১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

চমেক শিক্ষার্থী আবিদ হত্যায় খালাস পাওয়া ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্ট নির্দেশ

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • 42

নিজস্ব প্রতিনিধি 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রদল কর্মী সন্দেহে ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান আবিদ হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ১২ আসামিকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো.জাকির হোসেন ও সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেছেন। রুলে বিচারিক আদালতের দেওয়া খালাসের রায় কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির, অ্যাডভোকেট ওজি উল্লাহ্। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিমুদ্দিন পাটোয়ারি, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলফাজ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এরশাদুল বারী খন্দকার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি)মো. নজরুল ইসলাম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) জসিম উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন শেখ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) মো. গোলাম রাজিব।

আদেশের পরে আবেদনকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় আসাুম ছিলেন ২২ জন । এর মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার সময় ১০ জনকে বাদ দেওয়া হয়। এর পরে সাক্ষী গ্রহণের সময় মামলার বাদী, বোন এবং অন্যান্যরা সাক্ষী দিতে চাইলে দিতে পারেননি। এরপর রায়ে ১২ জনকে খালাস করে রায় দেন আদালত। আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলাম। আজ শুনানি নিয়ে আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতাদের পিটুনির শিকার হয়ে ২১ অক্টোবর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবিদুর রহমান আবিদ। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মধ্যম বড়ইতলী গ্রামের মৃত নুরুল কবির চৌধুরীর ছেলে আবিদ চমেকের ৫১তম ব্যাচের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আবিদের মৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেল কলেজ প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর অনির্দিষ্টকালের জন্য মেডিকেল কলেজ বন্ধ এবং ছাত্র সংসদ কার্যক্রম স্থগিত ও কলেজ ক্যাম্পাসে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।

চমেক শিক্ষার্থী আবিদ হত্যায় খালাস পাওয়া ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্ট নির্দেশ

০৫:৫১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রদল কর্মী সন্দেহে ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান আবিদ হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ১২ আসামিকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো.জাকির হোসেন ও সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেছেন। রুলে বিচারিক আদালতের দেওয়া খালাসের রায় কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির, অ্যাডভোকেট ওজি উল্লাহ্। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিমুদ্দিন পাটোয়ারি, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলফাজ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এরশাদুল বারী খন্দকার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি)মো. নজরুল ইসলাম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) জসিম উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন শেখ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) মো. গোলাম রাজিব।

আদেশের পরে আবেদনকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় আসাুম ছিলেন ২২ জন । এর মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার সময় ১০ জনকে বাদ দেওয়া হয়। এর পরে সাক্ষী গ্রহণের সময় মামলার বাদী, বোন এবং অন্যান্যরা সাক্ষী দিতে চাইলে দিতে পারেননি। এরপর রায়ে ১২ জনকে খালাস করে রায় দেন আদালত। আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলাম। আজ শুনানি নিয়ে আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতাদের পিটুনির শিকার হয়ে ২১ অক্টোবর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবিদুর রহমান আবিদ। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মধ্যম বড়ইতলী গ্রামের মৃত নুরুল কবির চৌধুরীর ছেলে আবিদ চমেকের ৫১তম ব্যাচের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আবিদের মৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেল কলেজ প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর অনির্দিষ্টকালের জন্য মেডিকেল কলেজ বন্ধ এবং ছাত্র সংসদ কার্যক্রম স্থগিত ও কলেজ ক্যাম্পাসে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।