০৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টারের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরওয়ার ঢাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • 116

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙের ভারত-আগমনের দুই শত বছর আগে একদল তাতার হুণরা ভারত আক্রমণ করে। এরা ভীষণ নৃশংস, বর্বর ছিল। উত্তর-পশ্চিম থেকে সমস্ত দেশে লুঠ ও হত্যা করতে করতে নগর, মন্দির, স্ত প, সঙ্ঘারাম, ভাস্কর্য ইত্যাদি ধ্বংস করতে করতে এরা অগ্রসর হল।

কুষানরা উদ্যান ও কাশ্মীরে পালিয়ে গেলেন। গুপ্ত সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেল। বর্বরদের মধ্যেও সৎচেয়ে নৃশংস ছিল তোরমানের পুত্র মিহিরগুল। সৌভাগ্যক্রমে মালবরাজ যশোবর্মণ, মগধের শেষ গুপ্ত সম্রাট বালাদিত্যের সঙ্গে মিলিত হয়ে ৫২৮ খৃস্টাব্দে হুণ সৈন্যদল পরাজিত ক’রে মিহিরগুলকে বন্দী করেন।

কিন্তু (হিউএনচাঙ বলেন, বালাদিত্যের মাতার সুপারিশে) তাকে হত্যা না করে নির্বাসন দিলেন। মিহিরগুল কাশ্মীরে আশ্রয় নিল। কিন্তু যড়যন্ত্র ক’রে আশ্রয়দাতার সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে দিল আর কাশ্মীররাজকে হারিয়ে কাশ্মীর আর গান্ধারের অধিবাসীদের হত্যা করতে লাগল।

যা হোক, এর বছর খানেক পরে তার মৃত্যু হয়। আর সেই থেকে হুণদের অত্যাচার ভারতে বন্ধ হয়। উত্তর-পশ্চিমে আর মালবে হুণদের ছোট ছোট রাজ্য টিকে ছিল বটে, কিন্তু ক্রমশ এরাও ভারতীয়ই হয়ে যায়।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৭)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৭)

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৮)

০৯:০০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙের ভারত-আগমনের দুই শত বছর আগে একদল তাতার হুণরা ভারত আক্রমণ করে। এরা ভীষণ নৃশংস, বর্বর ছিল। উত্তর-পশ্চিম থেকে সমস্ত দেশে লুঠ ও হত্যা করতে করতে নগর, মন্দির, স্ত প, সঙ্ঘারাম, ভাস্কর্য ইত্যাদি ধ্বংস করতে করতে এরা অগ্রসর হল।

কুষানরা উদ্যান ও কাশ্মীরে পালিয়ে গেলেন। গুপ্ত সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেল। বর্বরদের মধ্যেও সৎচেয়ে নৃশংস ছিল তোরমানের পুত্র মিহিরগুল। সৌভাগ্যক্রমে মালবরাজ যশোবর্মণ, মগধের শেষ গুপ্ত সম্রাট বালাদিত্যের সঙ্গে মিলিত হয়ে ৫২৮ খৃস্টাব্দে হুণ সৈন্যদল পরাজিত ক’রে মিহিরগুলকে বন্দী করেন।

কিন্তু (হিউএনচাঙ বলেন, বালাদিত্যের মাতার সুপারিশে) তাকে হত্যা না করে নির্বাসন দিলেন। মিহিরগুল কাশ্মীরে আশ্রয় নিল। কিন্তু যড়যন্ত্র ক’রে আশ্রয়দাতার সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে দিল আর কাশ্মীররাজকে হারিয়ে কাশ্মীর আর গান্ধারের অধিবাসীদের হত্যা করতে লাগল।

যা হোক, এর বছর খানেক পরে তার মৃত্যু হয়। আর সেই থেকে হুণদের অত্যাচার ভারতে বন্ধ হয়। উত্তর-পশ্চিমে আর মালবে হুণদের ছোট ছোট রাজ্য টিকে ছিল বটে, কিন্তু ক্রমশ এরাও ভারতীয়ই হয়ে যায়।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৭)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৭)