প্রদীপ কুমার মজুমদার
গুণ করার পদ্ধতি নানা প্রকার ছিল। ব্রহ্মগুপ্ত চার প্রকার গুণনের উল্লেখ করেছেন। সেগুলি হচ্ছে-(১) গোমূত্রিক, (২), খণ্ড (৩) বেদ, (৪) ইষ্ঠ। শ্রীধরাচার্য চার প্রকার গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলি হচ্ছে- (১) কপাট সন্ধি, (২) তন্ত্র, (৩) রূপ বিভাগ, (৪) স্থান বিভাগ। মহাবীর ধরতে গেলে শ্রীধরাচার্যকে অনুসরণ করেছেন।
প্রগতি ও দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য পাঁচ প্রকার গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। দ্বিতীয় আর্যভট ‘কপাট সন্ধি’ পদ্ধতিটি উল্লেখ করেছেন।
ব্রহ্মগুপ্ত গোমূত্রিক পদ্ধতিতে বলেছেন:
গুণকারখগুতুল্যো গুণ্যৌ গোমূত্রিকারুতো গুণিতঃ।
সহিতঃ প্রত্যুত, পত্রো গুণকারভেদতুল্যো বাঃ ৫৫
অর্থাৎ গুণকের খণ্ড করিয়া তৎখণ্ড সংখ্যক স্থলে গুণ্যকে রাখিয়া গোমুত্রিকারে গুণ করিয়া যোগ করিলে ফল উৎপন্ন হইবে দ। ইহা গুণকখণ্ডের ভেদ অনুসারে হইবে।।
গোমূত্রিক বলতে গরুর মূত্রের মত ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্তাকারে যে পদ্ধতিতে গুণ। করা হয় তাকে গোমুত্রিক পদ্ধতি বলা হয়।
(চলবে)