০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
পোল্যান্ডের বনে বিরল কালো নেকড়ের ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য, সংরক্ষণ ও সহাবস্থানের বিতর্ক নতুন করে শিশিতে বন্দি সৌন্দর্যের মোহ: পরীক্ষাহীন পেপটাইড ইনজেকশনের বিপজ্জনক উত্থান তুরস্কের দাবি: আক্কুয়ু পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার নতুন ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৬) শাওমির ১৭ আল্ট্রা ‘লাইকা এডিশন’: স্মার্টফোনে ফিরছে ম্যানুয়াল জুম রিং একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • 100

আর্কাদি গাইদার

পঞ্চম পরিচ্ছেদ

যদিও বুকটা ধড়ফড় করছিল তবু তখনই আমার মনের মধ্যে এই চিন্তাটা চমকে গেল যে আমার এই আগ বাড়িয়ে খোঁজখবর করাটা বৃথা যায় নি আর শত্রুকে আমিই প্রথম দেখতে পেয়েছি।

‘কিন্তু চুবুক কোথায় গেলেন?’ ভাবনাটা মাথায় আসতেই ভয় ধরে গেল আমার।

চট করে পেছনের দিকে তাকালুম আমি। উৎরাই বেয়ে নিচে নেমে চুবুককে খোঁজার উদ্যোগ করছি, এমন সময় খাদের বাঁদিকের উৎরাইয়ে একটা ঝোপ অল্প-একটু নড়ে উঠতে সেই দিকে চোখ চলে গেল।

উলটো দিকের উৎরাইয়ের ওই ঝোপটা থেকে ভাস্কা শাকভ সতর্কভাবে মুখ বের করে, হাত নেড়ে ইসারায় আমায় সাবধান করে দিল আর খাদের নিচের দিকে আঙুল দিয়ে দেখাল।

প্রথমে ভাবলুম ও বুঝি আমায় নিচে নামতে বলছে। কিন্তু ও যেদিকে আঙুল দেখাল সেদিকে তাকিয়েই আঁতকে উঠে মাথাটা ঝোপের ভেতর টেনে নিলুম আমি।

দেখলুম, একজন শ্বেতরক্ষী-সৈন্য একটা ঘোড়ার লাগাম ধরে খাদের নিচের ঘন গাছপালার মধ্যে দিয়ে হেটে চলেছে। সৈন্যটা ঘোড়াকে জল খাওয়ানোর জন্যে জলের খোঁজ করছিল, নাকি যে-বাহিনীটা ওপর দিয়ে যাচ্ছিল তাদেরই পাশের দিকের অশ্বারোহী পাহারাদারদের ও ছিল একজন, তা ঠিক বুঝলুম না। তবে এটুকু বুঝলুম ও আমাদের শত্রুপক্ষের একজন, আর ও আমাদের ব্যূহের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

কী করা উচিত, আমি কিছুই বুঝতে পারছিলুম না। দেখতে-দেখতে ঘোড়াসুদ্ধ লোকটা ঝোপের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে গেল। এখন আমি শুধু ভাস্কাকেই দেখতে পাচ্ছিলুম। কিন্তু, আমার মনে হল, ওপারের উৎরাই থেকে ভাস্কা আরও নতুন কিছু দেখতে পেয়েছে যা তখনও আমার চোখের আড়ালে রয়ে গিয়েছিল।

এক হাঁটুতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ভাস্কা। ওর রাইফেলের কু’দোটা ছিল মাটিতে। একটা হাত আমার দিকে বাড়িয়ে ও আমাকে নড়তে বারণ করছিল, অথচ নিজে বারবার নিচের দিকে তাকাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে তৈরি হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পোল্যান্ডের বনে বিরল কালো নেকড়ের ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য, সংরক্ষণ ও সহাবস্থানের বিতর্ক নতুন করে

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩৪)

০৮:০০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

পঞ্চম পরিচ্ছেদ

যদিও বুকটা ধড়ফড় করছিল তবু তখনই আমার মনের মধ্যে এই চিন্তাটা চমকে গেল যে আমার এই আগ বাড়িয়ে খোঁজখবর করাটা বৃথা যায় নি আর শত্রুকে আমিই প্রথম দেখতে পেয়েছি।

‘কিন্তু চুবুক কোথায় গেলেন?’ ভাবনাটা মাথায় আসতেই ভয় ধরে গেল আমার।

চট করে পেছনের দিকে তাকালুম আমি। উৎরাই বেয়ে নিচে নেমে চুবুককে খোঁজার উদ্যোগ করছি, এমন সময় খাদের বাঁদিকের উৎরাইয়ে একটা ঝোপ অল্প-একটু নড়ে উঠতে সেই দিকে চোখ চলে গেল।

উলটো দিকের উৎরাইয়ের ওই ঝোপটা থেকে ভাস্কা শাকভ সতর্কভাবে মুখ বের করে, হাত নেড়ে ইসারায় আমায় সাবধান করে দিল আর খাদের নিচের দিকে আঙুল দিয়ে দেখাল।

প্রথমে ভাবলুম ও বুঝি আমায় নিচে নামতে বলছে। কিন্তু ও যেদিকে আঙুল দেখাল সেদিকে তাকিয়েই আঁতকে উঠে মাথাটা ঝোপের ভেতর টেনে নিলুম আমি।

দেখলুম, একজন শ্বেতরক্ষী-সৈন্য একটা ঘোড়ার লাগাম ধরে খাদের নিচের ঘন গাছপালার মধ্যে দিয়ে হেটে চলেছে। সৈন্যটা ঘোড়াকে জল খাওয়ানোর জন্যে জলের খোঁজ করছিল, নাকি যে-বাহিনীটা ওপর দিয়ে যাচ্ছিল তাদেরই পাশের দিকের অশ্বারোহী পাহারাদারদের ও ছিল একজন, তা ঠিক বুঝলুম না। তবে এটুকু বুঝলুম ও আমাদের শত্রুপক্ষের একজন, আর ও আমাদের ব্যূহের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

কী করা উচিত, আমি কিছুই বুঝতে পারছিলুম না। দেখতে-দেখতে ঘোড়াসুদ্ধ লোকটা ঝোপের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে গেল। এখন আমি শুধু ভাস্কাকেই দেখতে পাচ্ছিলুম। কিন্তু, আমার মনে হল, ওপারের উৎরাই থেকে ভাস্কা আরও নতুন কিছু দেখতে পেয়েছে যা তখনও আমার চোখের আড়ালে রয়ে গিয়েছিল।

এক হাঁটুতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ভাস্কা। ওর রাইফেলের কু’দোটা ছিল মাটিতে। একটা হাত আমার দিকে বাড়িয়ে ও আমাকে নড়তে বারণ করছিল, অথচ নিজে বারবার নিচের দিকে তাকাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে তৈরি হচ্ছে।