১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

আইএমএফের অতিরিক্ত শর্ত দিলে ঋণ থেকে সরে আসবে বাংলাদেশ

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • 51

সারাক্ষণ রিপোর্ট

আইএমএফের অতিরিক্ত শর্তে সরে আসার হুঁশিয়ারি

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত বাজেট সেমিনারে বলেন, “আইএমএফ যদি ঋণের কিস্তি ছাড়ের জন্য অতিরিক্ত শর্ত দেয়তাহলে বাংলাদেশ সেখান থেকে সরে আসবে। কারণতাদের সব শর্ত মানতে গেলে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে।

কৃষি খাতে বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান

সেমিনারে কৃষি অর্থনীতিবিদরা কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তারা পোলট্রির খাদ্য প্রস্তুতের কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট কমানো এবং কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করেন।

আইএমএফ ঋণচুক্তি ও বর্তমান অবস্থা

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি করে। প্রথম কিস্তি ৪৭৬.২৭ মিলিয়ন ডলারদ্বিতীয় কিস্তি ৬৮২ মিলিয়ন ডলার এবং তৃতীয় কিস্তি ১.১৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ পেয়েছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

এপ্রিল মাসে আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে আলোচনার পর কোনো চুক্তি ছাড়াই ফিরে যায়। আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, “ভালো অগ্রগতি হয়েছেতবে চুক্তি কবে হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

আইএমএফের শর্তাবলি

আইএমএফ রাজস্ব আদায় বাড়ানোবিনিময় হার নমনীয় করাব্যাংকিং খাতে সংস্কার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছে।

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিকম জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতির মুখোমুখি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মুদ্রাস্ফীতি মার্চ ২০২৫-এ ৯.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

পূর্ববর্তী বড় ঘটনা

২০২৪ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকার অর্থনৈতিক সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

উপসংহার

বাংলাদেশের আইএমএফ ঋণচুক্তি বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে। অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করা হলে বাংলাদেশ ঋণ কর্মসূচি থেকে সরে আসতে পারে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরকারকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আইএমএফের অতিরিক্ত শর্ত দিলে ঋণ থেকে সরে আসবে বাংলাদেশ

০৭:০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

আইএমএফের অতিরিক্ত শর্তে সরে আসার হুঁশিয়ারি

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত বাজেট সেমিনারে বলেন, “আইএমএফ যদি ঋণের কিস্তি ছাড়ের জন্য অতিরিক্ত শর্ত দেয়তাহলে বাংলাদেশ সেখান থেকে সরে আসবে। কারণতাদের সব শর্ত মানতে গেলে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে।

কৃষি খাতে বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান

সেমিনারে কৃষি অর্থনীতিবিদরা কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তারা পোলট্রির খাদ্য প্রস্তুতের কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট কমানো এবং কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করেন।

আইএমএফ ঋণচুক্তি ও বর্তমান অবস্থা

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি করে। প্রথম কিস্তি ৪৭৬.২৭ মিলিয়ন ডলারদ্বিতীয় কিস্তি ৬৮২ মিলিয়ন ডলার এবং তৃতীয় কিস্তি ১.১৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ পেয়েছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

এপ্রিল মাসে আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে আলোচনার পর কোনো চুক্তি ছাড়াই ফিরে যায়। আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, “ভালো অগ্রগতি হয়েছেতবে চুক্তি কবে হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

আইএমএফের শর্তাবলি

আইএমএফ রাজস্ব আদায় বাড়ানোবিনিময় হার নমনীয় করাব্যাংকিং খাতে সংস্কার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছে।

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিকম জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতির মুখোমুখি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মুদ্রাস্ফীতি মার্চ ২০২৫-এ ৯.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

পূর্ববর্তী বড় ঘটনা

২০২৪ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকার অর্থনৈতিক সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

উপসংহার

বাংলাদেশের আইএমএফ ঋণচুক্তি বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে। অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করা হলে বাংলাদেশ ঋণ কর্মসূচি থেকে সরে আসতে পারে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরকারকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।