০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

মিয়ানমার ত্রাণ করিডোর থেকে সরে দাঁড়াল অন্তর্বর্তী সরকার

ঢাকা, ২১ মে ২০২৫ — মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাংলাদেশে একটি ত্রাণ করিডোর গঠনের প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশীয় রাজনৈতিক বিরোধিতা এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত করিডোর: পটভূমি ও বিতর্ক

চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ দিকে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে। প্রস্তাবটি ছিল মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে একটি মানবিক করিডোর খোলার ব্যাপারে।

তবে এই উদ্যোগ ঘরোয়া রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিএনপি ও অন্য বড় দল সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করে, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকা জরুরি।

সরকারের অবস্থান পরিষ্কার ও নীতিগত পরিবর্তন

২১ মে, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে করিডোর দেওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও সে রকমের কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা কেবলমাত্র রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পাঠানো নিয়ে হচ্ছে, করিডোর গঠনের বিষয়ে নয়।

প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক চাপ

এই করিডোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজ একত্রে দাবি জানায় যে, একটি অরাজনৈতিক ও নির্বাচনবিহীন সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।

২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এমনিতেই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সরকার একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং বিভাজনমূলক সিদ্ধান্ত এড়াতে চাপের মুখে রয়েছে।

‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

মিয়ানমার ত্রাণ করিডোর থেকে সরে দাঁড়াল অন্তর্বর্তী সরকার

০৫:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ঢাকা, ২১ মে ২০২৫ — মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাংলাদেশে একটি ত্রাণ করিডোর গঠনের প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশীয় রাজনৈতিক বিরোধিতা এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত করিডোর: পটভূমি ও বিতর্ক

চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ দিকে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে। প্রস্তাবটি ছিল মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে একটি মানবিক করিডোর খোলার ব্যাপারে।

তবে এই উদ্যোগ ঘরোয়া রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিএনপি ও অন্য বড় দল সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করে, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকা জরুরি।

সরকারের অবস্থান পরিষ্কার ও নীতিগত পরিবর্তন

২১ মে, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে করিডোর দেওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও সে রকমের কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা কেবলমাত্র রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পাঠানো নিয়ে হচ্ছে, করিডোর গঠনের বিষয়ে নয়।

প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক চাপ

এই করিডোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজ একত্রে দাবি জানায় যে, একটি অরাজনৈতিক ও নির্বাচনবিহীন সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।

২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এমনিতেই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সরকার একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং বিভাজনমূলক সিদ্ধান্ত এড়াতে চাপের মুখে রয়েছে।