ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
এই দুঃসাহসী কাজের ফল যে খুব খারাপ হয়েছিল এমন নয়। বরং বলা যায় আজতেক সম্পর্কে তিনি এক নতুন ঐতিহাসিক ভাষ্য তৈরি করেছিলেন। সাধারণ মানুষের মনে আজতেক সমাজ ও জনজীবন সম্পর্কে এক ধরনের গুরুত্ব ও সচেতনতা তৈরি হয়েছিল। এই নতুন ইতিহাস বিদ্যালয়ে পাঠ্য করাও হয়েছিল এবং এর ফলে সাধারণ মানুষের মনে এই বিশ্বাস গড়ে উঠেছিল যে আজতেকরা নিরীহ বা দুর্বল কোন জাতি নয়।
আজতেক জনগোষ্ঠী ও সমাজসভ্যতা শক্তিশালী এবং জাতির মধ্যে আছে পৌরাণিক কাহিনীর স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও গাম্ভীর্য। আজতেক সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের বংশানুক্রমিক শাসন সম্পর্কে একটি সারণি নীচে দেওয়া হল।
১. অঞ্চল এবং শাসক কুলহুয়াকান (Culhuacan)
(ক) কুয়ান্তলিক্স (১৩০৪-১১)
(খ) উহুয়ালাতোনাক (Yohuallatonac) (১৩১১-২১)
(গ) তুহরেকতাজিন (Tzubrectazin) (১৩২১-৩৪)
(ঘ) ইহুইতলেমোক (Yihuitlemoc) (১৩৩৪-৫২)
২. কুয়াহিতিলান (Cuahitilan)
(ক) তেকালতিকুবলি (Tzecalticubli) (১২৯৯-১৩৩৮)
(খ) ভাকূলি (Vactli) (১৩৩৯-৪৯)
৩. কুইতলাহুয়াক (Cuitlahuac)
(ক) মিয়াহুয়াতোনালতিন (Miahuatonaltzin) (১২৯০-১৩০০)
(খ) আক্সায়ায়াতিন (Axayaltzin) (১৩০০-০৮)
(গ) আতজাতজামালতিন (Atzatzamaltzin) (১৩০৮-২৪)
(ঘ) তোতপেহতেকুতলি (Totepeuhtecutli) (১৩২৪-৪৩)
(ঙ) এপকোয়াতজিন (Epcaatzin) (১৩৪৩-৫৪)
৪. তেক্সোকো (Texcoco)
কিনাতজিন (Quinatzin) (১২৯৮-১৩৫৭)
৫. তেনোচিতিক্লান (Tenochititlen)
(ক) তেনোক (Tenoch) (তথ্য পাওয়া যায়নি)
(খ) রাণী আনকুয়েতিল (Queen Uancuetil) (১৩৪৯-৮৩)
(চলবে)
আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬)