০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৩৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • 149

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এবার দেখা যাক আর্যভটীয় গ্রন্থটি কোন আর্যভটের রচনা। আর্যভটীয়ের রচনা-কার নিশ্চয়ই ব্রহ্মগুপ্তের পূর্ববর্তী ছিলেন। কারণ ব্রহ্মগুপ্ত এ’র উদ্ধৃতি ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে দিয়েছেন। আবার আলবিরূণী বলেছেন ব্রহ্মগুপ্ত প্রথম আর্যভটের থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন।

তাহলে কুসুমপুরের আর্যভট কে? আলবিরূণীর আগেই দুজন আর্যভট ছিলেন। একজন ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন অপরজন ১৫০ খ্রীষ্টাব্দে জীবিত ছিলেন। কিন্তু ১৫০ গ্রীষ্টাব্দের আর্যভটের সঙ্গে আলবিরূণীর পরিচয় ছিল না। কোন উদ্ধৃতিও তাঁর সঙ্গে মেলে না। বরং একটি উদ্ধৃতি এই আর্যভটের মতের বিরোধী।

আবার আলবিরূণীর প্রমাণেই বলা যায় কুসুমপুরের আর্যভট দশম শতাব্দীর মত এত পরবর্তীকালের পণ্ডিত নন। তাহলে কি কুহুমপুরের আর্যভট কোন নূতন পণ্ডিত? এ অনুমান নিরাপদ নয়। কারণ দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের পূর্বে কোন ভারতীয় গণিতবিদই দুজন আর্যভটের অস্তিত্বের কথা বলেন নাই।

ডঃ দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেছেন কুসুমপুরের আর্যভট একটি আকাশকুহুম চিন্তা মাত্র। একজনকেই দুজন বলে ভুল করা হয়েছে। অবশ্য এমত শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিতেরও।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৩)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৩)

জনপ্রিয় সংবাদ

সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৪)

০৩:৩৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এবার দেখা যাক আর্যভটীয় গ্রন্থটি কোন আর্যভটের রচনা। আর্যভটীয়ের রচনা-কার নিশ্চয়ই ব্রহ্মগুপ্তের পূর্ববর্তী ছিলেন। কারণ ব্রহ্মগুপ্ত এ’র উদ্ধৃতি ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে দিয়েছেন। আবার আলবিরূণী বলেছেন ব্রহ্মগুপ্ত প্রথম আর্যভটের থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন।

তাহলে কুসুমপুরের আর্যভট কে? আলবিরূণীর আগেই দুজন আর্যভট ছিলেন। একজন ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন অপরজন ১৫০ খ্রীষ্টাব্দে জীবিত ছিলেন। কিন্তু ১৫০ গ্রীষ্টাব্দের আর্যভটের সঙ্গে আলবিরূণীর পরিচয় ছিল না। কোন উদ্ধৃতিও তাঁর সঙ্গে মেলে না। বরং একটি উদ্ধৃতি এই আর্যভটের মতের বিরোধী।

আবার আলবিরূণীর প্রমাণেই বলা যায় কুসুমপুরের আর্যভট দশম শতাব্দীর মত এত পরবর্তীকালের পণ্ডিত নন। তাহলে কি কুহুমপুরের আর্যভট কোন নূতন পণ্ডিত? এ অনুমান নিরাপদ নয়। কারণ দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের পূর্বে কোন ভারতীয় গণিতবিদই দুজন আর্যভটের অস্তিত্বের কথা বলেন নাই।

ডঃ দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেছেন কুসুমপুরের আর্যভট একটি আকাশকুহুম চিন্তা মাত্র। একজনকেই দুজন বলে ভুল করা হয়েছে। অবশ্য এমত শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিতেরও।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৩)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৩)