সমকালের একটি শিরোনাম “এবার ঢাকা অচলের হুমকি ইশরাক সমর্থকদের”
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এ সময়ের মধ্যে শপথের ঘোষণা না এলে ঢাকা অচলের হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসসিসির পাঁচটি কর্মচারী ইউনিয়নের তরফ থেকে বর্জ্য অপসারণ কাজসহ নাগরিক সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি এসেছে।
ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে গত ১৪ মে থেকে ‘আমরা ঢাকাবাসী’র ব্যানারে শত শত মানুষ নগর ভবন অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এতে যোগ দিয়েছেন সংস্থাটির অধিকাংশ কর্মচারীও। এ নিয়ে আদালতে করা রিটের রায় আজ ঘোষণার কথা রয়েছে।
আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসির সব সেবা কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবারও নগর ভবনের ফটকগুলো ছিল তালাবদ্ধ। গুলিস্তানে গোলাপশাহ মাজার থেকে বঙ্গবাজার মোড়ে শত শত ইশরাক সমর্থক অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন। এ সময় আশপাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়। রাজধানীর একাংশ কার্যত অচল হয়ে পড়ে। সকালের দিকে অতিরিক্ত গরমের কারণে আন্দোলনকারীর ওপর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করে ডিএসসিসি।
সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের সামনের সড়কে বসে পড়েন ইশরাক সমর্থকরা। ভবনের প্রধান ফটকের সামনে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেই মঞ্চ থেকে সংগীত পরিবেশন করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিভিন্ন শিল্পী।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজির বিতর্কিত আদেশে তদন্তে প্রসিকিউটররা”
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত প্রসিকিউটর ও সহকারী প্রসিকিউটরদের দিয়ে মামলার তদন্ত করানোর উদ্যোগ নিয়েছে অধিদপ্তর। যদিও তাঁরা আইনগতভাবে তদন্ত কর্মকর্তা নন এবং তাঁদের কার্যবিবরণীতেও এ ধরনের দায়িত্ব পালনের অনুমোদন নেই। তবু অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তা মাদক মামলার তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ডিজির নেই।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রসিকিউটরদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা নেই। তাই তাঁরা যখন তদন্ত করবেন, তখন সেটির নিরপেক্ষতা ও আইনি কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অনেকে আবার বলছেন, তদন্ত ও প্রসিকিউশন—এই দুই ভূমিকা এক ব্যক্তির ওপর দিলে সেটি সংঘাতপূর্ণ ও আইনবহির্ভূত।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৬৪ ধারায় ডিজির ক্ষমতা অর্পণের আদেশ অনুযায়ী উপপরিদর্শক ও তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই কেবল অপারেশনাল কাজে নিয়োজিত থাকতে পারেন। সে অনুযায়ী, মহাপরিচালকের পক্ষে সরকারের প্রজ্ঞাপন ব্যতীত প্রসিকিউটরদের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, যদি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে সেটি অবশ্যই সরকারঘোষিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হতে হবে। অথচ শুধু একটি সমন্বয় সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কোনো প্রজ্ঞাপন ছাড়াই মামলা তদন্তের দায়িত্ব প্রসিকিউটরদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনিক ও আইনগত দিক থেকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ, তেমনি বিচারপ্রক্রিয়ার ভবিষ্যতের জন্যও উদ্বেগজনক।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ভেড়ে না বড় জাহাজ, চট্টগ্রাম বন্দর কলম্বো-সিঙ্গাপুর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ”
অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল পলিপ্রবণ। নিয়মিত ড্রেজিং করলে বন্দর চ্যানেলে জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ সাড়ে নয় মিটার গভীরতা পাওয়া যায়। ভাটার সময় গভীরতা নেমে আসে ছয়-সাত মিটারে। এ নাব্য সীমাবদ্ধতায় বন্দরে বড় জাহাজ ভিড়তে পারে না। এ সংকট ছাড়াও কাস্টমসে জটিলতা এবং দেশের অর্থনৈতিক হাবগুলোর সঙ্গে দুর্বল সংযোগ চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মান থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিপ্রেক্ষিতে তারা বলছেন, বন্দর পরিচালনায় যত দক্ষ প্রতিষ্ঠানই নিযুক্ত করা হোক না কেন, তারা বন্দরের কার্যক্ষমতা খুব একটা বাড়াতে পারবে না।
