সারাক্ষণ ডেস্ক
সমকালের একটি শিরোনাম “মধ্যরাতে বিলুপ্ত হলো এনবিআর”
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর নামে কোনো সংস্থা দেশে আর নেই। কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে এই কাজটি করা হয়েছে; মধ্য রাতে বিলুপ্ত করা হয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে এনবিআর ভেঙে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিসিএস আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতামত উপেক্ষা করেই বহুল আলোচিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার রাতে জারি করা অধ্যাদেশে শুধু রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলো প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “পুঁজিবাজারে কতটা আস্থা ফেরাতে পারল ড. ইউনূসের বৈঠক”
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে প্রায় টানা পতনের ধারায় রয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। দরপতনের কারণে হাজার হাজার টাকা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিলেও বাজারে আস্থা ফেরেনি। অবশেষে নয় মাস পর হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত রোববার তিনি পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানে বাজারে আস্থা ফেরানোর উপর জোর দেন; বাজার চাঙা করতে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন তিনি।
তাঁর এই সভা ও নির্দেশনা পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা ফেরার কথা। তার একটা ইতিবাচক প্রভাব গতকাল সোমবার শেয়ারবাজারে পড়বে বলে ধারণা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু আশানুরূপ ফল দেখা যায়নি। পুঁজিবাজারের পরিসংখ্যানই বলে দেয়, এই বৈঠক ও নির্দেশনা বিনিয়োগকারীরা ততটা আস্থায় নিতে পারেনি।
গতকাল বাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল না। দেশের দুটি স্টক এক্সচেঞ্জেই নামমাত্র সূচক বাড়লেও লেনদেন ছিল তলানিতে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৯ পয়েন্ট সূচক বাড়লেও লেনদেন তিনশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে চারশ কোটির ঘরও ছুঁতে পারেনি। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকও একই সমান বেড়েছে। তবে লেনদেন হয়েছে কেবল ৭ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিয়ে ব্যাপক প্রত্যাশা থাকলেও দিন শেষে হতাশ হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। যে ৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটি গত এক দশক ধরে শুনে আসছেন সবাই। তবে কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। কেবল ‘বিদেশি বিশেষজ্ঞ এনে পুঁজিবাজার সংস্কারের’ বিষয়টি নতুন হলেও তা ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ বলে মনে করেন অংশীজনেরা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনে করি, বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ আনার দরকার নেই। বাকি যেগুলো উনি বলেছেন, সেগুলো আমি বিভিন্ন সময় বলে এসেছে। সরকারি-বেসরকারি, দেশি-বিদেশি ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির মধ্যে করপোরেট করহারের ব্যবধান বাড়ানো যেতে পারে। বাইরে থেকে এক্সপার্ট এনে কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না”
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংক্রান্ত গত ১২ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে না। মঙ্গলবার (১৩ মে) এক বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংক্রান্ত ১২ মে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয় বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আওতায় এই প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। উক্ত আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ (এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন) কর্তৃক যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী ও সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
তবে উক্ত প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে না। আওয়ামী লীগ, এর কোনো কর্মকাণ্ড, দলটি সম্পর্কে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের যৌক্তিক, গঠনমূলক বা আইনানুগ বিশ্লেষণ বা মতামত প্রদান এই প্রজ্ঞাপন দ্বারা খর্বিত করা হয়নি।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি শুরু”
রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতীকসহ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। আপিলটি কার্যতালিকার দুই নম্বরে ছিল।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগে এ শুনানি হচ্ছে।
শুনানি করছেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক।