১২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে ডিআরসি-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ

বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের মজুরি ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • 62

সারাক্ষণ রিপোর্ট

কৃষিতে কর্মসংস্থান ও বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত, যেখানে ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী মোট শ্রমশক্তির ৩৫ শতাংশেরও বেশি নিয়োজিত রয়েছে। তবে কৃষি শ্রমিকরা সাধারণত কম মজুরি পান এবং পুরুষ ও নারীর মধ্যে মজুরি বিভাজন বেশ লক্ষণীয়।

পুরুষ ও নারী কৃষি শ্রমিকদের গড় আয়ের চিত্র
২০২৪ সালের শেষদিকে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও কাজের ধরন অনুযায়ী পুরুষ কৃষি শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি সাধারণত ৪৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। অপরদিকে, একই ধরনের কাজের জন্য নারী কৃষি শ্রমিকরা দৈনিক গড়ে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পান। এই পরিসংখ্যান কৃষি খাতে একটি স্থায়ী লিঙ্গভিত্তিক মজুরি বৈষম্যের ইঙ্গিত দেয়।

 

নারীদের কৃষিতে অংশগ্রহণের ধারা
বাংলাদেশে নারীদের কৃষি খাতে অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে কৃষি শ্রমশক্তির প্রায় ৫৮ শতাংশ নারী। এই প্রবণতার পেছনে রয়েছে গ্রামীণ রূপান্তর, নারীদের ক্ষমতায়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের সীমিত বিকল্প।

লিঙ্গভিত্তিক মজুরি বৈষম্যের প্রকৃতি
নারীরা কৃষি খাতে ব্যাপকভাবে যুক্ত হলেও, তাদের আয় এখনো পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। গড় হিসাবে, নারীরা প্রতি ঘণ্টায় পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৩৫.৮ শতাংশ কম আয় করেন, যা কৃষি খাতে বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫৭.২ শতাংশ। এই বৈষম্যের পেছনে রয়েছে—পেশাগত বিভাজন, সম্পদ ও প্রশিক্ষণে সীমিত প্রবেশাধিকার, এবং এমন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি যা নারীর শ্রমকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে না।

সমাধানের প্রয়োজনীয়তা ও করণীয়
যদিও নারীদের কৃষিতে অংশগ্রহণ বাড়ছে, তবুও মজুরিভিত্তিক বৈষম্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়ে গেছে। এই বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ—যেমন নীতিগত সংস্কার, সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, এবং ‘সমান কাজের জন্য সমান মজুরি’ নিশ্চিত করার কার্যক্রম।

 

মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে ডিআরসি-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের মজুরি ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য

০৩:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

কৃষিতে কর্মসংস্থান ও বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত, যেখানে ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী মোট শ্রমশক্তির ৩৫ শতাংশেরও বেশি নিয়োজিত রয়েছে। তবে কৃষি শ্রমিকরা সাধারণত কম মজুরি পান এবং পুরুষ ও নারীর মধ্যে মজুরি বিভাজন বেশ লক্ষণীয়।

পুরুষ ও নারী কৃষি শ্রমিকদের গড় আয়ের চিত্র
২০২৪ সালের শেষদিকে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও কাজের ধরন অনুযায়ী পুরুষ কৃষি শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি সাধারণত ৪৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। অপরদিকে, একই ধরনের কাজের জন্য নারী কৃষি শ্রমিকরা দৈনিক গড়ে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পান। এই পরিসংখ্যান কৃষি খাতে একটি স্থায়ী লিঙ্গভিত্তিক মজুরি বৈষম্যের ইঙ্গিত দেয়।

 

নারীদের কৃষিতে অংশগ্রহণের ধারা
বাংলাদেশে নারীদের কৃষি খাতে অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে কৃষি শ্রমশক্তির প্রায় ৫৮ শতাংশ নারী। এই প্রবণতার পেছনে রয়েছে গ্রামীণ রূপান্তর, নারীদের ক্ষমতায়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের সীমিত বিকল্প।

লিঙ্গভিত্তিক মজুরি বৈষম্যের প্রকৃতি
নারীরা কৃষি খাতে ব্যাপকভাবে যুক্ত হলেও, তাদের আয় এখনো পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। গড় হিসাবে, নারীরা প্রতি ঘণ্টায় পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৩৫.৮ শতাংশ কম আয় করেন, যা কৃষি খাতে বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫৭.২ শতাংশ। এই বৈষম্যের পেছনে রয়েছে—পেশাগত বিভাজন, সম্পদ ও প্রশিক্ষণে সীমিত প্রবেশাধিকার, এবং এমন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি যা নারীর শ্রমকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে না।

সমাধানের প্রয়োজনীয়তা ও করণীয়
যদিও নারীদের কৃষিতে অংশগ্রহণ বাড়ছে, তবুও মজুরিভিত্তিক বৈষম্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়ে গেছে। এই বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ—যেমন নীতিগত সংস্কার, সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, এবং ‘সমান কাজের জন্য সমান মজুরি’ নিশ্চিত করার কার্যক্রম।