০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টারের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরওয়ার ঢাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১২)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • 178

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

সামাজিক কাঠামোর তৃতীয় স্তর গড়ে উঠেছিল ‘দাস’ বা লাকোতিন (Tlacotin) দের নিয়ে। সমাজে এদের বিশেষ স্থান বা গুরুত্ব ছিল। সমাজে কারও বেশি মাত্রায় ধার দেনা থাকলে সে ‘দাসে’ পরিণত হত। এই ঋণ শোধ করতে না পারার জন্য তাদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হত এবং অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী শাস্তি পেতে হত এবং কখনো কখনো জেল খাটতেও হত।

তবে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা ভাল যে দাস হওয়া বা এই ব্যবস্থাটি বংশানুক্রমিক নয়। দাসদের ছেলেমেয়েরা সাধারণ বা স্বাভাবিক বা মুক্ত অবস্থায় সব অধিকার বা সামাজিক মর্যাদা ভোগ করতে পারত। এ বিষয়টিও উল্লেখের দাবি রাখে যে কোন দাস বা দাসদের প্রতি অন্যায় ব্যবহার, অবিচার করা হয়েছে এ প্রমাণিত হলে সে স্বাধীন হতে পারত এবং সাধারণ সুযোগসুবিধা ভোগ করার অধিকার অর্জন করত।

দাসদের এই ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে থাকলে তাদের উঁচু ঘরে বিয়ে দেবার ব্যবস্থাও স্বীকৃত ছিল। আবার অনেকক্ষেত্রে মালিক বা মনিবের মৃত্যু হলে যেসব দাস এর কাজ প্রশংসা অর্জন করার মত তাদের মুক্ত করে দেওয়া হত। এর সঙ্গে আরেকটি শ্রেণিও ছিল যাদের বলা হত পর্যটন ব্যবসায়ী বা পোচতেকা (Pochteca)। এরা সংখ্যায় খুর্ব জম হলেও গুরুত্ব কম ছিল না। এদের প্রধান কাজ বা দায়িত্ব ছিল বাণিজ্য সাক্রান্তে কাজে সাহায্য করা।

তবে এই পর্যটন ব্যবসায়ীরা যেহেতু বিভিন্ন রাজা বা দেশের বাইরেও যেত সেই সূত্রে গোপন খবর দেওয়া-নেওয়ার কাজও করত। কার্যত আজতেক সাম্রাজ্যের গুপ্তচর-এর কাজও তাদের দিয়ে করানো হত। এছাড়া অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায় আজতেকদের মূল একক এক্সিপাস কালপুরি (Calpull)। প্রতিটি কালপুরি তাদের নিজেদের কাজ পরিচালনা করত। একটি কাউন্সিল গঠন করে। পদস্থ কর্তারা সেই মাধ্যমে কাজ করত। কালপুরি স্কুলে ইতিহাস যুদ্ধ, ধর্ম ইত্যাদি শিক্ষা দেওয়া হত।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১১)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১১)

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১২)

০৭:০০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

সামাজিক কাঠামোর তৃতীয় স্তর গড়ে উঠেছিল ‘দাস’ বা লাকোতিন (Tlacotin) দের নিয়ে। সমাজে এদের বিশেষ স্থান বা গুরুত্ব ছিল। সমাজে কারও বেশি মাত্রায় ধার দেনা থাকলে সে ‘দাসে’ পরিণত হত। এই ঋণ শোধ করতে না পারার জন্য তাদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হত এবং অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী শাস্তি পেতে হত এবং কখনো কখনো জেল খাটতেও হত।

তবে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা ভাল যে দাস হওয়া বা এই ব্যবস্থাটি বংশানুক্রমিক নয়। দাসদের ছেলেমেয়েরা সাধারণ বা স্বাভাবিক বা মুক্ত অবস্থায় সব অধিকার বা সামাজিক মর্যাদা ভোগ করতে পারত। এ বিষয়টিও উল্লেখের দাবি রাখে যে কোন দাস বা দাসদের প্রতি অন্যায় ব্যবহার, অবিচার করা হয়েছে এ প্রমাণিত হলে সে স্বাধীন হতে পারত এবং সাধারণ সুযোগসুবিধা ভোগ করার অধিকার অর্জন করত।

দাসদের এই ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে থাকলে তাদের উঁচু ঘরে বিয়ে দেবার ব্যবস্থাও স্বীকৃত ছিল। আবার অনেকক্ষেত্রে মালিক বা মনিবের মৃত্যু হলে যেসব দাস এর কাজ প্রশংসা অর্জন করার মত তাদের মুক্ত করে দেওয়া হত। এর সঙ্গে আরেকটি শ্রেণিও ছিল যাদের বলা হত পর্যটন ব্যবসায়ী বা পোচতেকা (Pochteca)। এরা সংখ্যায় খুর্ব জম হলেও গুরুত্ব কম ছিল না। এদের প্রধান কাজ বা দায়িত্ব ছিল বাণিজ্য সাক্রান্তে কাজে সাহায্য করা।

তবে এই পর্যটন ব্যবসায়ীরা যেহেতু বিভিন্ন রাজা বা দেশের বাইরেও যেত সেই সূত্রে গোপন খবর দেওয়া-নেওয়ার কাজও করত। কার্যত আজতেক সাম্রাজ্যের গুপ্তচর-এর কাজও তাদের দিয়ে করানো হত। এছাড়া অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায় আজতেকদের মূল একক এক্সিপাস কালপুরি (Calpull)। প্রতিটি কালপুরি তাদের নিজেদের কাজ পরিচালনা করত। একটি কাউন্সিল গঠন করে। পদস্থ কর্তারা সেই মাধ্যমে কাজ করত। কালপুরি স্কুলে ইতিহাস যুদ্ধ, ধর্ম ইত্যাদি শিক্ষা দেওয়া হত।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১১)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১১)