ভারতের পাহেলগামে পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া ও লালিত জঙ্গিদের হামলার পরে সবচেয়ে বেশি সামনে এসেছে, পাকিস্তানের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতের সার্জিকাল স্ট্রাইক। এবং এর বিপরীতে ভারতে পাকিস্তানের কিছু হামলা। আর তার বিপরীতে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি এয়ারবেজ ভারতীয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও অনেকখানি অচল হওয়া।
এই ঘটনাগুলোর ভেতর দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক শক্তি, চায়না ও পশ্চিমা অস্ত্রের অনেক কিছুই হিসাব-নিকাশ হয়েছে। সোশ্যাল ফোরামে নানান কল্প কাহিনি ছড়ানো হয়েছে। তবে সামরিক জার্নাল ও বস্তুনিষ্ঠ যে মিডিয়া ছিল, সেগুলো যারা লক্ষ্য করেছেন তারা বাস্তবতা জানেন।
অবশ্য পাকিস্তান তাদের সামরিক বিজয়কে মহিমান্বিত করেছে তাদের সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শাল উপাধি দিয়ে। মি. মুনির পাকিস্তানের দ্বিতীয় ফিল্ড মার্শাল। ভারতের সার্জিকাল স্ট্রাইকের বিপরীতে তিনি প্রতিরোধ বা পাল্টা স্ট্রাইক করে ফিল্ড মার্শাল হলেন। হয়তো তার এ সাফল্যগাথা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকৃত মূল্যায়ন কেউ এক-দুই লাইনে করবেন। তবে প্রথম ফিল্ড মার্শাল আইউব খান ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একেবারে কোণঠাসা হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ করার পরে, পাকিস্তানের পূর্বখণ্ডে অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে তার নিয়মিত সফরে আসেন। ওই সফরে এসে সিনিয়র রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসলে, পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, মি. প্রেসিডেন্ট, আমাদের পাকিস্তানের তো ফিল্ড মার্শাল আছে। ভারতের তো জেনারেলের ওপর কিছু নেই (তখনও ভারতে কোনো ফিল্ড মার্শাল ছিলেন না) — তারপরেও আমরা যুদ্ধে হেরে গেলাম কেন?
ফিল্ড মার্শাল আইউব উত্তর দিয়েছিলেন, “ভারতের বেঈমানির কারণে। কারণ আমরা আক্রমণ করেছিলাম কাশ্মীর কিন্তু ওরা কাশ্মীরে শুধু প্রতিরোধ না করে শিয়ালকোটের দিকে তাদের আক্রমণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।” ফিল্ড মার্শালের সরল স্বীকারোক্তিকে বেশ রসাত্মক ভাষায় আতাউর রহমান খান তাঁর আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন। পাকিস্তানে এ মুহূর্তে আতাউর রহমান খানের মাপের শিক্ষিত ও রসবোধসম্পন্ন কোনো নেতা নেই। যাহোক, ভবিষ্যতে ফিল্ড মার্শাল মুনির সারাগোদা এয়ারবেজ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি না হন — সেটাই থাকুক এ মুহূর্তে তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রার্থনা।
তাই ভারতের এই সার্জিকাল স্ট্রাইক ও পাকিস্তানের পাল্টা স্ট্রাইক এবং পাকিস্তানের এয়ারবেজসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভেতর বাস্তবে কেউই ঘটে যাওয়া এই ঘটনার বিশ্লেষণ সীমাবদ্ধ রাখবে না। বরং ভারত যে তার দেশের জন্যে ক্ষতিকর জঙ্গিদের শুধু প্রতিবেশী দেশে নয়, পশ্চিমাদেশেও ধাওয়া ও শেষ করে দিতে পারে তার প্রমাণ এর আগে রেখেছে। তবে পাহেলগামের জঙ্গি হামলার আগে ভারত তার প্রতিবেশী দেশের সামনে কখনও তাদের মূল শক্তিকে উন্মোচন করেনি। এবারই প্রথম করল।
পাহেলগামের হামলার পরে ভারত প্রথমেই ইন্দাস পানি ব্যবস্থাপনা চুক্তি বাতিল করে। ইন্দাস পানি ব্যবস্থাপনা চুক্তি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ৬৫ বছর আগে বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে হয়েছিল। যার ফলে ইন্দাস, ঝিলম ও চেনাব নদীর প্রায় ৮০ ভাগ পানির অধিকার ভোগ করত পাকিস্তান। এবং এই পানিই কৃষিপ্রধান পাকিস্তানের কৃষির মূল প্রাণ।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এর আগে আরও খারাপ হয়েছে। ইন্দাস চুক্তির পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আরও চারটি যুদ্ধ হয়েছে। তখনও কিন্তু ভারত এই ইন্দাস পানি চুক্তি বহাল রেখেছে। পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক আইন, পানি কূটনীতি, এবং আইন সংস্কার বিশেষজ্ঞ রিফফাত ইনাম বাট পাকিস্তানের প্রধান পত্রিকা ডন-এ ২ মে একটা লেখা লেখেন। যার শিরোনাম বাংলায় করলে এমন হয়, “যদি ইন্দাস শুকায়, তাহলে পাকিস্তানের মানুষ শেষ।” তার লেখার ভেতর দিয়ে তিনি বলতে চাচ্ছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে ভারত যদি ইন্দাস চুক্তির আওতাধীন নদীগুলোর পানি বন্ধ করে দেয় তাহলে শুধু যে পাকিস্তানের কৃষি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান চরম বিদ্যুৎ সংকটে পড়বে। কারণ, ইন্দাসের পানির ওপর নির্ভর করে পাকিস্তানের বিদ্যুৎ সরবরাহের বড় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে।
একজন পানি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি মতামত দিয়েছেন যে, নিম্ন অববাহিকার দেশগুলোর জন্যে আইনি লড়াইয়ে গিয়ে পানি আদায় করা প্রায় অসম্ভব এবং একটি দীর্ঘ — এমনকি অনিশ্চিত প্রক্রিয়া। এর উদাহরণ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে জর্ডান নদীর পানির ন্যায্য ব্যবহার, ইথিওপিয়ার গ্র্যান্ড রেনেসাঁ বাঁধ ঘিরে নীলনদ নিয়ে মিশরের লড়াই, তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদী নিয়ে ইরাক ও সিরিয়ার যে মুখোমুখি সংকট — এগুলোর কোনোটাই আন্তর্জাতিকভাবে সমাধান করা সম্ভব হয়নি, আঞ্চলিক জোটও এখানে নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এগুলোর উদাহরণ বাট এনেছেন। সর্বোপরি বাট তার লেখায় স্পষ্ট বলেছেন, “যদি এই নদী না থাকে তাহলে আমরাও থাকব না।”
বাটের এই লেখার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদিও ইন্দাস পানি চুক্তি বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে হয়েছিল, তারপরেও বর্তমানে এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কিছু করার নেই। বিশ্বব্যাংকের ওই কর্মকর্তার বক্তব্য মিডিয়ায় যদি নাও প্রকাশ হতো, তারপরেও বর্তমান পৃথিবী ও অর্থনীতি যারা অল্প বিস্তর জানেন, তারা জানেন, ভারতের অর্থনীতির গতিচক্রে এখন বিশ্বব্যাংক কোনো প্রয়োজনীয় বিষয় নয়, তাই বিশ্বব্যাংকের কথা শোনার কোনো দায় এখন ভারতের নেই।
