ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
এই বিশ্বাস, উৎসর্গ, নরবলি প্রথা এসবের সঙ্গে অন্যান্য সভ্যতার মিল পাওয়া যায়। বিশেষ করে এশিয়া, আফ্রিকা এবং ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীনকালে এই নরবলি, উৎসর্গ করা এবং সেই সূত্রে জাদুবিদ্যার প্রথা ছিল। এই মিল, কিছুটা অমিল এবং বিশেষ করে প্রথার মিল অনুসন্ধান করে বলা যায় ভারতীয়দের একটা জনগোষ্ঠী বিশেষত দক্ষিণভারতীয়রা একটা সময়ে লাতিন আমেরিকার এই সব ছোট ছোট শহর-রাজধানীতে পেশা জীবিকার সন্ধানে গিয়েছিল।
পরবর্তীকালে মেক্সিকো, শুয়াতেমালা, বেলিজ-এ মায়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একায় হয়েছিল। আবার পেরু, কুজকো এবং ইকুয়েদের এই শহরগুলিতে ইনকাদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। জনগোষ্ঠীর এই অংশকেই বলা হয় ভারতীয় মায়া, ভারতীয় ইনকা এবং আজতেক। আজতেকদের লোকবিশ্বাসে প্রচলিত কয়েকটি লোকদেবতার নাম এবং তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্র উল্লেখ করা হল-
|
|
|
|
প্রাণী, অপ্রাণী বিষয়ক নানা অস্তিত্বর সঙ্গে দেবতার এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এ কথা আমরা উপরের তথ্য থেকে বুঝতে পারি। অর্থাৎ এক কথায় আজতেকদের মধ্যে অ্যানিজিজাম বা সর্বপ্রাণবাদের বিশ্বাস কাজ করে। লোকাচার, লোকপ্রথা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, তার সমস্যা এসবকে এক করে ভেবে নেবার প্রবণতাও যথেষ্ট লক্ষ্য করা যায়। আজতেকদের জীবনযাত্রা, সমাজ, মানবিক সম্পর্ক এসবের সঙ্গে আছে প্রাসঙ্গিক কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, জীবিকা যা তাদের সভ্যতাকে দিয়েছে ভিন্নতর মাত্রা।
(চলবে)