ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
আজতেকরা কোনো স্থান বা শহর বা অঞ্চলের নামও এইভাবে ধ্বনির সাহায্যে বোঝাতে চেষ্টা করে। উদাহরণ হিসেবে রাজধানী শহর তেনোচতিতলান এর কথা উল্লেখ করা যায়। তেনোচতিতলানকে বোঝাবার জন্য একটা পাথর থেকে বেরিয়েছে একটা কর্কশ ক্যাকটাস।
আসলে আরও স্পষ্টভাবে বলা যায় যে এই চিহ্নগুলি খুব সাজিয়ে পরপর রাখা হয়। অনেকটা লেখায় যেমন অক্ষরগুলি পরপর সাজানোর মত। আজতেক পাণ্ডুলিপি বা লেখা সাধারণভাবে বই যেমন পড়া হয় ঠিক তেমনিভাবে হয় না।
ছবি বা খোদাই চিত্রকে এদিক ওদিক করে একটা ছন্দ তৈরি করা হয়। আর একথাও আমাদের মনে রাখা দরকার যে আজতেকরা কোনোভাবে ধারাবাহিক বা পারম্পর্য (Sequence) এবং যুক্তিসম্মত দূরত্বর ধারণা গড়ে তুলতে পারেনি।
এই ত্রুটি বা ফাঁক তারা মিটিয়ে দিত এই ছবির অবস্থান দিয়ে। কোনো ছবি পৃষ্ঠার সবচেয়ে উপরে বা কোনো ছবি হয়ত নীচের দিকে। আবার রাজার ক্ষেত্রে গুরুত্ব বোঝানো হয় ছবির বড় আকার দিয়ে। আর পরাজিত রাজা, সৈনিকদের ছবি ছোট দেখিয়ে কম গুরুত্ব বোঝানো হয়।
মূল কথা হল আজতেক লিখন বা দেওয়াল চিত্রণ দিয়ে যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য পরিবেশন করা হয়।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