যেমন ২০২৩ সালে জাপানের নিক্কিই এশিয়া-তে “মেকং নদীর কান্না” শিরোনামে দীর্ঘ রিপোর্টে মেকং-এ চায়নার বাঁধ প্রকল্পগুলোর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মেকং অববাহিকার ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের কৃষির যে বিপর্যয় হচ্ছে তার দীর্ঘ বিবরণ তুলে ধরা হয়। এর পরে পশ্চিমা পত্রিকাগুলোর অনেকেই এ নিয়ে রিপোর্ট করে। পরিবেশবাদীরা অনেক কথাবার্তা বলছেন ঠিকই। কিন্তু বাস্তবে আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ কেউই দেখতে পাচ্ছেন না। তাছাড়া চীন মেকং-এ তখনই বাঁধ প্রকল্পগুলো তৈরি করেছে যখন দেশটি ওই বাঁধ দিয়ে তার প্রয়োজনীয় পানি সরিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
ভারতের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে, ভারত তার নিম্ন অববাহিকার দেশগুলোর শত্রুতার বিপরীতে উচ্চ অববাহিকার দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী অস্ত্র — জল সরবরাহ — যে বন্ধ করে দিতে পারে, তা তখনই জানিয়েছে এবং ইন্দাস নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখন সে উজানে পানি টেনে নেওয়ার সক্ষমতায় এসে দাঁড়িয়েছে। যেমন, ইন্দাসের আওতায় পানিকে উজানে সরিয়ে এনে পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্যে ভারত কাঠুয়া, নিউ প্রতাপ, রানবীর খালের মতো শতবর্ষ পুরোনো খালগুলোর পলি সরানো ও জলপ্রবাহ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের কাজে হাত দিয়েছে। এছাড়া রানবীর খালের ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও নিউ প্রতাপ খালের ৩৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বাড়ানোর প্রকল্পের কাজও তারা হাতে নিয়েছে।
ভারতের এই খাল প্রকল্প ও পানি সরবরাহ পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার হাত দিয়ে। তাদের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সে কাজের যে দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে তা নদীপ্রবাহ নিয়ে এবং ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র ও সম্পদ “পানি” নিয়ে যারা সামান্য খোঁজখবর রাখেন তারা সকলেই জানেন। সিকিমের উৎপত্তিস্থলে এক পর্যায়ে হিমবাহ কমে যাবে বলে (ইতোমধ্যে অনেকটা কমে গেছে) অনেক আগে থেকেই ভারত তিস্তার পানি তার প্রয়োজনীয় কৃষি ও বনরক্ষার জন্যে খাল প্রকল্প তৈরি করে তার মাধ্যমে প্রবাহিত করেছে। তারপরেও মহানন্দাসহ অনেক স্থানে তিস্তার পানি এখন খাল বেয়ে গ্রীষ্মে আসে না। আবার চায়না যে তার উৎস ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ ও অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করবে বলে — ভারতের উৎস থেকে ব্রহ্মপুত্রে যে বড় অংশ পানি আসছে সে পানি নিজ দেশে সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্যে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রচেষ্টা, ক্যানেল প্রবাহ সবই তাদের চলমান ও অগ্রসর প্রকল্প। এমনকি গঙ্গার পানি প্রবাহ নিয়ে ব্রিটিশ আমল থেকে গবেষণা শুরু হয়। যার ফলে ফারাক্কা ব্যারেজ হয়। একটি লিঙ্ক ক্যানেল ও একটি ফিডার ক্যানেল তৈরি হয়। এর খারাপ প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে বাংলাদেশে। যদিও ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তির মাধ্যমে যা কিছুটা কমানো হয় — যে চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২৬-এ শেষ হবে। আর পশ্চিমবঙ্গের অভিযোগ — কলকাতা বন্দর বাঁচবে বললেও বাঁচেনি। তাদেরকে হলদিয়া বন্দর করতে হয়েছে। অন্যদিকে বিহারে বর্ষাকালের বন্যার কারণ হিসেবেও মাঝে মাঝে চিহ্নিত হয় এই ব্যারেজ। ভারতের প্রকল্পগুলোর খোঁজখবর বা তাদের জার্নাল ফলো করলে কিছুটা বোঝা যায়, তারা ওই ফিডার ক্যানেলের পানি প্রবাহ ও বিহারের বন্যা নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও কাজ করছে যাতে গঙ্গার পানি তারা সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে।
এমনিভাবে উচ্চ অববাহিকার দেশগুলো এখন জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে তাদের নিজ নিজ দেশে সীমান্ত অতিক্রমকারী নদীগুলোর পানির নিজস্ব ব্যবহারের নানা ব্যবস্থা করছে। যেমন, ট্রাম্পের নির্বাচনের সময়ে একটা হালকা কথা উঠেছিল কানাডা তাদের আরেকটি প্রভিন্স হবে। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বড় হয়ে দেখা দিয়েছে কলম্বিয়া নদীর পানি নিয়ে আমেরিকা-কানাডার চুক্তি না হওয়া। এবং এখানেও কানাডার হাতে আন্তর্জাতিক আইন বড় কোনো শক্তি নয়, দ্বিপাক্ষিক কূটনীতিই বড় শক্তি।
পাহেলগামে জঙ্গি হামলার পরের “ নিউ নর্মালে” পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল থেকে ফিল্ড মার্শাল হলেও — যে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান এতদিন ভারতের সঙ্গে কূটনীতি ও সামরিক ক্ষেত্রে যুদ্ধ করে এসেছে, সেই কাশ্মীরকে পেছনে ফেলে ফিল্ড মার্শাল কিন্তু এখন একটি শুষ্ক ইন্দাস কূলে এসে দাঁড়িয়েছেন। আর মি. বাটের ভাষায়, “এর প্রভাব শুধু কৃষিক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। ইন্দাসের পানি প্রবাহ কমে গেলে কৃষি ধ্বংস হবে, খাদ্য সংকট তৈরি হবে এবং এমনিতে উত্তেজনাপূর্ণ পরমাণু অঞ্চলে সীমান্ত সংঘাত বাড়বে। ইন্দাস চুক্তির পতন শুধু কূটনৈতিক ব্যর্থতা হবে না, বরং এটি একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে।”
পাকিস্তানের হাতে বাস্তবে এখন আর কাশ্মীর নেই। বিশ্ব ফোরামে যদিও নদীর পানি বণ্টন নিয়ে শোনার স্পেস কম, তারপরেও পাকিস্তানকে এখন কাশ্মীর বাদ দিয়ে বারবার ইন্দাস ঘিরে মানবিক বিপর্যয়ের কথা বলতে হবে।
এর বিপরীতে ভারত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের সর্বদলীয় রাজনীতিকদের পাঠাচ্ছে শুধু একটি বার্তাই দিতে: ভারত কোনো যুদ্ধ করেনি, পাকিস্তান সন্ত্রাসের শুধু উর্বর ভূমি নয় — সে দেশের সরকার আন্তর্জাতিক এই সন্ত্রাসবাদ, ধর্মীয় জঙ্গিবাদকে শুধু মদদ দেয় না, তাদের অংশও পাকিস্তানের সরকার।
আর এই ধর্মীয় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংসের ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নষ্টের জন্যে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ করে চলেছে। এই জঙ্গিরা যেখানে বেড়ে উঠুক না কেন, সারা পৃথিবীর জন্যে হুমকি। এ কারণেই ফিল্ড মার্শাল মুনিরের মতো অনেক প্লেয়ারের জঙ্গি নিয়ে খেলার বিরুদ্ধে ভারত তার পানি শক্তি ব্যবহারের নৈতিক অধিকার পেয়ে যাচ্ছে আইনগত শক্তির বাইরে এসেও। পাহেলগাম বাস্তবে ভারতের এই বিশাল পানি অস্ত্র অবাধে ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। বাস্তবে পাহেলগাম পৃথিবীকে ৯/১১-এর মতো আরেকবার মনে করিয়ে দিল — আসলে জঙ্গি ও জঙ্গিপালক রাষ্ট্র ও সরকার পৃথিবীতে সবচেয়ে ক্ষতিকর। আর তার বিরুদ্ধে তাই নেমে আসতে পারে যে কোনো কঠোরতা।
লেখক: সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক, সম্পাদক, সারাক্ষণ ও The Present World।