সারাক্ষণ রিপোর্ট
আপনি যখন রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধী ওষুধ (অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট) নিচ্ছেন, তাহলে সেটা আপনার চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অস্ত্রোপচার বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে যদি আপনাকে কোন নির্ধারিত হয়, তখন কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
অস্ত্রোপচারের আগে আলোচনা
অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট সাধারণত নিচের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়:
· স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) রোধে
· ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (ভেতরের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা) এবং পুলমোনারি এমবোলিজম (ফুসফুসে রক্ত জমাট যাওয়া) প্রতিরোধে
যদি আধুনিক পদ্ধতির কারণে রক্তক্ষরণ খুবই নগণ্য হয়, ওষুধ বন্ধ না করেই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ হতে পারে। তবে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেশি থাকলে চিকিৎসক নির্দিষ্ট সময় আগে ওষুধ বন্ধ করার নির্দেশ দেবেন।
ওষুধ বন্ধ করার সময় বিবেচ্য বিষয়
· আপনার ব্যক্তিগত রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি
· নির্ধারিত পদ্ধতির রক্তক্ষরণ ঝুঁকি
· আপনি যে ধরনের অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট ব্যবহার করছেন
· আপনার দেহে ওষুধের শোষণ ও বর্জনের গতি
বিকল্প চিকিৎসা
যদি বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের আগে দীর্ঘ সময় ওষুধ বন্ধ রাখতে হয় এবং জমাট বাঁধার ঝুঁকি অতিরিক্ত থাকে, তাহলে চিকিৎসক শর্ট-অ্যাক্টিং বিকল্প (যেমন লো-মলিকিউলার হেপারিন) দিতে পারেন। এতে রক্ত জমাট বাঁধা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ উভয়ই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
অস্ত্রোপচারের পর পুনরায় ওষুধ শুরু
সাধারণত অপারেশনের ৪৮–৭২ ঘণ্টা পর অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট পুনরায় শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সঠিক সময়ের জন্য অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের নির্দেশনাই মেনে চলবেন।
বিশেষ সতর্কতা
· চিকিৎসকের দেওয়া ডোজ ও সময়সূচি মেনে চলুন; হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করলে ঝুঁকি বাড়তে পারে
· জরুরি কোনো পদ্ধতির জন্য প্রস্তুত থাকতে:
o মেডিকেল এলার্ট ব্রেসলেট পরুন
o অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট এলার্ট কার্ড সঙ্গে রাখুন
o সব চিকিৎসককে জানিয়ে রাখুন যে আপনি অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট নিচ্ছেন