পর্যটকের পকেট বনাম বেড়ে যাওয়া খরচ
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাম্প্রতিক এক পরীক্ষামূলক ভ্রমণে দেখা গেছে, ফ্লোরিডার মিয়ামি বিচ ঘুরে আসা এখনো ১,০০০ ডলারের মধ্যে সম্ভব, তবে আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিকল্পনা ও হিসাব চাই। প্রতিবেদকরা জনপ্রিয় সাউথ বিচের বদলে একটু নিরিবিলি এলাকায় তুলনামূলক ছোট হোটেল বুক করেছেন, রাইডশেয়ারের বদলে বাইক ও স্থানীয় ট্রলি ব্যবহার করেছেন এবং সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনের খাবারের অফার ধরেছেন—তবেই বাজেটের মধ্যে থাকা গেছে। কারণ ২০২0–এর দশকের মাঝামাঝি পর্যটন উল্লম্ফনের পর থেকে অনেক হোটেলই আলাদা করে রিসোর্ট ফি, পুল ব্যবহারের চার্জ বা ‘ওয়েলনেস অ্যাক্সেস’ যুক্ত করেছে, যা না জানলে হিসাবের বাইরে চলে যায়। ডলারের মান কিছুটা শক্ত হলেও কর ও সার্ভিস চার্জ মিলিয়ে খানাখরচ দ্রুতই ১,০০০ ডলারের সীমা ছুঁয়ে ফেলে।
সাশ্রয়ের কৌশল কী
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও বাজেট ট্রাভেলাররা বলছেন, যে অভিজ্ঞতাটি মিয়ামিকে আলাদা করে—রোদ, সৈকত, আর্ট ডেকো ভবন, লাতিন ও ক্যারিবীয় খাবার—সেটিতে খরচ রাখুন, আর ব্যয়সাপেক্ষ নাইটলাইফ বা সমুদ্রছোঁয়া ব্র্যান্ডেড হোটেল থেকে এক কদম সরে যান। সৈকত থেকে এক–দুই ব্লক ভেতরে থাকলে তিন দিনে কয়েকশ ডলার বাঁচানো যায় এবং সেই টাকায় লিটল হাভানায় দারুণ ডিনার বা নৌবিহার করা সম্ভব। শহরের বিনা ভাড়ার ট্রলি ও উন্নত বাসরুট ব্যবহার করলে উবার বা ট্যাক্সি খরচও কমে। সব মিলিয়ে বার্তাটা এটাই: মিয়ামি বিচ এখনো হাতের নাগালে, কিন্তু হুট করে সিদ্ধান্ত নিলে ব্যয় মুহূর্তে বেড়ে যায়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















