১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার পরামর্শ দেবে জাপান

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • 77

সারাক্ষণ ডেস্ক

সমকালের একটি শিরোনাম “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার পরামর্শ দেবে জাপান”

নানা নাটকীয়তা শেষে পূর্বনির্ধারিত সময়ে হচ্ছে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার টোকিওতে এ বৈঠক হবে।
চলতি মাসের শেষদিকে জাপান সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর এ সফরের আগে ১৫ মে দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) ঠিক হয়। তবে গত সোমবার এক চিঠিতে এ বৈঠক স্থগিত করার কথা জানায় ঢাকা। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই গতকাল মঙ্গলবার আরেক চিঠিতে নির্ধারিত তারিখে বৈঠকটি অনুষ্ঠানের কথা জাপানকে জানায় বাংলাদেশ।

এ বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি। গতকাল দুপুরে তিনি আবারও জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাইদা শিনইচি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এফওসি নির্ধারিত সময়ে হতে যাচ্ছে। জাপানের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন। বৈঠকে অর্থনীতি, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে।’ তবে এফওসিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি সম্পর্কে জানা নেই বলে সাংবাদিকদের বলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।

অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এফওসিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে থাকার কথা থাকলেও জসীম উদ্দিন শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছেন। তাঁর জায়গায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. নজরুল ইসলাম।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “সহজ করার কর্মসূচিতে তথ্যের ঘাটতি, সেবাগ্রহীতার ভোগান্তি”

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে নাগরিকের ভোগান্তি কমাতে আবেদন নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ কার্যক্রম (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই প্রক্রিয়ায় জটিল সংশোধনীর আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়া হলেও প্রচারের অভাবে তা জানতে পারছেন না সেবাগ্রহীতারা। সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেকেই এখনো ঢাকাসহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড় করছেন। সেখানে কাজ না হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরছেন জেলায়। এতে কমছে না ভোগান্তি।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন রাজধানীর মিরপুরের এক বাসিন্দা। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা। এই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদনটি ‘গ’ ক্যাটাগরির। আগে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এই ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করতেন। এখন কাজটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই তথ্য তিনি জানতেন না। বলেন, ‘এটি আমি জানতাম না। যদি আগে জানতাম, তাহলে এত কষ্ট করে এখানে আসতে হতো না।’

গত বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, হাসিবুল ইসলাম নামের একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ‘গ’ ক্যাটাগরি অর্থাৎ আগে যেই কাজটি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেখতেন সেই ডেস্কে বসে আছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন তিনি।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ব্যাংক খাতে মাসে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের”

চলতি অর্থবছরে দেশের ব্যাংকগুলোকে প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে গড়ে ৮৫ হাজার ৯০ কোটি টাকা ধার দেয়া হয়েছে রেপোর মাধ্যমে। রেপোর চেয়েও স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট বা বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় বেশি অর্থ ধার দিতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রতি মাসে বিশেষ এ ধারে ব্যাংকগুলোকে দেয়া হয়েছে ৯৬ হাজার ১৪ কোটি টাকা। দেশের মুদ্রাবাজারের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা ‘মানি মার্কেট ডাইনামিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন রেপোর চেয়েও স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট হিসেবে বেশি অর্থ ধার করছে। বর্তমানে রেপোর সুদহার ১০ শতাংশ। আর স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্টের সুদহার ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারিত রয়েছে। দৈনন্দিন লেনদেন শেষে কোনো ব্যাংক সিআরআর (আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ জমা সংরক্ষণ) ঘাটতিতে পড়লে তবেই স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট নেয়।

তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো অর্থের জোগানের জন্য প্রথমে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে (কলমানি) যায়। সেখানে পর্যাপ্ত অর্থ না মিললে রেপোর মাধ্যমে মুদ্রাবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে ধার দেয়া ব্যাংকের কাছে সরকারি সিকিউরিটিজ বন্ধক রাখতে হয়। কলমানি কিংবা রেপোর মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারলে তবেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। এক্ষেত্রে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোতে ধার নেয়া হয়। দৈনন্দিন লেনদেন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষিত সিআরআর ঘাটতি দেখা দিলে স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট হিসেবে ব্যাংকগুলো অর্থ ধার করে। উভয় ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ড তথা সিকিউরিটি বন্ধক রাখতে হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত তিন বছর দেশের ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট চলছে। আর কিছু ব্যাংকের সংকট গভীর হওয়ায় তারা পুরোপুরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারনির্ভর হয়ে পড়েছে। ভালো ব্যাংক হিসেবে পরিচিত কয়েকটি ব্যাংকও রেপো এবং স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট নিচ্ছে। অপেক্ষাকৃত কম সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেয়া অর্থে ওই ব্যাংকগুলো সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ড কিনছে। এভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থে সরকারকে ঋণ দিয়ে ওই ব্যাংকগুলো বড় অংকের মুনাফা করছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যা বলল”

