০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং এ আবার সমস্যা:  টোকিও-দিল্লি ফ্লাইট কলকাতায় অবতরণ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাদের শঙ্কা মুরাদনগর ঘটনা নারীর নিরাপত্তাহীনতার প্রকাশ নিরাপত্তাহীন কর্মস্থল: ছয় মাসে ৪২২ শ্রমিকের মৃত্যু দেশে আরো ৫০ লাখ মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে চলে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিলম্বে সামান্য উন্নতি চীনা কারখানা কার্যক্রমে, তবে সংকোচন অব্যাহত জন্ডিস রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি রোধে সতর্কতা কীর্তনখোলা নদী: বরিশালের প্রাণ, দুই শতকের ইতিহাস ও বর্তমান বাস্তবতা বাংলাদেশে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমোদন, প্রকারভেদ ও নিয়মভঙ্গের শাস্তি আলোচনা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: বিবিসিকে ইরানি মন্ত্রী

নির্বাচিত হলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • 30

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রপ্তানির বিকল্প পথ কমল, বাড়বে চাপ”

ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে এত দিন বিশ্বের ২৩টি দেশে রপ্তানি হয়ে আসছিল বাংলাদেশের পণ্য। বাংলাদেশকে একটানা প্রায় সাড়ে ছয় বছর দেওয়া এই সুবিধা গত বুধবার প্রত্যাহার করেছে ভারত। তাতে আকাশপথে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা।

বেনাপোল স্থলবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ভারত এই সুবিধা দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬২৪টি প্রতিষ্ঠান সড়কপথে বেনাপোল থেকে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে সিংহভাগই পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সংখ্যায় ৬০৬। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রায় ৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, আকাশপথে পণ্য পরিবহনে ঢাকার চেয়ে কেজিতে ৫০ সেন্ট থেকে ১ ডলার খরচ কম হয় কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহারে। আবার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে জটের কারণেও দ্রুত পণ্য পরিবহনে কলকাতা বিমানবন্দরের ব্যবহার বাড়ছিল। ভারত এই সুবিধা বাতিল করায় পোশাক রপ্তানিতে বিকল্প একটি পথ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। এতে বাড়তি চাপ তৈরি হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও রপ্তানিকারক সূত্রে জানা যায়, গত বছর বেনাপোল হয়ে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৪৪ হাজার টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ায় সামনে একই পরিমাণ পণ্য শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে পরিবহন করতে হবে। আকাশপথে মাঝারি আকারের উড়োজাহাজে পরিবহন করা যায় ৬০ টন পণ্য। সেই হিসাবে এসব পণ্য পরিবহনে দরকার হবে অন্তত ৭৩০টি বাড়তি ফ্লাইট। রপ্তানিকারকদের শঙ্কা, বাড়তি চাপের কারণে ঢাকার আকাশপথে ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য পরিবহনে ভাড়া বাড়তে পারে। আবার জটও তৈরি হতে পারে।

বেনাপোল কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করেছে নারায়ণগঞ্জের ফকির ফ্যাশন। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৭ কোটি ডলারের পৌনে ৫ হাজার টন পণ্য রপ্তানি করেছে। সর্বশেষ গত সোমবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে সড়কপথে কলকাতা বিমানবন্দরে প্রতিষ্ঠানটির একটি চালান স্পেনে পাঠানো হয়েছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “নির্বাচিত হলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি”

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এলএনজি কিনতে সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চায়”

নগদ অর্থের সংকট, বিশেষ করে ডলারের অভাবে সম্প্রতি জ্বালানির দাম সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সব বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে স্থানীয় উৎস থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস উত্তোলন করতে না পারায় চাহিদা মেটাতে দিন দিন বাড়ছে এলএনজি-নির্ভরতা। এ অবস্থায় জ্বালানি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। দীর্ঘমেয়াদি ও স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ৭০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা নিতে বহুজাতিক এ দাতা সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চলছে। চলতি বছরে দ্বিতীয়ার্ধে এ ঋণ সুবিধার বিষয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানা যায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আমদানির জন্য পেট্রোবাংলাকে ৭০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা দেবে বিশ্বব্যাংক। গ্যাস খাতের নিরাপত্তা সুবিধা নামে এ ঋণ মিলবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে ৩৫ কোটি ডলার দিতে চায় বহুজাতিক দাতা সংস্থাটি। এর মধ্যে নন-ফান্ডেড ঋণ সুবিধার আওতায় ২০ কোটি ডলার দীর্ঘমেয়াদি উৎস থেকে এবং ৫ কোটি ডলার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য দেয়া হবে। তাছাড়া ফান্ডেড সুবিধার আওতায় চলতি মূলধন হিসেবে দেয়া হবে ১০ কোটি ডলার। এ সুবিধা অবশ্য বিনিময়যোগ্য হবে, অর্থাৎ এক খাতের অব্যবহৃত সুবিধা অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে। ঋণ সুবিধাটি পেতে বাংলাদেশ সরকারকে একটি ক্ষতিপূরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। এজন্য অর্থ বিভাগ, বিশ্বব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অনুকূলে সভরেন গ্যারান্টি ইস্যু করবে। কোনো কারণে পেট্রোবাংলা এলএনজি আমদানির অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে সেটি পরিশোধের।

