সারাক্ষণ রিপোর্ট
মহড়ার উদ্দেশ্য
রবিবার আরব সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়ে দীর্ঘ-পাল্লার নিখুঁত আক্রমণ সক্ষমতা যাচাই ও প্রদর্শন করলো। ২২ এপ্রিলের পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও উপস্থাপন
মহড়ার অংশ হিসেবে একাধিক অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। একই সঙ্গে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে নৌবাহিনী, যা পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিবেশে তাদের যুদ্ধ-প্রস্তুতির সক্ষমতা তুলে ধরে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও প্রতিক্রিয়া
যদিও এই মহড়া হামলার কয়েক দিন আগে থেকেই পরিকল্পিত ছিল, তবে ২২ এপ্রিলের হামলার জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান যে হামলার পরিকল্পনাকারী ও সহযোগীদের উপর ‘কঠোরতম জবাব’ দেওয়া হবে। এতে প্রতিবেশী পাকিস্তানকে স্পষ্ট সতর্কবার্তা পৌঁছে যায়।
সীমান্তে উত্তেজনার মাত্রা
পাহালগাম হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধারাবাহিকভাবে তিন দিন ধরে ভারতীয় পোস্টগুলোতে গোলাবর্ষণ চালায়, যা ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতি পরিত্যাগের ইঙ্গিত দেয়নি।
সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলে পরিবর্তন
২২ এপ্রিল বাইসরান (পাহালগাম সংলগ্ন) এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাস প্রতিরোধ নীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে। নিরাপত্তা বাহিনী এখন শুধু অনুপ্রবেশ রোধ নয়, পর্যটনকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন ভূমিকাও পালন করবে।
বিশেষজ্ঞ তথ্য ও মন্তব্য
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি. এস. হুদা মনে করেন বাইসরান হামলা ছিল এক পরিকল্পিত উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনা, কারণ আগে পর্যটকদের টার্গেট না করার অদৃশ্য নীতি ছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, শুধুমাত্র হামলাকারীদের নয়, তাদের নির্দেশদাতাদেরও কঠোর প্রতিক্রিয়া ভোগ করতে হবে।
Leave a Reply