সত্যেন্দ্রকুমার বসু
হিউএনচাঙের মুখে কিন্তু কোনো রকম ভাবান্তর দেখা গেল না। দস্যুরা তাই দেখে আশ্চর্য হল আর তাদের মনও হয়তো একটু নরম হল। পরিত্রাণের কোনো আশা না দেখে হিউএনচাঙ তাদের অনুরোধ করলেন যে তাঁকে টানাছেঁড়া না করে অল্প কিছু সময় যেন দেওয়া হয়।
বললেন, ‘শান্ত আনন্দিত মনে আমাকে যেতে দাও।’তার পর ধর্মগুরু প্রেমপূর্ণ হৃদয়ে বোধিসত্ত্ব মৈত্রেয়ের ধ্যান করলেন, সর্বান্তঃকরণে প্রার্থনা করলেন যে, পুনর্জন্মে যেন তিনি সেই পুণ্যাত্মাদের দেবলোকে জন্মগ্রহণ করে ঐ বোধিসত্ত্বকে আরাধনা করতে, ধর্মোপদেশনা শুনতে আর বোধিলাভ করতে পারেন।
আর তার পর আবার পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে এই লোকগুলিকে ধর্মশিক্ষা দিতে পারেন, যাতে তারা এই হীন বৃত্তি ত্যাগ করে পুণ্য কাজই করে। তার পর যেন সমস্ত জীবের সুখ শান্তির জন্যে ধর্মপ্রচার করতে পারেন। অবশেষে, তিনি দশমহাদেশের বুদ্ধদের আরাধনা করে মৈত্রেয়ের ধ্যানে বসলেন আর অন্য কোনো চিন্তা মনে উদয় হতে দিলেন না।
(চলবে)