০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

করিডোরের সিদ্ধান্ত আসা উচিত সংসদ থেকে, অনির্বাচিতদের কাছ থেকে নয়

  • Sarakhon Report
  • ০৮:১৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • 33

সারাক্ষণ ডেস্ক

সমকালের একটি শিরোনাম “রোববার দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী রোববার বা সোমবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন। তাকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলে তিনি রোববার দেশে ফিরবেন। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে তিনি পরদিন সোমবার বাংলাদেশ বিমানে দেশে ফিরতে পারেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পেলে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ৪ মে (রোববার) দেশে ফিরতে পারেন। তবে এখনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত না পেলে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে তিনি দেশে ফিরবেন।’

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া না গেলে বাংলাদেশ সময় ৫ মে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশে ফিরতে পারেন বলে জানান আব্দুস সাত্তার। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূও দেশে ফিরতে পারেন।

প্রায় চার মাস আগে গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডন যান।
সেখানে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। পরে গত ২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় যান তিনি। এরপর থেকে সেখানেই তিনি ছিলেন। ছেলের বাসাতেই তার চিকিৎসা চলে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ”

এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে ফোনকল সংযোগ দিতে ভূমিকা রাখে ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স)। বাংলাদেশের সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্রাফিকের আদান-প্রদান ২০০৭ সাল থেকে আইসিএক্সের মাধ্যমে হয়ে আসছে।

আইসিএক্সের মূল কাজ হলো— ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েগুলোর (আইজিডব্লিউ) মাধ্যমে বিদেশ থেকে যেসব কল আসে, তা মোবাইল ও অন্যান্য টেলিফোন (এএনএস বা অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস) অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আইসিএক্সের মাধ্যমে কল সরকারের নজরদারিতে থাকে। এর ফলে গ্রে ট্রাফিক বা অবৈধ কলের মাধ্যমে করফাঁকি রোধ সম্ভব হয়। তারচেয়েও বড় বিষয় হলো—আইসিএক্সের ডিজিটাল নজরদারির মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়।

কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি ‘টেলিকম খাতে নেটওয়ার্ক ও ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স পুনর্বিন্যাসের’ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তাতে আইসিএক্স বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “করিডোরের সিদ্ধান্ত আসা উচিত সংসদ থেকে, অনির্বাচিতদের কাছ থেকে নয়”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনাই রাজনৈতিক দল কিংবা জনগণের সঙ্গে করেনি। তিনি বলেন, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদের কাছ থেকে আসা উচিত, কোনো বিদেশী শক্তি বা অনির্বাচিত গোষ্ঠীর কাছ থেকে নয়।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয় শ্রমিক দল আয়োজিত মে দিবসের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশে এখন সংস্কার নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর কোথায়? জনগণের কথা রাষ্ট্রের কাছে পৌঁছাতে হলে দরকার একটি নির্বাচিত সরকার, যার প্রতি জনগণের প্রত্যক্ষ জবাবদিহি থাকে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়টিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যে বিভাজন তৈরি করতে চায়। অথচ এই সংকটকালে জাতির জন্য দরকার উভয়ই- সংস্কার ও নির্বাচন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমর্থন দেয়া যৌক্তিক নয় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, যদি জনগণের ওপর একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেখান থেকে ফ্যাসিবাদ জন্ম নেবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর গোপন ক্ষমতালিপ্সা যেন স্বৈরাচারের পথে দেশকে ঠেলে না দেয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “এসডিএস’র ৮০০ শতাংশ জমি জাল দলিলে দখল নেয়ার অভিযোগ”

