০৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়া উচিত

সমকালের একটি শিরোনাম “নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়া উচিত”

শিগগিরই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিরলস ভূমিকা ও প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন সেনাপ্রধান। সেনা কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও আনুগত্য বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার সকালে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় (অফিসার্স অ্যাড্রেস) সেনাবাহিনী প্রধান এই দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ বিষয়ে কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। পরে যোগাযোগ করা হলে আইএসপিআর কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানায়।

ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এ সভায় ঢাকার বাইরের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত সূত্রগুলো জানায়, অফিসার্স অ্যাড্রেসে প্রথমে সেনাপ্রধান বক্তব্য রাখেন। এরপর বিভিন্ন ইউনিট থেকে যেসব কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সেনাপ্রধান।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে। এটি হতে হবে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। করিডোরের ব্যাপারে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ও এখানে যুক্ত।

সেনাপ্রধান বলেন, আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু মহল তাঁকে ও বাহিনীকে অন্যায্যভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “রায় পক্ষে এলেও উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ চান ইশরাক”

বৃহস্পতিবার রায় পক্ষে এলেও উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ চান ইশরাক হোসেন। অন্যথায় কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই বিএনপি নেতা। একই সঙ্গে কোন এক ব্যক্তির ক্ষমতা পাওয়া নয় বরং এটি এখন জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে তাঁর মেয়র শপথের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অবস্থানকালে এ কথা বলেন তিনি।

ইশরাক বলেন, ‘স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। সে একটি দলের হয়ে কাজ করছে। এটি প্রমাণিত যে সরকার আদালত এবং নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করেছে। তাই তার অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের পক্ষে রায় পাই সেটা আমি বলব যে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে এর বেশি কিছু না। আমি আবারো বলছি এখানে এই আন্দোলন কোন ক্ষমতার জন্য, মেয়র হওয়ার জন্য নয়; এটি আপনাদের, আমাদের, সকল নাগরিকের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।’

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে অর্থনীতি সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়”

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারের কাছে আংশিকভাবে পুনর্গঠিত একটি অর্থনীতি দিয়ে যাব। তবে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে— এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

বুধবার (২১ মে) গুলশানের হোটেল আমারিতে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ‘বাংলাদেশে আর্থিক খাতের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি)।

রাজনৈতিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ না হলে অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণও সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘যত দিন আমরা রাজনৈতিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে না পারব, তত দিন অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণও সম্ভব হবে না। যদিও এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল।’সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার।

গভর্নর বলেন, আমাদের ব্যাংকের শাখার কোনো অভাব নেই। কিন্তু সেগুলোর ব্যবহার কতটুকু করতে পারছি? এজেন্ট ব্যাংকের মধ্যে ব্র্যাক ছাড়া বেশিরভাগ ব্যাংক জমা নিচ্ছে বেশি, ঋণ বিতরণ করছে কম। এজেন্টরা অটোমেটেড, তারা ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করছেন। মাইক্রোক্রেডিটগুলোকেও অটোমেটেড হতে হবে, না হলে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। আমরা যদি খুব শিগগির ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে পারি, তাহলে তারাও ছোট ছোট ঋণের দিকে ফোকাস করতে পারবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কোন নির্বাচন আগে হবে এই সিদ্ধান্ত সরকারের: ইসি”

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিকে রাজনৈতিক বিষয় উল্লেখ করে এটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে দাবি করে বলেছেন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মধ্যে কোনটি আগে আর কোনটি পরে হবে- তা নির্ভর করছে সরকারের উপরই। গতকাল এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পঞ্চম সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নির্বাচন ভবনের গেইটের সামনে ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবিতে বিক্ষোভ করছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে এনসিপি’র আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে-এটা ইসি’র হাতে নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে বা পরে হবে। ইসি’র দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।

এদিকে এনসিপি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি এই কমিশনার। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপিল না করে ইসি’র গেজেট প্রকাশ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৫০, স্থানীয় সরকার ও সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯-এর ধারা ৫৪, স্থানীয় সরকার ও পৌরসভা বিধিমালা, ২০১০-এর ধারা ৫৪, উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০১৩-এর ধারা ৫৬, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ধারা ৫৪-এই সবগুলোতে বলা আছে কাকে পক্ষভুক্ত করা যাবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে কোনো পক্ষভুক্ত করার আইন নেই। এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আইনে যেহেতু নেই সেহেতু স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি আমরা ফাইল ঘেঁটে দেখেছি, নির্বাচন কমিশন পক্ষভুক্ত হয়ে আবেদন করেছে কিনা, আপিল করেছে কিনা। আমরা এমন কোনো নথি পাইনি। সুতরাং পক্ষভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে আইন আমাদের সুযোগ দেয়নি।

 

‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়া উচিত

০৯:০০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়া উচিত”

শিগগিরই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিরলস ভূমিকা ও প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন সেনাপ্রধান। সেনা কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও আনুগত্য বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার সকালে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় (অফিসার্স অ্যাড্রেস) সেনাবাহিনী প্রধান এই দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ বিষয়ে কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। পরে যোগাযোগ করা হলে আইএসপিআর কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানায়।

ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এ সভায় ঢাকার বাইরের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত সূত্রগুলো জানায়, অফিসার্স অ্যাড্রেসে প্রথমে সেনাপ্রধান বক্তব্য রাখেন। এরপর বিভিন্ন ইউনিট থেকে যেসব কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সেনাপ্রধান।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে। এটি হতে হবে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। করিডোরের ব্যাপারে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ও এখানে যুক্ত।

সেনাপ্রধান বলেন, আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু মহল তাঁকে ও বাহিনীকে অন্যায্যভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “রায় পক্ষে এলেও উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ চান ইশরাক”

বৃহস্পতিবার রায় পক্ষে এলেও উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ চান ইশরাক হোসেন। অন্যথায় কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই বিএনপি নেতা। একই সঙ্গে কোন এক ব্যক্তির ক্ষমতা পাওয়া নয় বরং এটি এখন জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে তাঁর মেয়র শপথের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অবস্থানকালে এ কথা বলেন তিনি।

ইশরাক বলেন, ‘স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। সে একটি দলের হয়ে কাজ করছে। এটি প্রমাণিত যে সরকার আদালত এবং নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করেছে। তাই তার অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের পক্ষে রায় পাই সেটা আমি বলব যে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে এর বেশি কিছু না। আমি আবারো বলছি এখানে এই আন্দোলন কোন ক্ষমতার জন্য, মেয়র হওয়ার জন্য নয়; এটি আপনাদের, আমাদের, সকল নাগরিকের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।’

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে অর্থনীতি সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়”

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারের কাছে আংশিকভাবে পুনর্গঠিত একটি অর্থনীতি দিয়ে যাব। তবে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে— এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

বুধবার (২১ মে) গুলশানের হোটেল আমারিতে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ‘বাংলাদেশে আর্থিক খাতের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি)।

রাজনৈতিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ না হলে অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণও সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘যত দিন আমরা রাজনৈতিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে না পারব, তত দিন অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণও সম্ভব হবে না। যদিও এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল।’সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার।

গভর্নর বলেন, আমাদের ব্যাংকের শাখার কোনো অভাব নেই। কিন্তু সেগুলোর ব্যবহার কতটুকু করতে পারছি? এজেন্ট ব্যাংকের মধ্যে ব্র্যাক ছাড়া বেশিরভাগ ব্যাংক জমা নিচ্ছে বেশি, ঋণ বিতরণ করছে কম। এজেন্টরা অটোমেটেড, তারা ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করছেন। মাইক্রোক্রেডিটগুলোকেও অটোমেটেড হতে হবে, না হলে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। আমরা যদি খুব শিগগির ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে পারি, তাহলে তারাও ছোট ছোট ঋণের দিকে ফোকাস করতে পারবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কোন নির্বাচন আগে হবে এই সিদ্ধান্ত সরকারের: ইসি”

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিকে রাজনৈতিক বিষয় উল্লেখ করে এটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে দাবি করে বলেছেন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মধ্যে কোনটি আগে আর কোনটি পরে হবে- তা নির্ভর করছে সরকারের উপরই। গতকাল এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পঞ্চম সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নির্বাচন ভবনের গেইটের সামনে ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবিতে বিক্ষোভ করছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে এনসিপি’র আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে-এটা ইসি’র হাতে নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে বা পরে হবে। ইসি’র দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।

এদিকে এনসিপি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি এই কমিশনার। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপিল না করে ইসি’র গেজেট প্রকাশ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৫০, স্থানীয় সরকার ও সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯-এর ধারা ৫৪, স্থানীয় সরকার ও পৌরসভা বিধিমালা, ২০১০-এর ধারা ৫৪, উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০১৩-এর ধারা ৫৬, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ধারা ৫৪-এই সবগুলোতে বলা আছে কাকে পক্ষভুক্ত করা যাবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে কোনো পক্ষভুক্ত করার আইন নেই। এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আইনে যেহেতু নেই সেহেতু স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি আমরা ফাইল ঘেঁটে দেখেছি, নির্বাচন কমিশন পক্ষভুক্ত হয়ে আবেদন করেছে কিনা, আপিল করেছে কিনা। আমরা এমন কোনো নথি পাইনি। সুতরাং পক্ষভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে আইন আমাদের সুযোগ দেয়নি।