১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

প্রিটি লিটল বেবি গান নিয়ে ৬০ বছর পর ভাইরাল খ্যাতিতে কনির বিস্ময়

পুরনো গানে নতুন প্রাণ

ষাটের দশকে কনির গাওয়া হৃদয়ছোঁয়া গান ‘প্রিটি লিটল বেবি’ হঠাৎ করেই বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। ১৯৬২ সালে ‘Connie Francis Sings Second Hand Love’ অ্যালবামে থাকা এই গানটি কখনো একক হিসেবে মুক্তি পায়নি, বরং ছিল তাঁর অসংখ্য গানের মধ্যে একটি। এত বছর পর, সোশ্যাল মিডিয়ায় আকস্মিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গানটি—বিশেষত টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে, যেখানে ব্যবহারকারীরা গানটির সুরে রিল ও ভিডিও তৈরি করছেন।

গানের হৃদয়স্পর্শী কলি—

“তুমি ফুলকে জিজ্ঞাসা করতে পারো,
আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকি,
সব নীল পাখিদের বলি,
আর ভালোবাসার কলরব করা পাখিদের বলি,
প্রিটি লিটল বেবি, আমি তোমার প্রেমে পড়েছি।”

ভিন্টেজ ট্রেন্ডে তুমুল জনপ্রিয়তা

ব্যবহারকারীরা এখন এই গানটির সঙ্গে রেট্রো পোশাক পরে ভিডিও করছেন, আবার অনেকে সন্তানদের সামনে গাইছেন গানটি। এর ফলে গানটি এখন বিশ্বজুড়ে অন্যতম ট্রেন্ডিং সাউন্ড হয়ে উঠেছে। যদিও অফিসিয়াল সাউন্ড পেইজটি কিছু সময়ের জন্য অকার্যকর ছিল, তাতে জনপ্রিয়তায় কোনো ভাটা পড়েনি।

পুরনো গানের পুনর্জাগরণ

সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে পুরনো অনেক গানই আবার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম অতীতের সংগীত আবিষ্কার করছে, ভালোবেসে নিচ্ছে। তবে কনি ফ্রান্সিসের জন্য এই মুহূর্তটি খুবই আবেগপূর্ণ ও অবিশ্বাস্য।

‘এভরিবডিস সামবডিস ফুল’ এবং ‘মাই হার্ট হ্যাজ আ মাইন্ড অব ইটস ওউন’ এর মতো হিট গান দিয়ে কনি ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে সংগীতজগতে দাপটের সঙ্গে ছিলেন। ১৯৬২ সালের ‘ডোন্ট ব্রেক দ্য হার্ট দ্যাট লাভস ইউ’ ছিল তার আরেকটি চার্ট-টপিং সাফল্য।

কনির আবেগঘন প্রতিক্রিয়া

গানটি ভাইরাল হওয়ার খবর জানতে পেরে কনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন—

“এই লিংকটি শেয়ার করার জন্য রনকে ধন্যবাদ। টিকটক এবং এর ব্যবহারকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যাঁরা আমার ১৯৬১ সালের রেকর্ডিং ‘প্রিটি লিটল বেবি’কে এত সুন্দর এবং একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে গ্রহণ করেছেন। রন যখন আমাকে জানায় যে আমার একটি ‘ভাইরাল হিট’ হয়েছে, তখন আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি—‘ওটা আবার কী?’ কারণ আমি এখনকার সংগীত পরিসংখ্যানের ভাষা ঠিক বুঝি না। সবাইকে ধন্যবাদ!”