বাংলাদেশে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এখানে একক কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। একই সঙ্গে সবার ক্ষেত্রে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। পাশাপাশি সবার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র থমাস টমি পিগোট।

একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম আওয়ামী লীগ। কার্যত তাদেরকে মুছে দেয়া হচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় মুছে দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যৎ নির্বাচন থেকে তাদেরকে বাইরে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থায় বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটির সব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিভঙ্গি কি? আমি আপনাকে বলেছি, এর আগে ট্যামি (ব্রুস) বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ওপর জোর দিয়েছিলেন। বিশেষ করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ক্ষেত্রে। এখন তারা (বাংলাদেশ) এই দলটিকে তাদের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে আপনার কি কোনো উদ্বেগ আছে?

জবাবে টমি পিগোট বলেন, আমি আপনাকে বলতে পারি যে, স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে এই দলটির এবং এর নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে আমরা অবহিত। আমরা বাংলাদেশে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য একটির চেয়ে বেশি সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমর্থন করি। সবার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া সমর্থন করি। বাংলাদেশ সহ সব দেশের প্রতি আমরা অনুরোধ করি সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণভাবে সভা সমাবেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য।

অন্য এক প্রশ্নে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, রিপোর্ট আছে যে, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে লস্করে তৈয়বার সদস্য হারুন ইজহারের সাক্ষাৎ হয়েছে, কাশ্মীর সহিংসতায় রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতাদের ক্রমবর্ধমান সমর্থন রয়েছে। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকাকে উগ্র মতাদর্শের প্রসার ও সন্ত্রাসবাদকে মজবুত করার ক্ষেত্রকে কিভাবে দেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?

এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি টমি পিগোট। তিনি বলেছেন, কিছুটা পিছনে গিয়ে আমি আপনাকে আবার বলবো যে এর আগে এই পোডিয়াম থেকে যা বলা হয়েছিল, আমিও তাই বলবো। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের কমপক্ষে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বকে আমরা মূল্যায়ন করি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার পরামর্শ দেবে জাপান

০৯:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

সমকালের একটি শিরোনাম “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার পরামর্শ দেবে জাপান”

নানা নাটকীয়তা শেষে পূর্বনির্ধারিত সময়ে হচ্ছে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার টোকিওতে এ বৈঠক হবে।
চলতি মাসের শেষদিকে জাপান সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর এ সফরের আগে ১৫ মে দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) ঠিক হয়। তবে গত সোমবার এক চিঠিতে এ বৈঠক স্থগিত করার কথা জানায় ঢাকা। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই গতকাল মঙ্গলবার আরেক চিঠিতে নির্ধারিত তারিখে বৈঠকটি অনুষ্ঠানের কথা জাপানকে জানায় বাংলাদেশ।

এ বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি। গতকাল দুপুরে তিনি আবারও জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাইদা শিনইচি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এফওসি নির্ধারিত সময়ে হতে যাচ্ছে। জাপানের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন। বৈঠকে অর্থনীতি, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে।’ তবে এফওসিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি সম্পর্কে জানা নেই বলে সাংবাদিকদের বলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।

অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এফওসিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে থাকার কথা থাকলেও জসীম উদ্দিন শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছেন। তাঁর জায়গায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. নজরুল ইসলাম।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “সহজ করার কর্মসূচিতে তথ্যের ঘাটতি, সেবাগ্রহীতার ভোগান্তি”

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে নাগরিকের ভোগান্তি কমাতে আবেদন নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ কার্যক্রম (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই প্রক্রিয়ায় জটিল সংশোধনীর আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়া হলেও প্রচারের অভাবে তা জানতে পারছেন না সেবাগ্রহীতারা। সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেকেই এখনো ঢাকাসহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড় করছেন। সেখানে কাজ না হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরছেন জেলায়। এতে কমছে না ভোগান্তি।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন রাজধানীর মিরপুরের এক বাসিন্দা। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা। এই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদনটি ‘গ’ ক্যাটাগরির। আগে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এই ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করতেন। এখন কাজটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই তথ্য তিনি জানতেন না। বলেন, ‘এটি আমি জানতাম না। যদি আগে জানতাম, তাহলে এত কষ্ট করে এখানে আসতে হতো না।’

