ক্রিস শ্যাল্ক্স
বালির চিরকালীন জনপ্রিয়তা দ্বীপজুড়ে ভিড় ও বাণিজ্যিকতার চাপ বাড়ালেও, পার্টি কেন্দ্র চাঙ্গু থেকে আধা ঘণ্টার হাঁটার দূরত্বে ঘুমকাতুরে উপকূলীয় গ্রাম পেরেরেনান এখনো শান্ত, কমিউনিটি-নির্ভর বৈশিষ্ট্য অটুট রেখেছে। ফ্র্যাঞ্জিপানি গাছ আর ঐতিহ্যবাহী বালিনীয় আবাসনের ফাঁকে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে, অথচ অতিরিক্ত উন্নয়ন রোধে গ্রামের প্রশাসন ‘বানজার’-এর করা কঠোর নিয়মও মেনে চলছে।
“শুরুতে সৈকতের পাশের কয়েকটি ক্যাফে ছাড়া আশপাশে তেমন কিছুই ছিল না,” বলেন ওয়ায়ান ক্রেসনা ইয়াসা। ২০২১ সালে তিনি চালু করেন ‘হোম বাই শেফ ওয়ায়ান’, যেখানে বালি ও নিজস্ব নুসা পেনিদার ঐতিহ্যবাহী রেসিপিগুলোকে আধুনিক রূপ দিয়েছেন—যেমন পামেলো দিয়ে তৈরি সেভিচ-ধাঁচের ‘রুজাক ইকান’ ও মাছের পোরিজ ‘লেডক নুসা’কে রিসোটোর আদলে উপস্থাপন। তারপর থেকে রেস্তোরাঁ, স্পা, সুগন্ধি ও সিরামিকের দোকানসহ নানা ব্যবসা গড়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সংযোজনের মধ্যে রয়েছে সেমিনিয়াকের শাখা থেকে অনুপ্রাণিত এশিয়ান-লাতিন ‘কিলো কিচেন পেরেরেনান’, অস্ট্রেলীয় শেফ বেঞ্জামিন ক্রসের সাম্বল ছিটানো স্টেক টারটার ও টোনকা বিন ককটেল পরিবেশনের ‘বার ভেরা’, আর ব্রিটিশ শেফ-মালিক স্টিফেন মুরের সৈকতঘেঁষা ‘শেল্টার’, যেখানে বিশ্বজুড়ের তারকা রাঁধুনিদের নিয়ে পপ-আপ ডিনার অনুষ্ঠিত হয়।
থাকার নতুন সুযোগগুলোও পর্যটকদের মহল্লার সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে। ২০২৩ সালে চালু হওয়া ‘ফারদার হোটেল’ এক ধরনের ‘ডিফিউজড হোটেল’—যার বিভিন্ন ভবন জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আলো-বাতাসপূর্ণ, আর্ট-ভর্তি সুইটগুলোতে বার ভেরা, জাকার্তা-ভিত্তিক সুগন্ধি ব্র্যান্ড ওকেন ল্যাব এবং অস্ট্রেলীয় সার্ফ শপ থমাস সার্ফবোর্ডসের তৈরি পণ্য রাখা আছে। সদ্য খোলা ‘নোএমা রিসোর্ট পেরেরেনান’—ইন্দোনেশীয় হোটেলিয়ার জে এইচ এল কালেকশন্সের উদ্যোগ—রান্না শেখা, সুস্থতা কর্মসূচি ও টেকসই শিল্প-কারুশিল্প কর্মশালার মাধ্যমে অতিথিদের স্থানীয়দের সঙ্গে মেলামেশায় উৎসাহিত করছে।
পেরেরেনানের এই নতুন প্রাণচাঞ্চল্য ওয়ায়ান ক্রেসনা ইয়াসার জন্য সুখকর চমক। তিনি আশাবাদী, “সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, পেরেরেনান এখনো একটি আবাসিক এলাকা, যা স্থানীয় কমিউনিটির পাশাপাশি নবাগত অতিথিদেরও সমর্থন করে।”
Leave a Reply