অর্থ মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুসারে, এ ঋণ সুবিধা পাওয়া গেলে বছরে ২ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে। এর মধ্যে এলএনজি আমদানিতেই সাশ্রয় হবে দেড় কোটি ডলার। তাছাড়া এর মাধ্যমে বছরে বাড়তি দশমিক ৪৯ মিলিয়ন টন গ্যাস সরবরাহ বাড়বে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ৪ শতাংশের মতো কমবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। সাত বছরের জন্য এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা এ ঋণ সুবিধা পাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মূলত ডলারের বাড়তি সরবরাহের সুবিধা পেতে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে এ ঋণ সুবিধা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এক্ষেত্রে অর্থ পরিশোধের জন্য কিছুটা সময় পাওয়া যাবে। আমরা আগে থেকেই আইটিএফসির (ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স) কাছ থেকে এ ধরনের ঋণ সুবিধা নিয়ে আসছি। বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবিত ঋণ সুবিধার শর্ত আইটিএফসির চেয়েও ভালো।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মোড়”

৫৪ বছরে এই প্রথম এতটা নাটকীয় মোড় নিয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক। প্রায় ‘ডিপ ফ্রিজে’ চলে যাওয়া সম্পর্কটি এখন কেবল ‘স্বাভাবিক’ বা ‘সচল’ই নয়, বরং এতে দৃশ্যমান রূপান্তর ঘটতে চলেছে! সম্পর্কের অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর নিষ্পত্তি-চেষ্টার পাশাপাশি কিছু নতুনত্ব আনতে উভয়ের আগ্রহ রয়েছে- এমনটাই দাবি পেশাদার কূটনীতিকদের। তবে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, গবেষক এবং বিশ্লেষকরা বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করেন। যা বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। সেগুনবাগিচা এটা নিশ্চিত করেছে যে, নতুন বাস্তবতায় পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে বোঝাপাড়া করতে চাইছে বাংলাদেশ। চলতি মাসে ঢাকায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সফর হবে। প্রায় এক যুগ বিরতির পর ৬ষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বা রাজনৈতিক সংলাপ হবে দুই দেশের মধ্যে। ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে ৫ম এফওসি হয়েছিল। আসন্ন ঢাকা সংলাপে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ডেইলি পাকিস্তান। তাদের রিপোর্ট মতে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমেনা বেলুচ এতে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করবেন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দু’দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রস্তাব। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে একটি যৌথ কমিশন পুনর্বহালের বিষয়টি তুলতে পারে পাকিস্তান। এদিকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফর করছেন, এটা নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা। কিন্তু তার সফরের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি বলে দাবি করেছেন সফর প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম অবশ্য সফরের সম্ভাব্য তারিখ তুলে ধরছে। তাদের রিপোর্ট মতে, আগামী ২২-২৪শে এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। তার এ সফরকে বাণিজ্য, কূটনীতিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা গভীর করার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছে ইসলামাবাদ। ডেইলি পাকিস্তানের রিপোর্টের ফাইন্ডিংস হচ্ছে- ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের ওপর থেকে ভারতের প্রভাব হ্রাস করে পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে। বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে চীনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাইছে। যা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। স্মরণ করা যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে বহুমাত্রিক সম্পর্ক জোরালো করতে পাকিস্তান আগ্রহী- এমন বার্তা দিয়ে গেছেন সদ্য ঢাকা সফরকারী পাকিস্তানের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি ঢাকায় দেশটির হাইকশিনার হিসেবে ক’বছর আগে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এবারে ভিন্ন অ্যাসাইনমেন্টে আসা মিস্টার সিদ্দিকী পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয়পক্ষ দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে পরামর্শমূলক বৈঠক ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠক ২০১০ সালে আর অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের অর্থনৈতিক কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক হয় ২০০৫ সালে। ইমরান সিদ্দিকী এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরের বিষয়েও আলোচনা করে গেছেন। তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে লেখা ইসহাক দারের একটি চিঠিও পররাষ্ট্র সচিবের কাছে হস্তান্তর করেন। উভয়পক্ষ সার্ক, ওআইসি ও ডি-৮ কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে। ২০১২ সালে পাকিস্তানের তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানী খারের ঢাকা সফরের পর ইমরান সিদ্দিকী সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা যিনি ঢাকা সফর করেন।

এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং এ আবার সমস্যা:  টোকিও-দিল্লি ফ্লাইট কলকাতায় অবতরণ

নির্বাচিত হলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি

০৮:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রপ্তানির বিকল্প পথ কমল, বাড়বে চাপ”

ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে এত দিন বিশ্বের ২৩টি দেশে রপ্তানি হয়ে আসছিল বাংলাদেশের পণ্য। বাংলাদেশকে একটানা প্রায় সাড়ে ছয় বছর দেওয়া এই সুবিধা গত বুধবার প্রত্যাহার করেছে ভারত। তাতে আকাশপথে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা।

বেনাপোল স্থলবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ভারত এই সুবিধা দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬২৪টি প্রতিষ্ঠান সড়কপথে বেনাপোল থেকে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে সিংহভাগই পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সংখ্যায় ৬০৬। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রায় ৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, আকাশপথে পণ্য পরিবহনে ঢাকার চেয়ে কেজিতে ৫০ সেন্ট থেকে ১ ডলার খরচ কম হয় কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহারে। আবার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে জটের কারণেও দ্রুত পণ্য পরিবহনে কলকাতা বিমানবন্দরের ব্যবহার বাড়ছিল। ভারত এই সুবিধা বাতিল করায় পোশাক রপ্তানিতে বিকল্প একটি পথ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। এতে বাড়তি চাপ তৈরি হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও রপ্তানিকারক সূত্রে জানা যায়, গত বছর বেনাপোল হয়ে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৪৪ হাজার টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ায় সামনে একই পরিমাণ পণ্য শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে পরিবহন করতে হবে। আকাশপথে মাঝারি আকারের উড়োজাহাজে পরিবহন করা যায় ৬০ টন পণ্য। সেই হিসাবে এসব পণ্য পরিবহনে দরকার হবে অন্তত ৭৩০টি বাড়তি ফ্লাইট। রপ্তানিকারকদের শঙ্কা, বাড়তি চাপের কারণে ঢাকার আকাশপথে ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য পরিবহনে ভাড়া বাড়তে পারে। আবার জটও তৈরি হতে পারে।

বেনাপোল কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করেছে নারায়ণগঞ্জের ফকির ফ্যাশন। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৭ কোটি ডলারের পৌনে ৫ হাজার টন পণ্য রপ্তানি করেছে। সর্বশেষ গত সোমবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে সড়কপথে কলকাতা বিমানবন্দরে প্রতিষ্ঠানটির একটি চালান স্পেনে পাঠানো হয়েছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “নির্বাচিত হলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি”

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এলএনজি কিনতে সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চায়”

নগদ অর্থের সংকট, বিশেষ করে ডলারের অভাবে সম্প্রতি জ্বালানির দাম সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সব বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে স্থানীয় উৎস থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস উত্তোলন করতে না পারায় চাহিদা মেটাতে দিন দিন বাড়ছে এলএনজি-নির্ভরতা। এ অবস্থায় জ্বালানি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। দীর্ঘমেয়াদি ও স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ৭০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা নিতে বহুজাতিক এ দাতা সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চলছে। চলতি বছরে দ্বিতীয়ার্ধে এ ঋণ সুবিধার বিষয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানা যায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আমদানির জন্য পেট্রোবাংলাকে ৭০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা দেবে বিশ্বব্যাংক। গ্যাস খাতের নিরাপত্তা সুবিধা নামে এ ঋণ মিলবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে ৩৫ কোটি ডলার দিতে চায় বহুজাতিক দাতা সংস্থাটি। এর মধ্যে নন-ফান্ডেড ঋণ সুবিধার আওতায় ২০ কোটি ডলার দীর্ঘমেয়াদি উৎস থেকে এবং ৫ কোটি ডলার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য দেয়া হবে। তাছাড়া ফান্ডেড সুবিধার আওতায় চলতি মূলধন হিসেবে দেয়া হবে ১০ কোটি ডলার। এ সুবিধা অবশ্য বিনিময়যোগ্য হবে, অর্থাৎ এক খাতের অব্যবহৃত সুবিধা অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে। ঋণ সুবিধাটি পেতে বাংলাদেশ সরকারকে একটি ক্ষতিপূরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। এজন্য অর্থ বিভাগ, বিশ্বব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অনুকূলে সভরেন গ্যারান্টি ইস্যু করবে। কোনো কারণে পেট্রোবাংলা এলএনজি আমদানির অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে সেটি পরিশোধের।

