১২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • 38

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

আজতেক ৩য় শাসনপর্বঃ ১৪৫৫-১৫০৭

আজতেক ৪র্থ পর্বঃ

তোকাকো (Texca০০) (১৫১৬-১৯)

মতেজুমা-২য় (Montezuma) (১৫০৩-২০)

কুইলাইয়াক (Quillahuno) (১৫২০-৪ মাসের জন্য)

কুয়াইবহিতিমক (Cuarihitemoc) ১৫২০-২৪

 

আজতেক জনসংখ্যা, সরকার ইত্যাদি। আজতেক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত প্রদেশ শহর এবং গ্রামের বসবাসকারী মানুষদের মোট সংখ্যা ছিল কমবেশি ১৫-মিলিয়ন বা দেড় কোটি। এই জনসংখ্যার মধ্যে ছিল নানা আদিবাসী ও জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত মানুষ। এই বিভিন্ন জনজাতির মূল সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা লোকাচার-এর মধ্যে কিছুটা মিল থাকলেও পার্থক্য ছিল।

কিন্তু এই জনসংখ্যা ১৫২০-এর পর থেকে অনেকটা কমতে শুরু করে। ১৫২১ খ্রিষ্টাব্দে বসন্ত রোগের মহামারী শুরু হয়। এর ফলে তেনোচতিতলান সহ অন্যান্য অঞ্চলের জনসংখ্যা অনেকটা কমে যায়। এর পরেও ১৯৪৫ সালে মেক্সিকো উপত্যকায় দু’বার বসন্ত রোগ মহামারী হিসেবে দেখা দেয়। সঙ্গে ছিল টাইফয়েড।

স্প্যানিশ কর্তারা জনসংখ্যা কমাবার কাজও এর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। ছোট শহরের বেঁচে থাকা জনগোষ্ঠীকে বড় শহর-এর মধ্যে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে এক নজরে দেখলে বলা যায় মহামারীর ফলে আজতেকদের দেড় কোটি মানুষ কমে ৪০ লক্ষ হয়ে যায়। ১৫৮১ সালে তা আরও কমে ২০ লক্ষ্য পৌঁছয়। একটি হিসেব থেকে জানা যায় গত ৬০ বছরের মধ্যে মেক্সিকোর জনসংখ্যা হ্রাসের পরিমাণ হল শতকরা ৮০ ভাগ।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭)

 

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৮)

০৭:০০:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

আজতেক ৩য় শাসনপর্বঃ ১৪৫৫-১৫০৭

আজতেক ৪র্থ পর্বঃ

তোকাকো (Texca০০) (১৫১৬-১৯)

মতেজুমা-২য় (Montezuma) (১৫০৩-২০)

কুইলাইয়াক (Quillahuno) (১৫২০-৪ মাসের জন্য)

কুয়াইবহিতিমক (Cuarihitemoc) ১৫২০-২৪

 

আজতেক জনসংখ্যা, সরকার ইত্যাদি। আজতেক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত প্রদেশ শহর এবং গ্রামের বসবাসকারী মানুষদের মোট সংখ্যা ছিল কমবেশি ১৫-মিলিয়ন বা দেড় কোটি। এই জনসংখ্যার মধ্যে ছিল নানা আদিবাসী ও জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত মানুষ। এই বিভিন্ন জনজাতির মূল সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা লোকাচার-এর মধ্যে কিছুটা মিল থাকলেও পার্থক্য ছিল।

কিন্তু এই জনসংখ্যা ১৫২০-এর পর থেকে অনেকটা কমতে শুরু করে। ১৫২১ খ্রিষ্টাব্দে বসন্ত রোগের মহামারী শুরু হয়। এর ফলে তেনোচতিতলান সহ অন্যান্য অঞ্চলের জনসংখ্যা অনেকটা কমে যায়। এর পরেও ১৯৪৫ সালে মেক্সিকো উপত্যকায় দু’বার বসন্ত রোগ মহামারী হিসেবে দেখা দেয়। সঙ্গে ছিল টাইফয়েড।

স্প্যানিশ কর্তারা জনসংখ্যা কমাবার কাজও এর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। ছোট শহরের বেঁচে থাকা জনগোষ্ঠীকে বড় শহর-এর মধ্যে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে এক নজরে দেখলে বলা যায় মহামারীর ফলে আজতেকদের দেড় কোটি মানুষ কমে ৪০ লক্ষ হয়ে যায়। ১৫৮১ সালে তা আরও কমে ২০ লক্ষ্য পৌঁছয়। একটি হিসেব থেকে জানা যায় গত ৬০ বছরের মধ্যে মেক্সিকোর জনসংখ্যা হ্রাসের পরিমাণ হল শতকরা ৮০ ভাগ।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭)