আনাতোল আরো উপলব্ধি করেন যে ওঁর মতো মহাশ্চর্য শিশু-প্রতিভা তিন তিনটি ক্ষেত্রে- সঙ্গিত, গণিত ও দাবা-য়, অনায়াসে বিকশিত হতে পারে
আনাতোল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের সদস্য ও ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। এমনকি তিনি গণিতের অধ্যাপক বিজয়ারাঘবনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রফেসর বিজয়ারাঘবন ছিলেন মাদ্রাজী এবং ছিলেন “সংখ্যা তত্ত্ব (নাম্বার থিয়োরি)”-র বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত। আনাতোল স্বীকার করে বলেন যে যদিও তাঁর পিএইচডি ডিগ্রীর বিষয়বস্তু “সংখ্যাতত্ত্ব” ছিল বটে কিন্তু সংখ্যাতত্ত্বে আসলে তাঁর কোনো আগ্রহ ছিল না। প্রফেসর বিজয়ারাঘবন তাঁর পিএইচডি ডিগ্রীর থিসিসের জন্য গঠনমূলক পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ফুয়েল ট্রাকে এভিয়েশন-ফুয়েল ভর্তি করা হচ্ছে।
“পিওর ম্যাথেমেটিক্স” (বিশুদ্ধ গণিত)-এর প্রতি আনাতোলের আগ্রহ সৃষ্টিতে প্রফেসর বিজয়ারাঘবন নিমিত্তস্বরূপের কাজ করেছিলেন। আনাতোলের বর্ণনা অনুযায়ী বিশুদ্ধতম বিজ্ঞানের বিশুদ্ধ শাখা হিসেবে “গডফ্রে হার্ডি” (গণিতের) এই ক্ষেত্রটিকে মহিমার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন; বিশেষত এই কারণে যে বিশুদ্ধ গণিতে যে স্বাচ্ছন্দ্যতা ও পর্যাপ্ততা এবং সূক্ষ্মতা ও পরিশীলতা নিহিত রয়েছে-সেগুলো পার্থিব অভিজ্ঞতা অথবা অন্য যেকোনো জ্ঞান ও অবগতি থেকে পরিপূর্ণভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বাধীন। আনাতোল আরো উপলব্ধি করেন যে ওঁর মতো মহাশ্চর্য শিশু-প্রতিভা তিন তিনটি ক্ষেত্রে- সঙ্গিত, গণিত ও দাবা-য়, অনায়াসে বিকশিত হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ক্লাসের ছাত্ররা সপ্তাহে একদিন কখনোবা দুইদিন প্রফেসর বিজয়ারাঘবনের বাসায় জমায়েত হতেন, সেখানে গণিত সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হতো। আনাতোল এইসব মিটিং-য়ে যেতেন।
(চলবে)