গত বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, হাসিবুল ইসলাম নামের একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ‘গ’ ক্যাটাগরি অর্থাৎ আগে যেই কাজটি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেখতেন সেই ডেস্কে বসে আছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন তিনি।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ব্যাংক খাতে মাসে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের”

চলতি অর্থবছরে দেশের ব্যাংকগুলোকে প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে গড়ে ৮৫ হাজার ৯০ কোটি টাকা ধার দেয়া হয়েছে রেপোর মাধ্যমে। রেপোর চেয়েও স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট বা বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় বেশি অর্থ ধার দিতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রতি মাসে বিশেষ এ ধারে ব্যাংকগুলোকে দেয়া হয়েছে ৯৬ হাজার ১৪ কোটি টাকা। দেশের মুদ্রাবাজারের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা ‘মানি মার্কেট ডাইনামিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন রেপোর চেয়েও স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট হিসেবে বেশি অর্থ ধার করছে। বর্তমানে রেপোর সুদহার ১০ শতাংশ। আর স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্টের সুদহার ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারিত রয়েছে। দৈনন্দিন লেনদেন শেষে কোনো ব্যাংক সিআরআর (আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ জমা সংরক্ষণ) ঘাটতিতে পড়লে তবেই স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট নেয়।

তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো অর্থের জোগানের জন্য প্রথমে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে (কলমানি) যায়। সেখানে পর্যাপ্ত অর্থ না মিললে রেপোর মাধ্যমে মুদ্রাবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে ধার দেয়া ব্যাংকের কাছে সরকারি সিকিউরিটিজ বন্ধক রাখতে হয়। কলমানি কিংবা রেপোর মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারলে তবেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। এক্ষেত্রে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোতে ধার নেয়া হয়। দৈনন্দিন লেনদেন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষিত সিআরআর ঘাটতি দেখা দিলে স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট হিসেবে ব্যাংকগুলো অর্থ ধার করে। উভয় ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ড তথা সিকিউরিটি বন্ধক রাখতে হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত তিন বছর দেশের ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট চলছে। আর কিছু ব্যাংকের সংকট গভীর হওয়ায় তারা পুরোপুরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারনির্ভর হয়ে পড়েছে। ভালো ব্যাংক হিসেবে পরিচিত কয়েকটি ব্যাংকও রেপো এবং স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট নিচ্ছে। অপেক্ষাকৃত কম সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেয়া অর্থে ওই ব্যাংকগুলো সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ড কিনছে। এভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থে সরকারকে ঋণ দিয়ে ওই ব্যাংকগুলো বড় অংকের মুনাফা করছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যা বলল”

বাংলাদেশে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এখানে একক কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। একই সঙ্গে সবার ক্ষেত্রে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। পাশাপাশি সবার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র থমাস টমি পিগোট।

একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম আওয়ামী লীগ। কার্যত তাদেরকে মুছে দেয়া হচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় মুছে দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যৎ নির্বাচন থেকে তাদেরকে বাইরে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থায় বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটির সব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিভঙ্গি কি? আমি আপনাকে বলেছি, এর আগে ট্যামি (ব্রুস) বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ওপর জোর দিয়েছিলেন। বিশেষ করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ক্ষেত্রে। এখন তারা (বাংলাদেশ) এই দলটিকে তাদের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে আপনার কি কোনো উদ্বেগ আছে?

জবাবে টমি পিগোট বলেন, আমি আপনাকে বলতে পারি যে, স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে এই দলটির এবং এর নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে আমরা অবহিত। আমরা বাংলাদেশে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য একটির চেয়ে বেশি সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমর্থন করি। সবার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া সমর্থন করি। বাংলাদেশ সহ সব দেশের প্রতি আমরা অনুরোধ করি সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণভাবে সভা সমাবেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য।

অন্য এক প্রশ্নে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, রিপোর্ট আছে যে, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে লস্করে তৈয়বার সদস্য হারুন ইজহারের সাক্ষাৎ হয়েছে, কাশ্মীর সহিংসতায় রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতাদের ক্রমবর্ধমান সমর্থন রয়েছে। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকাকে উগ্র মতাদর্শের প্রসার ও সন্ত্রাসবাদকে মজবুত করার ক্ষেত্রকে কিভাবে দেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?

এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি টমি পিগোট। তিনি বলেছেন, কিছুটা পিছনে গিয়ে আমি আপনাকে আবার বলবো যে এর আগে এই পোডিয়াম থেকে যা বলা হয়েছিল, আমিও তাই বলবো। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের কমপক্ষে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বকে আমরা মূল্যায়ন করি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।