প্রদীপ কুমার মজুমদার
এবার দেখা যাক আর্যভটীয় গ্রন্থটি কোন আর্যভটের রচনা। আর্যভটীয়ের রচনা-কার নিশ্চয়ই ব্রহ্মগুপ্তের পূর্ববর্তী ছিলেন। কারণ ব্রহ্মগুপ্ত এ’র উদ্ধৃতি ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে দিয়েছেন। আবার আলবিরূণী বলেছেন ব্রহ্মগুপ্ত প্রথম আর্যভটের থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
তাহলে কুসুমপুরের আর্যভট কে? আলবিরূণীর আগেই দুজন আর্যভট ছিলেন। একজন ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন অপরজন ১৫০ খ্রীষ্টাব্দে জীবিত ছিলেন। কিন্তু ১৫০ গ্রীষ্টাব্দের আর্যভটের সঙ্গে আলবিরূণীর পরিচয় ছিল না। কোন উদ্ধৃতিও তাঁর সঙ্গে মেলে না। বরং একটি উদ্ধৃতি এই আর্যভটের মতের বিরোধী।
আবার আলবিরূণীর প্রমাণেই বলা যায় কুসুমপুরের আর্যভট দশম শতাব্দীর মত এত পরবর্তীকালের পণ্ডিত নন। তাহলে কি কুহুমপুরের আর্যভট কোন নূতন পণ্ডিত? এ অনুমান নিরাপদ নয়। কারণ দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের পূর্বে কোন ভারতীয় গণিতবিদই দুজন আর্যভটের অস্তিত্বের কথা বলেন নাই।
ডঃ দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেছেন কুসুমপুরের আর্যভট একটি আকাশকুহুম চিন্তা মাত্র। একজনকেই দুজন বলে ভুল করা হয়েছে। অবশ্য এমত শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিতেরও।
(চলবে)