন্তানদের শিক্ষার গুরুত্বকে বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন।
মূল দাবিসমূহ ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
- শিক্ষার মৌলিক অধিকার:
শিক্ষক নেতারা মনে করেন, দেশের অগ্রগতির জন্য গরিব মানুষের সন্তানদের উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। - ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি:
স্বাধীনতার পর ড. কুদরাত ই খুদা শিক্ষা কমিশন এবং ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। - কার্যক্রমের অবনতি:
২০১৮ সালের মধ্যে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদানের প্রতিশ্রুতি থাকলেও, ৬৫,৫৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৭২৯টি বিদ্যালয় এই দিকটিতে উন্নীত করা হয়েছে।
বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও নীতিগত অসঙ্গতি
- পরামর্শ কমিটির সুপারিশ:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কনসালটেশন কমিটি, বিনাবেতনে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের পরিবর্তে, চালুকৃত বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে। এই পরামর্শ বাস্তবায়নে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। - অবকাঠামো ও শিক্ষক যোগ্যতার গুরুত্ব:
২০১০ সালের শিক্ষানীতির ভিত্তিতে নির্বাচিত ৭২৯টি বিদ্যালয়, যথাযথ অবকাঠামো ও অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের সাথে চালু ছিল।- অধিকাংশ শিক্ষক সি. ইন. এড, ডিপ ইন. এড, বি. এড ও এম. এড সহ বিভিন্ন শিক্ষাগত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
- দীর্ঘ সময় ধরে ৮ম শ্রেণি চালনার ফলে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতায় বিশেষ উন্নয়ন হয়েছে।
ভবিষ্যতের প্রস্তাবনা ও সম্ভাব্য প্রভাব
- নেতাদের আশাবাদ:
শিক্ষক নেতারা আশাবাদী যে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি অব্যাহত রেখে অবৈতনিক শিক্ষাকে সম্প্রসারণ করা হবে।
- সমাজে নেতিবাচক ধারনার প্রতিরোধ:
যদি ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির পাঠদান বন্ধ করা হয়, তাহলে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে এবং দেশের উন্নয়নের পথে বাধা আসতে পারে। - সামাজিক ন্যায়বিচার:
তৃনমূলের গরিব জনগণের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য ক্ষতিকর বলে নেতারা মনে করেন।
৫. উপসংহার
সরকারি নীতিমালায় শিক্ষার ব্যাপারে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে অনুপস্থিতির অভিযোগ তুলে শিক্ষক নেতারা দুর্বল নীতির বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, যথাযথ অবকাঠামো এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকের সহায়তায় ৮ম শ্রেণি চালু রেখে অবৈতনিক শিক্ষা দেশের উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।