সিঙ্গাপুর বন্দরে ভিড়তে সক্ষম জাহাজের ড্রাফট বা গভীরতা (জাহাজের যে অংশ পানির নিচে থাকে) ১৬ মিটার পর্যন্ত। শ্রীলংকার কলম্বো বন্দরের সর্বোচ্চ অনুমোদিত ড্রাফট বা গভীরতা ১৮ মিটার। ভিয়েতনামের সায়গন বন্দরে সাড়ে ১১ মিটার পর্যন্ত। অন্যদিকে দেশটির কাই মেপ বন্দর বর্তমানে বিশ্বের বৃহৎ কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাযোগ্য একটি গভীর সমুদ্রবন্দর, যেখানে ১৬ থেকে ১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। আর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বোচ্চ গভীরতা সাড়ে নয় মিটার এবং যা কেবল জোয়ারের সময়ই পাওয়া যায়।
বর্তমান বিশ্বে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বড় আকারের জাহাজ, যেগুলোর প্রতিটি ১০ থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত একক কনটেইনার পরিবহনে সক্ষম। এ ধরনের জাহাজ চলাচলের জন্য ১২ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত গভীরতা দরকার হয়। চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলের গভীরতা কম হওয়ায় এ ধরনের বড় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। বাংলাদেশগামী বড় জাহাজগুলো তাই প্রথমে সিঙ্গাপুর বা কলম্বোর মতো বন্দরে নোঙর করে। সেখান থেকে ছোট জাহাজে পণ্য স্থানান্তর করা হয়, যেগুলোর ধারণক্ষমতা এক থেকে দুই হাজার একক কনটেইনার। আর এ প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজকে পদত্যাগের আহ্বান ইশরাকের”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। বুধবার সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান তিনি।
ওই স্ট্যাটাসে ইশরাক লিখেন, ‘গণতান্ত্রিক ভাষায়, রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে যৌক্তিক কারণে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। যেহেতু এটা প্রতীয়মান যে, আপনারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, হয়তো আগামীতে সরাসরি যুক্ত হবেন এবং এটাও অনেকটা স্পষ্ট আপনারা নির্বাচন করবেন। তাহলে আপনাদের পদত্যাগের দাবি কি অযৌক্তিক? নাকি এটাই সঠিক পদক্ষেপ হবে এবং আপনাদের নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের অবসান ঘটবে।’
তিন আরও লিখেন, ‘‘আপনাদেরই নাহিদ ইসলাম (জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক) যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, সেটাই অনুসরণ করুন। উনি চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন মন্ত্রিত্ব করে তারপর এনসিপি’তে (জাতীয় নাগরিক পার্টি) যেতে পারতেন। একটা সময় ছিলো সার্জিস আলম হাসনাত ও আবদুল্লাহরা জোরালোভাবে দাবি করলে ওনারাও হয়তো মন্ত্রিত্ব নিতে পারতেন। কিন্তু তারা রাজনীতি করবেন বলে সেই কর্মপন্থা বেছে নিয়েছেন। হয়তো একদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে পূর্ণাঙ্গভাবে মন্ত্রীর দায়িত্ব, ক্ষমতা ও সম্মান আবার পাবেন। আপনারা পদত্যাগ করলে বর্তমান সরকারের নিরপেক্ষতার ইমেজই বৃদ্ধি পাবে। এখনও মনে করি সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দলীয় ও সাংগঠনিক কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে দেশ ও জনগণকে আপনারা আরও ভালো কিছু দিতে পারবেন। আর ক্ষমতা ধরে রাখলে আপনাদের দলের লোকজনকে বিশেষ সুবিধা দিতেই হবে, এটা থেকে বিরত থাকার বা শতভাগ নিরপেক্ষ থাকার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা অথবা ক্ষমতা আপনাদের নেই। কারোরই থাকে না। কাঁঠাল ভাঙবে আপনাদের মাথায়, খাবে কিন্তু অন্য সবাই।’’
ইশরাক হোসেন আরও লিখেন, ‘এখন নিশ্চয়ই বলবেন বা ভাববেন ক্ষমতার লোভে অবৈধ মেয়র হওয়ার জন্যে দিনের পর দিন আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়ে জনভোগান্তি তৈরি করে নিজেকে সাধু বানিয়ে আমাদের নীতিবাক্য শোনাচ্ছেন তাই না? আমি নিজেও কি কম সমালোচনার শিকার হয়েছি এটি করতে গিয়ে? কিন্তু আমার আর কোনও উপায় ছিলো না। আপনাদেরকে যে ভুল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে সেটা জনগণকে বোঝানো দেশের জন্যে প্রয়োজন ছিলো এবং আজ অবধি আমাকে বাঁধা দেয়ার কাজটি যৌথ সিদ্ধান্তে হচ্ছে এটা মিনিমাম রাজনৈতিকবোধ সম্পন্ন মানুষ বোঝে। কিন্তু আমি বলবো এটা ছিলো ওনাদের ভুল পলিসি, ব্যবহার হলেন আপনি আসিফ ভূঁইয়া। আইন আদালত মেনে নিতে না পারলে কোথা থেকে দেশ সংস্কার শুরু হবে? তারপর যত ইচ্ছা সমালোচনা করতেন, দেখতেন আসলে কী করি। এখন পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া আমাকে সম্পন্ন করতেই হবে।