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারাবাড়ী এলাকার আলোচিত সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সংসদের (এসডিএস) জমিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাজনা নেয়ার নির্দেশনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযোগ রয়েছে, জমির মালিকানা দাবি করা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে অতি গোপনে খাজনা নেয়ার আদেশ জারি করেন। এছাড়াও মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক জাল দলিলের মাধ্যমে ৮০০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই জমির দলিল বাতিলসহ আদালতে দু’টি মামলা চলমান রয়েছে। এ দিকে ওই জমিতে খাজনা না নেয়ার জন্য গত ২৩শে এপ্রিল জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে এসডিএস গ্রুপের ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রোপ্রাইটর মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী। লিখিত আবেদন ও স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালে ইসলামিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. নুরুল ইসলামের নাম ও পদ ব্যবহার করে মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ১৯শে জুলাই লিখিত আবেদনের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবগত করেন, তার নাম, পদবি ও সিল জাল করে একটি প্রভাবশালী মহল এসডিএস’র জমিটি বিক্রি করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন এসডিএস’র গঠনতন্ত্রের বিধান মোতাবেক তার পক্ষে কোনো প্রকার সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর, চুক্তিপত্রাদি সম্পাদন করা তার পক্ষে সম্ভব না। এসডিএস’র ডেইরি ফার্মের বহিষ্কৃত সাবেক ম্যানেজার মো. মজিবর রহমান সম্পূর্ণ অবৈধ ও বৈআইনিভাবে জমি বিক্রি করেছেন। জমি বিক্রির বিষয়ে তিনি অবগত না হওয়ায় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ দিকে ২০২৪ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয় আইন-৩ এর সহকারী সচিব শাহানা আক্তার ওই জমির খাজনা নেয়ার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ দিকে গত ২৩শে এপ্রিল এসডিএস গ্রুপের ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রোপ্রাইটর মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী লিখিত আবেদনে জেলা প্রশাসককে অবগত করেন তার মালিকানাধীন কোম্পানির জমি জাল জালিয়াতি করে জনৈক ভূমিদস্যু শহরের দিঘুলিয়া এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক জাল দলিল করে ভূমি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালতে দু’টি দলিল বাতিলের মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলা দু’টি শুনানির অপেক্ষায় আছে। বিষয়টি স্থানীয় ভূমি অফিস ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ সকল কর্মকর্তা ও অফিস অবগত। তাই ভূমি অফিস মোজাম্মেল হকের খাজনা গ্রহণে অস্বীকার করেছে। মোজাম্মেল হক গত ১৭ই ডিসেম্বর তথ্য গোপন করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে মিথ্যা এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা-৩ হতে স্মারক নং ৩১.০০.০০০০.০৪৪.৩৯.০০১.২৪.৭৮ খাজনা নেয়ার চিঠি বের করে। ওই জমির মালিকানা যাচাই এর মামলা দুইটি নিষ্পত্তি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত চিঠির আদেশ বাস্তবায়ন না করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান সুমন বলেন, যে সময় এসডিএস’র জমিটি রেজিস্ট্র্রি করেছে ওই সময় ইসমাইল হোসেন সিরাজী কারাগারে ছিলেন। জমির মালিক যদি কারাগারে থাকেন, তাহলে জমি রেজিস্ট্র্রি হয় কীভাবে? এ জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এছাড়াও কিছুদিন আগে মোজাম্মেল হক যে প্রভাব খাটিয়ে মাটি বিক্রি করছে, সেটা নিয়েও এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে এই জমি মটর্গেজ দিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে লোন নেয়া আছে। সেই লোন পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত তো জমি বিক্রির প্রশ্নই আসে না। মোজাম্মেল হক বলেন, ক্রয়কৃত ৮০০ শতাংশ জমি আমার দখলে রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাজনা নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও আজও পর্যন্ত আমি খাজনা দিতে পারিনি। প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক ২০২৪ এর প্রহসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। মোজাম্মেল হক বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।

 

করিডোরের সিদ্ধান্ত আসা উচিত সংসদ থেকে, অনির্বাচিতদের কাছ থেকে নয়

০৮:১৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

সমকালের একটি শিরোনাম “রোববার দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী রোববার বা সোমবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন। তাকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলে তিনি রোববার দেশে ফিরবেন। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে তিনি পরদিন সোমবার বাংলাদেশ বিমানে দেশে ফিরতে পারেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পেলে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ৪ মে (রোববার) দেশে ফিরতে পারেন। তবে এখনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত না পেলে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে তিনি দেশে ফিরবেন।’

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া না গেলে বাংলাদেশ সময় ৫ মে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশে ফিরতে পারেন বলে জানান আব্দুস সাত্তার। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূও দেশে ফিরতে পারেন।

প্রায় চার মাস আগে গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডন যান।
সেখানে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। পরে গত ২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় যান তিনি। এরপর থেকে সেখানেই তিনি ছিলেন। ছেলের বাসাতেই তার চিকিৎসা চলে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ”

এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে ফোনকল সংযোগ দিতে ভূমিকা রাখে ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স)। বাংলাদেশের সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্রাফিকের আদান-প্রদান ২০০৭ সাল থেকে আইসিএক্সের মাধ্যমে হয়ে আসছে।

আইসিএক্সের মূল কাজ হলো— ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েগুলোর (আইজিডব্লিউ) মাধ্যমে বিদেশ থেকে যেসব কল আসে, তা মোবাইল ও অন্যান্য টেলিফোন (এএনএস বা অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস) অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আইসিএক্সের মাধ্যমে কল সরকারের নজরদারিতে থাকে। এর ফলে গ্রে ট্রাফিক বা অবৈধ কলের মাধ্যমে করফাঁকি রোধ সম্ভব হয়। তারচেয়েও বড় বিষয় হলো—আইসিএক্সের ডিজিটাল নজরদারির মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়।

কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি ‘টেলিকম খাতে নেটওয়ার্ক ও ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স পুনর্বিন্যাসের’ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তাতে আইসিএক্স বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “করিডোরের সিদ্ধান্ত আসা উচিত সংসদ থেকে, অনির্বাচিতদের কাছ থেকে নয়”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনাই রাজনৈতিক দল কিংবা জনগণের সঙ্গে করেনি। তিনি বলেন, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদের কাছ থেকে আসা উচিত, কোনো বিদেশী শক্তি বা অনির্বাচিত গোষ্ঠীর কাছ থেকে নয়।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয় শ্রমিক দল আয়োজিত মে দিবসের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশে এখন সংস্কার নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর কোথায়? জনগণের কথা রাষ্ট্রের কাছে পৌঁছাতে হলে দরকার একটি নির্বাচিত সরকার, যার প্রতি জনগণের প্রত্যক্ষ জবাবদিহি থাকে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়টিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যে বিভাজন তৈরি করতে চায়। অথচ এই সংকটকালে জাতির জন্য দরকার উভয়ই- সংস্কার ও নির্বাচন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমর্থন দেয়া যৌক্তিক নয় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, যদি জনগণের ওপর একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেখান থেকে ফ্যাসিবাদ জন্ম নেবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর গোপন ক্ষমতালিপ্সা যেন স্বৈরাচারের পথে দেশকে ঠেলে না দেয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “এসডিএস’র ৮০০ শতাংশ জমি জাল দলিলে দখল নেয়ার অভিযোগ”

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারাবাড়ী এলাকার আলোচিত সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সংসদের (এসডিএস) জমিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাজনা নেয়ার নির্দেশনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযোগ রয়েছে, জমির মালিকানা দাবি করা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে অতি গোপনে খাজনা নেয়ার আদেশ জারি করেন। এছাড়াও মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক জাল দলিলের মাধ্যমে ৮০০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই জমির দলিল বাতিলসহ আদালতে দু’টি মামলা চলমান রয়েছে। এ দিকে ওই জমিতে খাজনা না নেয়ার জন্য গত ২৩শে এপ্রিল জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে এসডিএস গ্রুপের ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রোপ্রাইটর মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী। লিখিত আবেদন ও স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালে ইসলামিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. নুরুল ইসলামের নাম ও পদ ব্যবহার করে মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ১৯শে জুলাই লিখিত আবেদনের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবগত করেন, তার নাম, পদবি ও সিল জাল করে একটি প্রভাবশালী মহল এসডিএস’র জমিটি বিক্রি করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন এসডিএস’র গঠনতন্ত্রের বিধান মোতাবেক তার পক্ষে কোনো প্রকার সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর, চুক্তিপত্রাদি সম্পাদন করা তার পক্ষে সম্ভব না। এসডিএস’র ডেইরি ফার্মের বহিষ্কৃত সাবেক ম্যানেজার মো. মজিবর রহমান সম্পূর্ণ অবৈধ ও বৈআইনিভাবে জমি বিক্রি করেছেন। জমি বিক্রির বিষয়ে তিনি অবগত না হওয়ায় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ দিকে ২০২৪ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয় আইন-৩ এর সহকারী সচিব শাহানা আক্তার ওই জমির খাজনা নেয়ার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ দিকে গত ২৩শে এপ্রিল এসডিএস গ্রুপের ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রোপ্রাইটর মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী লিখিত আবেদনে জেলা প্রশাসককে অবগত করেন তার মালিকানাধীন কোম্পানির জমি জাল জালিয়াতি করে জনৈক ভূমিদস্যু শহরের দিঘুলিয়া এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক জাল দলিল করে ভূমি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালতে দু’টি দলিল বাতিলের মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলা দু’টি শুনানির অপেক্ষায় আছে। বিষয়টি স্থানীয় ভূমি অফিস ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ সকল কর্মকর্তা ও অফিস অবগত। তাই ভূমি অফিস মোজাম্মেল হকের খাজনা গ্রহণে অস্বীকার করেছে। মোজাম্মেল হক গত ১৭ই ডিসেম্বর তথ্য গোপন করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে মিথ্যা এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা-৩ হতে স্মারক নং ৩১.০০.০০০০.০৪৪.৩৯.০০১.২৪.৭৮ খাজনা নেয়ার চিঠি বের করে। ওই জমির মালিকানা যাচাই এর মামলা দুইটি নিষ্পত্তি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত চিঠির আদেশ বাস্তবায়ন না করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান সুমন বলেন, যে সময় এসডিএস’র জমিটি রেজিস্ট্র্রি করেছে ওই সময় ইসমাইল হোসেন সিরাজী কারাগারে ছিলেন। জমির মালিক যদি কারাগারে থাকেন, তাহলে জমি রেজিস্ট্র্রি হয় কীভাবে? এ জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এছাড়াও কিছুদিন আগে মোজাম্মেল হক যে প্রভাব খাটিয়ে মাটি বিক্রি করছে, সেটা নিয়েও এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে এই জমি মটর্গেজ দিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে লোন নেয়া আছে। সেই লোন পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত তো জমি বিক্রির প্রশ্নই আসে না। মোজাম্মেল হক বলেন, ক্রয়কৃত ৮০০ শতাংশ জমি আমার দখলে রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাজনা নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও আজও পর্যন্ত আমি খাজনা দিতে পারিনি। প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক ২০২৪ এর প্রহসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। মোজাম্মেল হক বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।