০৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টারের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরওয়ার ঢাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • 51

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙের সময়ে গান্ধারের রাজা যদিও সম্ভবত বর্বর হুণবংশীয়ই ছিলেন, তবু এক শত বছর সভ্য জাতির সংস্পর্শে এসে এদের অনেকটা উন্নতি হয়েছিল। রাজা স্বয়ং উৎসাহী বৌদ্ধ ছিলেন। তাঁর রাজধানী ছিল বর্তমান কাবুলের উত্তরে কাপিশীতে।

হিউএনচাঙ কাপিণীতেই প্রথমে নগ্ন জৈন, আর গায়ে ছাইমাথা, হাড়ের মালা গলায় শৈব সন্ন্যাসীর দেখা পান। কিন্তু তখনো এ প্রদেশের বেশীর ভাগ লোকই বৌদ্ধ ছিল।

হীনযান মহাযান, দুই যানের ভিক্ষুরাই হিউএনচাঙকে নিমন্ত্রণ করলেন, কিন্তু হীনযানী প্রজ্ঞাকার (তুখার থেকে) হিউএনচাঙের পথের সঙ্গী থাকায় তাঁর খাতিরে হিউএনচাঙ একটা হীন-যানী সঙ্ঘারামেই আশ্রয় নিলেন।

পঞ্জ,শির নদীর তীরে এই সঙ্ঘারামের ভগ্নাবশেষ আধুনিক প্রত্নতাত্ত্বিকরা সনাক্ত করেছেন। হিউএনচাঙ বলেন, কনিষ্ক রাজা অনেক রাজাকে যুদ্ধে হারিয়ে রাজপুত্রদের বন্দী করে জামীন-স্বরূপ এই অট্টালিকায় রেখেছিলেন।

সেই অট্টালিকায়ই এই সঙ্ঘারাম হয়েছিল। রাজপুত্রেরা মাটির তলায় ধনরত্ব প্রোথিত করে রেখেছিলেন। হিউএনচাঙ এখানে থাকবার সময়ে সেই গুপ্তধন আবিষ্কার করবার সহায়তা করেছিলেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৮)

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৯)

০৯:০১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙের সময়ে গান্ধারের রাজা যদিও সম্ভবত বর্বর হুণবংশীয়ই ছিলেন, তবু এক শত বছর সভ্য জাতির সংস্পর্শে এসে এদের অনেকটা উন্নতি হয়েছিল। রাজা স্বয়ং উৎসাহী বৌদ্ধ ছিলেন। তাঁর রাজধানী ছিল বর্তমান কাবুলের উত্তরে কাপিশীতে।

হিউএনচাঙ কাপিণীতেই প্রথমে নগ্ন জৈন, আর গায়ে ছাইমাথা, হাড়ের মালা গলায় শৈব সন্ন্যাসীর দেখা পান। কিন্তু তখনো এ প্রদেশের বেশীর ভাগ লোকই বৌদ্ধ ছিল।

হীনযান মহাযান, দুই যানের ভিক্ষুরাই হিউএনচাঙকে নিমন্ত্রণ করলেন, কিন্তু হীনযানী প্রজ্ঞাকার (তুখার থেকে) হিউএনচাঙের পথের সঙ্গী থাকায় তাঁর খাতিরে হিউএনচাঙ একটা হীন-যানী সঙ্ঘারামেই আশ্রয় নিলেন।

পঞ্জ,শির নদীর তীরে এই সঙ্ঘারামের ভগ্নাবশেষ আধুনিক প্রত্নতাত্ত্বিকরা সনাক্ত করেছেন। হিউএনচাঙ বলেন, কনিষ্ক রাজা অনেক রাজাকে যুদ্ধে হারিয়ে রাজপুত্রদের বন্দী করে জামীন-স্বরূপ এই অট্টালিকায় রেখেছিলেন।

সেই অট্টালিকায়ই এই সঙ্ঘারাম হয়েছিল। রাজপুত্রেরা মাটির তলায় ধনরত্ব প্রোথিত করে রেখেছিলেন। হিউএনচাঙ এখানে থাকবার সময়ে সেই গুপ্তধন আবিষ্কার করবার সহায়তা করেছিলেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৮)