অর্থ মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুসারে, এ ঋণ সুবিধা পাওয়া গেলে বছরে ২ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে। এর মধ্যে এলএনজি আমদানিতেই সাশ্রয় হবে দেড় কোটি ডলার। তাছাড়া এর মাধ্যমে বছরে বাড়তি দশমিক ৪৯ মিলিয়ন টন গ্যাস সরবরাহ বাড়বে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ৪ শতাংশের মতো কমবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। সাত বছরের জন্য এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা এ ঋণ সুবিধা পাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মূলত ডলারের বাড়তি সরবরাহের সুবিধা পেতে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে এ ঋণ সুবিধা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এক্ষেত্রে অর্থ পরিশোধের জন্য কিছুটা সময় পাওয়া যাবে। আমরা আগে থেকেই আইটিএফসির (ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স) কাছ থেকে এ ধরনের ঋণ সুবিধা নিয়ে আসছি। বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবিত ঋণ সুবিধার শর্ত আইটিএফসির চেয়েও ভালো।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মোড়”

৫৪ বছরে এই প্রথম এতটা নাটকীয় মোড় নিয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক। প্রায় ‘ডিপ ফ্রিজে’ চলে যাওয়া সম্পর্কটি এখন কেবল ‘স্বাভাবিক’ বা ‘সচল’ই নয়, বরং এতে দৃশ্যমান রূপান্তর ঘটতে চলেছে! সম্পর্কের অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর নিষ্পত্তি-চেষ্টার পাশাপাশি কিছু নতুনত্ব আনতে উভয়ের আগ্রহ রয়েছে- এমনটাই দাবি পেশাদার কূটনীতিকদের। তবে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, গবেষক এবং বিশ্লেষকরা বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করেন। যা বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। সেগুনবাগিচা এটা নিশ্চিত করেছে যে, নতুন বাস্তবতায় পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে বোঝাপাড়া করতে চাইছে বাংলাদেশ। চলতি মাসে ঢাকায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সফর হবে। প্রায় এক যুগ বিরতির পর ৬ষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বা রাজনৈতিক সংলাপ হবে দুই দেশের মধ্যে। ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে ৫ম এফওসি হয়েছিল। আসন্ন ঢাকা সংলাপে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ডেইলি পাকিস্তান। তাদের রিপোর্ট মতে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমেনা বেলুচ এতে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করবেন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দু’দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রস্তাব। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে একটি যৌথ কমিশন পুনর্বহালের বিষয়টি তুলতে পারে পাকিস্তান। এদিকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফর করছেন, এটা নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা। কিন্তু তার সফরের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি বলে দাবি করেছেন সফর প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম অবশ্য সফরের সম্ভাব্য তারিখ তুলে ধরছে। তাদের রিপোর্ট মতে, আগামী ২২-২৪শে এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। তার এ সফরকে বাণিজ্য, কূটনীতিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা গভীর করার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছে ইসলামাবাদ। ডেইলি পাকিস্তানের রিপোর্টের ফাইন্ডিংস হচ্ছে- ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের ওপর থেকে ভারতের প্রভাব হ্রাস করে পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে। বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে চীনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাইছে। যা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। স্মরণ করা যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে বহুমাত্রিক সম্পর্ক জোরালো করতে পাকিস্তান আগ্রহী- এমন বার্তা দিয়ে গেছেন সদ্য ঢাকা সফরকারী পাকিস্তানের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি ঢাকায় দেশটির হাইকশিনার হিসেবে ক’বছর আগে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এবারে ভিন্ন অ্যাসাইনমেন্টে আসা মিস্টার সিদ্দিকী পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয়পক্ষ দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে পরামর্শমূলক বৈঠক ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠক ২০১০ সালে আর অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের অর্থনৈতিক কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক হয় ২০০৫ সালে। ইমরান সিদ্দিকী এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরের বিষয়েও আলোচনা করে গেছেন। তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে লেখা ইসহাক দারের একটি চিঠিও পররাষ্ট্র সচিবের কাছে হস্তান্তর করেন। উভয়পক্ষ সার্ক, ওআইসি ও ডি-৮ কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে। ২০১২ সালে পাকিস্তানের তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানী খারের ঢাকা সফরের পর ইমরান সিদ্দিকী সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা যিনি ঢাকা সফর করেন।