মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩৪)

  • Update Time : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮.০০ পিএম

আর্কাদি গাইদার

পঞ্চম পরিচ্ছেদ

যদিও বুকটা ধড়ফড় করছিল তবু তখনই আমার মনের মধ্যে এই চিন্তাটা চমকে গেল যে আমার এই আগ বাড়িয়ে খোঁজখবর করাটা বৃথা যায় নি আর শত্রুকে আমিই প্রথম দেখতে পেয়েছি।

‘কিন্তু চুবুক কোথায় গেলেন?’ ভাবনাটা মাথায় আসতেই ভয় ধরে গেল আমার।

চট করে পেছনের দিকে তাকালুম আমি। উৎরাই বেয়ে নিচে নেমে চুবুককে খোঁজার উদ্যোগ করছি, এমন সময় খাদের বাঁদিকের উৎরাইয়ে একটা ঝোপ অল্প-একটু নড়ে উঠতে সেই দিকে চোখ চলে গেল।

উলটো দিকের উৎরাইয়ের ওই ঝোপটা থেকে ভাস্কা শাকভ সতর্কভাবে মুখ বের করে, হাত নেড়ে ইসারায় আমায় সাবধান করে দিল আর খাদের নিচের দিকে আঙুল দিয়ে দেখাল।

প্রথমে ভাবলুম ও বুঝি আমায় নিচে নামতে বলছে। কিন্তু ও যেদিকে আঙুল দেখাল সেদিকে তাকিয়েই আঁতকে উঠে মাথাটা ঝোপের ভেতর টেনে নিলুম আমি।

দেখলুম, একজন শ্বেতরক্ষী-সৈন্য একটা ঘোড়ার লাগাম ধরে খাদের নিচের ঘন গাছপালার মধ্যে দিয়ে হেটে চলেছে। সৈন্যটা ঘোড়াকে জল খাওয়ানোর জন্যে জলের খোঁজ করছিল, নাকি যে-বাহিনীটা ওপর দিয়ে যাচ্ছিল তাদেরই পাশের দিকের অশ্বারোহী পাহারাদারদের ও ছিল একজন, তা ঠিক বুঝলুম না। তবে এটুকু বুঝলুম ও আমাদের শত্রুপক্ষের একজন, আর ও আমাদের ব্যূহের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

কী করা উচিত, আমি কিছুই বুঝতে পারছিলুম না। দেখতে-দেখতে ঘোড়াসুদ্ধ লোকটা ঝোপের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে গেল। এখন আমি শুধু ভাস্কাকেই দেখতে পাচ্ছিলুম। কিন্তু, আমার মনে হল, ওপারের উৎরাই থেকে ভাস্কা আরও নতুন কিছু দেখতে পেয়েছে যা তখনও আমার চোখের আড়ালে রয়ে গিয়েছিল।

এক হাঁটুতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ভাস্কা। ওর রাইফেলের কু’দোটা ছিল মাটিতে। একটা হাত আমার দিকে বাড়িয়ে ও আমাকে নড়তে বারণ করছিল, অথচ নিজে বারবার নিচের দিকে তাকাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে তৈরি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024