সংগীতের অনন্ত শক্তি

কনির সরল প্রতিক্রিয়া আরও হৃদয় ছুঁয়ে গেছে শ্রোতাদের। ভক্তরা এই কালজয়ী কণ্ঠকে আবার নতুনভাবে আবিষ্কার করছেন। এটি প্রমাণ করে, ভালো গান কখনো পুরনো হয় না—৬০ বছর পরেও তা নতুন করে হৃদয় জয় করতে পারে।

 

প্রিটি লিটল বেবি গান নিয়ে ৬০ বছর পর ভাইরাল খ্যাতিতে কনির বিস্ময়

০৫:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

পুরনো গানে নতুন প্রাণ

ষাটের দশকে কনির গাওয়া হৃদয়ছোঁয়া গান ‘প্রিটি লিটল বেবি’ হঠাৎ করেই বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। ১৯৬২ সালে ‘Connie Francis Sings Second Hand Love’ অ্যালবামে থাকা এই গানটি কখনো একক হিসেবে মুক্তি পায়নি, বরং ছিল তাঁর অসংখ্য গানের মধ্যে একটি। এত বছর পর, সোশ্যাল মিডিয়ায় আকস্মিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গানটি—বিশেষত টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে, যেখানে ব্যবহারকারীরা গানটির সুরে রিল ও ভিডিও তৈরি করছেন।

গানের হৃদয়স্পর্শী কলি—

“তুমি ফুলকে জিজ্ঞাসা করতে পারো,
আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকি,
সব নীল পাখিদের বলি,
আর ভালোবাসার কলরব করা পাখিদের বলি,
প্রিটি লিটল বেবি, আমি তোমার প্রেমে পড়েছি।”

ভিন্টেজ ট্রেন্ডে তুমুল জনপ্রিয়তা

ব্যবহারকারীরা এখন এই গানটির সঙ্গে রেট্রো পোশাক পরে ভিডিও করছেন, আবার অনেকে সন্তানদের সামনে গাইছেন গানটি। এর ফলে গানটি এখন বিশ্বজুড়ে অন্যতম ট্রেন্ডিং সাউন্ড হয়ে উঠেছে। যদিও অফিসিয়াল সাউন্ড পেইজটি কিছু সময়ের জন্য অকার্যকর ছিল, তাতে জনপ্রিয়তায় কোনো ভাটা পড়েনি।

পুরনো গানের পুনর্জাগরণ

সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে পুরনো অনেক গানই আবার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম অতীতের সংগীত আবিষ্কার করছে, ভালোবেসে নিচ্ছে। তবে কনি ফ্রান্সিসের জন্য এই মুহূর্তটি খুবই আবেগপূর্ণ ও অবিশ্বাস্য।

‘এভরিবডিস সামবডিস ফুল’ এবং ‘মাই হার্ট হ্যাজ আ মাইন্ড অব ইটস ওউন’ এর মতো হিট গান দিয়ে কনি ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে সংগীতজগতে দাপটের সঙ্গে ছিলেন। ১৯৬২ সালের ‘ডোন্ট ব্রেক দ্য হার্ট দ্যাট লাভস ইউ’ ছিল তার আরেকটি চার্ট-টপিং সাফল্য।

কনির আবেগঘন প্রতিক্রিয়া

গানটি ভাইরাল হওয়ার খবর জানতে পেরে কনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন—

“এই লিংকটি শেয়ার করার জন্য রনকে ধন্যবাদ। টিকটক এবং এর ব্যবহারকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যাঁরা আমার ১৯৬১ সালের রেকর্ডিং ‘প্রিটি লিটল বেবি’কে এত সুন্দর এবং একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে গ্রহণ করেছেন। রন যখন আমাকে জানায় যে আমার একটি ‘ভাইরাল হিট’ হয়েছে, তখন আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি—‘ওটা আবার কী?’ কারণ আমি এখনকার সংগীত পরিসংখ্যানের ভাষা ঠিক বুঝি না। সবাইকে ধন্যবাদ!”

সংগীতের অনন্ত শক্তি

কনির সরল প্রতিক্রিয়া আরও হৃদয় ছুঁয়ে গেছে শ্রোতাদের। ভক্তরা এই কালজয়ী কণ্ঠকে আবার নতুনভাবে আবিষ্কার করছেন। এটি প্রমাণ করে, ভালো গান কখনো পুরনো হয় না—৬০ বছর পরেও তা নতুন করে হৃদয় জয় করতে পারে।